You are currently viewing টপ ৫ প্রজাতির কাঠবিড়ালির অদ্ভুত সব তথ্য জেনে নেই
ছবিঃ কাঠবিড়ালি

টপ ৫ প্রজাতির কাঠবিড়ালির অদ্ভুত সব তথ্য জেনে নেই

কাঠবিড়ালি সাধারনত বৃক্ষবাসী স্তন্যপায়ী প্রাণী। এদের ইংরেজিতে স্কোয়াররেল বলা হয়। এদের বৈজ্ঞানিক নাম কাল্লোস্কিউরা এরিথরাইউস। এদের শরীর লম্বাটে প্রায় ৭-১০ সেমি, লেজ লম্বা ও ঝোপালো এবং ওজনে ১০ গ্রাম। কাঠবিড়ালি স্তন্যপায়ীর অন্যতম একটি প্রাণী । এদের অস্ট্রেলিয়া ও কুমেরু ছাড়া পৃথিবীর সব জায়গায় দেখা যায়। উষ্ণমন্ডলীয় কিছু কাঠবিড়ালীর শরীরে কালো ও সাদা ডোরা থাকে। এদের অনেকেরই চোখ বড়, দৃষ্টিশক্তি অনেক ভালো এবং  ডালপালার মধ্যেকার দূরত্ব মাপার মতো প্রখর বোধশক্তি। এদের সামনের পা খাটো, পায়ের আঙুলে ধারালো নখ, তা দিয়ে বৃক্ষবাসী প্রজাতিরা স্বচ্ছন্দে গাছে ওঠানামা করে এবং পেছনের লম্বা পা দিয়ে সামনের দিকে প্রয়োজনীয় ভাবে  অগ্রসর হয়।

Squirrel
ছবিঃ লাফিয়ে বেড়ানো প্রানী   

কাঠবিড়ালি বিভিন্ন প্রজাতির হয়ে থাকে, গোটা বিশ্বে প্রায় ২৭০ প্রজাতির কাঠবিড়ালি পাওয়া যায়। তার মধ্যে ৫টি প্রজাতির বর্ননা নিচে দেওয়া হলোঃ


মালয়ন কালো কাঠবিড়ালিঃ

মালয়ন কাঠবিড়ালি বা কালো কাঠবিড়ালি রোদেনটিয়া বংশের অন্তভুর্ক্ত। ইংরেজিতে ব্লাক জায়ান্ট বা স্কোয়াররেল মালায়ান ব্লাক জায়ান্ট নামে ডাকা হয়। কালো কাঠবিড়ালির বৈজ্ঞানিক নাম রাতুফা বিকলর। দৈঘ্য প্রায় ২০ ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে। কালো কাঠবিড়ালি ওজনের প্রায় ১.০৫-১.২৫ কেজি (২.৩-২.৮ পাউন্ড), এর মাথা এবং শরীরের দৈর্ঘ্য ৩ সেমি (১৩-১ ইঞ্চি) এবং লেজ ৪১-৪৪ সেমি ( ১৬-১৭ ইঞ্চি) দীর্ঘ। মাথা ৩০ এবং দৈর্ঘ্যের ৩০ সেন্টিমিটার (১২ ইঞ্চি) এবং লেজ ৩২ সেমি (১৩ ইঞ্চি), তবে অন্যথায় এটি সাধারণ উপজাতির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। এদের উত্তর বাংলাদেশ, উত্তর-পূর্ব ভারত, পূর্ব নেপাল, ভুটান, দক্ষিণ চীন, মায়ানমার, লাওস, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম এবং পশ্চিম ইন্দোনেশিয়া (জাভা, সুমাত্রা, বালি এবং নিকটবর্তী ছোট ছোট দ্বীপ) থেকে বনে পাওয়া যায়।

কাঠবিড়ালি
ছবিঃ কালো প্রানী

পাঁচ ডোরা প্রানীঃ

পাঁচডোরা কাঠবিড়ালি ইংরেজিতে নর্দেরন প্লাম স্কোয়াররেল বা ফাইভ স্ট্রইপেড প্লাম স্কোয়াররেল বলা হয়। এদের বৈজ্ঞানিক নাম: ফুনামবুলুস পেনান্টি। কাঠবিড়ালী পরিবারের একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী। এদের দেহের পশম ঘন সন্নিবিষ্ট এবং লেজও ঘন ঝোপযুক্ত। এদের মাথা প্রশস্ত ও গোলাকার, চোখ বড় এবং কান স্পষ্ট ও ত্রিকোণাকার হয়ে থাকে।



এদের এই প্রজাতিরই পিঠের ওপর সাদা ডোরা দাগ আছে। এদের দেহ সরু এবং দীর্ঘ হয়ে থাকে। এরা একাকী বা জোড়ায় চলে এরা বাংলাদেশ ছাড়া ভারতের উত্তরাঞ্চলে ও পশ্চিমাঞ্চলে এবং নেপালে বিস্তৃত আছে। আনদামান ও নিকবোর দ্বীপপুঞ্জ এবং অস্ট্রেলিয়ায় অনুপ্রবেশ দেখা গেছে।  প্রধানত ফল, বীজ, বাদাম, বাকল, পোকামাকড় ও খেজুরের রস খায়।

Northern Palm Squirrel
ছবিঃ পাঁচডোরা কাঠবিড়ালি

লাল উড়ন্ত কাঠবিড়ালিঃ

লাল উড়ন্ত কাঠবিড়ালি ইংরেজিতে রেড জায়ান্ট ফ্লাইং স্কোয়ারেরল নামে পরিচিত। এদের বৈজ্ঞানিক নাম পেটৌরিস্তা। লাল উড়ন্ত কাঠবিড়ালি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম উড়ন্ত কাঠবিড়ালগুলির মধ্যে একটি। বাংলাদেশ ছাড়াও আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তান, চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডে পাওয়া যায়। লাল উড়ন্ত কাঠবিড়ালি বড় চোখ এবং মেহগনি-লাল রঙের জন্য সৌন্দর্য্য মন্ডীত হয়েছে। পায়ের পাঁচ আঙুল বাঁকানো ও পেছনের পায়ের সবকটি ও সামনের পায়ে ৪টিতে ধারালো নখ থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক কাঠবিড়ালির মাথাসহ দেহের দৈর্ঘ্য ৩৯.৮ সেমি তবে লেজ আরো অতিরিক্ত ৪২.২ সেমি লম্বা। পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট প্রানীদের সম্পর্কে জানার জন্য ভিজিট করুন

red giant squirrel
ছবিঃ লাল উড়ন্ত কাঠবিড়ালি

তিনডোরা প্রানীঃ

তিনডোরা কাঠবিড়ালি ইংরেজিতে ত্রি-ওয়ে স্কোয়াড়েরাইল বলে। এদের বৈজ্ঞানিক নাম ফুনাম্বুলাস প্যালমারাম। এরা কাঠবিড়ালি পরিবারের একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী। প্রজাতিগুলি দক্ষিণ থাইল্যান্ড থেকে পেনিনসুলার মালয়েশিয়া হয়ে সুমাত্রা, জাভা এবং বোর্নিও পর্যন্ত রয়েছে। সিঙ্গাপুরে, প্রজাতিটি বহু বছর ধরে দেখা যায়নি এবং স্থানীয়ভাবে বিলুপ্ত হিসাবে বিবেচিত হয়।



এরা একাকী বা জোড়ায় চলে। প্রধানত ফল, বীজ, বাদাম, বাকল, পোকামাকড় ও খেজুরের রস খায়। এরা দীর্ঘ ও ঝোপযুক্ত লেজ, ধারালো নখর এবং বড় কানবিশিষ্ট কাঠবিড়ালি। এরা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বৃষ্টিপ্রধান বন থেকে আর্কটিক তুন্দ্রা অঞ্চলে বিচরণ করে। এটি গাছের চূড়া থেকে ভূনিম্নস্থ সুড়ঙ্গেও থাকতে পারে। এদের পিঠের ওপর তিনটি সাদা ডোরা দাগ আছে।

কাঠবিড়ালি
ছবিঃ তিনডোরা কাঠবিড়ালি

কাঠবিড়ালিঃ

শিয়াল কাঠবিড়ালি ব্রায়েন্টের শিয়াল কাঠবিড়ালি হিসাবে পরিচিত। উত্তর আমেরিকার স্থানীয় কাঠের কাঠবিড়ালি গুলির বৃহত্তম প্রজাতি। এই কাঠবিড়ালি গুলোর দেহের মোট দেহের দৈর্ঘ্য ৪৫ থেকে ৭০ সেমি (১৭.১৭ থেকে ২৭.৬ ইঞ্চি) পরিমাপ করে, লেজের দৈর্ঘ্য ২০ থেকে ৩৩ সেমি (৭.৯ থেকে ১৩.০ ইঞ্চি), এবং তাদের ওজন ৫০০ থেকে ১০০০ গ্রাম (১.১ থেকে ২.২ পাউন্ড) হয়।



বর্ণভেদে তিনটি স্বতন্ত্র ভৌগলিক পর্যায় রয়েছে: বেশিরভাগ অঞ্চলে এদের উপরের দেহটি বাদামী-ধূসর থেকে বাদামী-হলুদ হয় সাধারণত একটি বাদামী-কমলা নীচের অংশের সাথে থাকে। দক্ষিণে অভিন্ন কালো কোটযুক্ত বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়গুলি পাওয়া যায়। এদের আরোহণের ক্ষেত্রে সহায়তা করার জন্য, তাদের ধারালো নখর রয়েছে, শিয়াল কাঠবিড়ালি শ্রুতি ও গন্ধের চমৎকার দৃষ্টিভঙ্গি এবং সু-বিকাশযুক্ত অনুভূতি বা চেতনাবোধ রয়েছে।

কাঠবিড়ালি
ছবিঃ শিয়াল কাঠবিড়ালি

আসুন পশুপাখির পাশে দাঁড়ায় সুন্দর পরিবেশ গড়তে দশে মিলে হাত বাড়াই। পশুপাখি কে আপন করুন প্রকৃতি কে ভালবাসুন। বিভিন্ন পশুপাখির অজানা তথ্য সমুহ জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।

Facebook Comments

YappoBD

YappoBD-হলো poshupakhi.com এর একমাত্র স্বত্তাধীকারি। এই ওয়েবসাইটের সকল প্রকার কন্টেন্ট ইয়াপ্পোবিডি কর্তৃপক্ষ দ্বারা লিখিত, পরিমার্জিত এবং এটি ইয়াপ্পোবিডি এর অঙ্গসংস্থান।