নিশাচর প্রানীরা সাধারনত রাতেই চলাচল করে।দিন এবং রাত প্রাকৃতিক ঘটনার মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু।প্রকৃতপক্ষে দিন-রাত নির্ভর করে সূর্যের ওপর।আমরা জানি পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে এবং চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে।এভাবে ঘোরার সময় পৃথিবীর উপর যে অংশে সূর্যের আলো পড়ে সেই অংশে দিন এবং ঠিক তার বিপরীত অংশে রাত হয় ।পৃথিবীর এই ঘূর্ণনের কারণে উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে দিনরাত্রি সংঘটিত হয়।প্রাকৃতিক আরও বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে প্রানী তথা প্রানের অস্তিত্ব।
প্রানীরা খাদ্যের জন্য পরিশ্রম করে থাকে এবং খাদ্য সংগ্রহ করে থাকে।খাদ্য সংগ্রহ তথা কাজের উপর ভিত্তি করে দিন অথবা রাত; উভয় পরিবেশেই প্রানীগুলো তাদের প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করে নেয়।এর পরিপ্রেক্ষিতেই রাতের বেলায় অনেক প্রানীর দেখা পাওয়া যায়।এরা অন্যান্য প্রানীর মতো দিনের বেলা বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম হতে বিরত থাকে এবং বিশ্রাম করে।আজকে আমরা এমন সব প্রানীদের সম্পর্কে জানব যারা রাতের বেলা সবচেয়ে বেশি একটিভ থাকে।চলুন জেনে নেওয়া যাকঃ
তাসমানিয়ান ডেভিলঃ
ডেভিল শব্দের অর্থ শয়তান।এদের নামের মধ্যে শয়তান অর্থ লুকিয়ে থাকলেও প্রকৃতপক্ষে এরা তীক্ষ্ণ দৃষ্টি সম্পন্ন এবং পরিষ্কার শ্রবণ শক্তি রয়েছে।রাতের আঁধারে ওরা সবকিছু স্পষ্ট দেখতে পায় অনেক দূর থেকেই। দূরদূরান্তের শব্দ অন্য প্রানীর কাছে সহজে না পৌঁছালেও এদের কাছে সহজেই পৌঁছে যায়।মজার বিষয় হলো এমন অনেক দ্বীপ রয়েছে সেখানে রাতের আঁধারে এদের গ্লো করতে দেখা যায়।
নিশাচর প্রানী(কিংকাজু):
অন্য প্রানীদের মতো এরাও নিজেদেরকে রাতের পরিবেশে চলাচলের জন্য উপযোগী করে গড়ে তুলেছে। এদের চোখগুলো আকারে বড় হয় এজন্য এরা রাতের আঁধারেও সব কিছুই স্পষ্ট দেখতে পায়।দক্ষিন আমেরিকা এবং মধ্য আমেরিকার বনাঞ্চলের গাছগুলোতে এদের খুব দেখতে পাওয়া যায়।এরা বেশির ভাগ সময় গাছের উপরে ঘুমিয়ে থাকে।মজার বিষয় হলো এদের চোখ ১৮০° পর্যন্ত দৃষ্টিশক্তি কাভার করতে পারে।
প্যাঙ্গোলিনঃ
এই অদ্ভুত দেখতে প্রানীটি সর্বদা মাটির উপরি বেশিভাগ সময় থাকে।এদের দেখতে অনেকটা ট্যাংকার এর মত দেখায়।এরা অন্য সময় গুহার ভিতরে থাকলেও রাতের বেলা গুহা থেকে বের হয় এবং খাদ্য সংগ্রহ করে থাকে। খাদ্যের তালিকায় বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় শীর্ষ অবস্থান করে।
এদের অনেক লম্বা যার সাহায্যে দ্রুতই বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় ধরে থাকে।তবে অন্যান্য প্রাণীর দৃষ্টিশক্তি অনেক শক্তিশালী হলেও এদের ঘ্রাণশক্তি অনেক প্রখর।সারাবিশ্বে আটটি বিভিন্ন ধরনের প্রজাতির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেছে।এদের দেখলে মনে হয় এদের সম্পূর্ণ শরীর একপ্রকার খোলস দ্বারা আবৃত থাকে।
রাকুনঃ
এই বিশেষ ধরনের নিশাচর প্রানীটির সম্পর্কে আমরা বিভিন্ন ধরনের কার্টুন দেখে থাকি অথবা নাম শুনে থাকি। বিশেষ করে ডোরেমন কার্টুনে।এই প্রানীটি বিভিন্ন ধরনের রং এর মধ্যে পার্থক্য সহজে বুঝতে পারে না এবং অল্প দূরত্বে কোন কিছু দেখতে পায়না। এর এক ধরনের বিশেষত্ব রয়েছে। তা হল কোন কিছুর ওপর রাতের বেলা আলো পড়লে সেখান থেকে আলো প্রতিফলিত হয়ে এদের চোখে যায়। এর সাহায্যে এরা ওই জিনিসটি দেখতে পায়।
তবে এদের ঘ্রানশক্তি এবং শ্রবণশক্তি তীব্র ভাবে কাজ করে।চলাচলের সময় হাত-পায়ের নখ গুলো সেন্সর হিসেবে কাজ করে । সেরা ১০ প্রজাতির নিশাচর পাখিদের সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন
পরিশেষে, রাতের আধারে জেগে থাকা বিশেষ কয়েকটি নিশাচর প্রানীদের সম্পর্কে জানা গেল।আমরা এদের সম্পর্কে শুধুমাত্র নাম জানলেও এদের বিশেষ তথ্য এবং বৈশিষ্ট্যগুলি সহজে জানার কোন উৎস খুঁজে পাই না।তাই এমন সব প্রানীদের বিশেষ বিশেষ তথ্য জানার উৎস হিসেবে “পশুপাখির” উৎপত্তি।এমন বিশেষ তথ্য জানতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং আপনাদের মন্তব্য কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করুন।ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।