সুন্দরবনের প্রানী এবং সৌন্দর্য বাংলাদেশের মানুষের নিকট গর্ব।পৃথিবীতে হয় অনেক গুলা ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট রয়েছে।এদের মধ্যে সুন্দরবন সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট।আকৃতি এবং আয়তনের দিক থেকে এরা অন্যান্য ম্যানগ্রোভ বনের চেয়ে বড় আকৃতির।এজন্য সারা বিশ্বে বড় ম্যানগ্রোভ বনের তালিকায় সুন্দরবনকে শীর্ষে রাখা হয়।কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত যেমন পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত তেমনি ভাবে সুন্দরবন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বন হিসেবে পরিচিত।সুন্দরবনের প্রানীদের সংখ্যার কখনো কম হয় না।একই বৈশিষ্ট্য উদ্ভিদের জন্য প্রযোজ্য।একাধিক ইউনিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন উদ্ভিদের সমাহার রয়েছে এই সুন্দরবনে।
ঢাকায় অবস্থিত মিরপুর চিড়িয়াখানায় পরিদর্শন করলেন আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রানীদের খাঁচার ভিতর দেখতে পাই।প্রকৃতপক্ষে দর্শনার্থীদের জন্য এমন ভাবে রাখা হয়েছে।সে সকল প্রানীই সুন্দরবনের বিচরন করতে দেখতে পাওয়া যায়।কিন্তু সুন্দরবন যথেষ্ট বড় হওয়ায় কেউ যদি প্রথমবার গিয়ে থাকে তাহলেহারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে, এজন্যই ফরেস্ট অফিসার অথবা গাইডের সহযোগিতায় ভ্রমন করা উচিত এবং সন্ধ্যার পূর্বে নির্দিষ্ট গন্তব্যে ফিরে আসা
উচিত।কোনভাবে যদি কেউ রাস্তা হারিয়ে ফেলে তাহলে তার জন্য তা একটা দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়।যেহেতু সুন্দরবনের প্রানী অভাব নেই এবং মিরপুর চিড়িয়াখানায় আমরা অনেক প্রানীই দেখেছি; সেহেতু আজকে আমরা সুন্দরবনের সেসব পপুলার প্রানীদের সম্পর্কে জানব যাদের নাম আমরা ছোটবেলা থেকে শুনে আসি।চলুন জেনে নেওয়া যাকঃ
কুমিরঃ
যে কোন প্রানী প্রকৃতির মাঝে বন্য পরিবেশে বেঁচে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।অপর পক্ষে মানুষ সামাজিক পরিবেশে বেঁচে পছন্দ করে।সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশে বসবাসরত কুমিরদের সংখ্যা এখনো মানুষ জানতে পারেনি।
যে সমস্ত নদীর শাখা-প্রশাখা বনের মধ্যে প্রবেশ করেছে সেসকল নদীতেই এসব কুমিরদের বসবাস।কিন্তু এদের মাঝেমাঝেই পানির মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়।
চিতাবাঘঃ
আমরা বাঘ বলতে সাধারনত চিতাবাঘ এবং রয়েল বেঙ্গল টাইগার কে বেশিভাগ বুঝে থাকি।এমনটি হওয়া স্বাভাবিক।কেননা সুন্দরবনের অন্যান্য প্রজাতির বাঘের চেয়ে এদের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা যায়।চিড়িয়াখানা দর্শনার্থীদের ক্ষেত্রে ছোটদের জন্য বাঘ বিশেষ আকর্ষনীয় প্রাণী।সুন্দরবনের একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে এদের দেখতে পাওয়া যায়।হিংস্র প্রজাতির হওয়ায় এদের এলাকায় কিংবা তার আশেপাশে সহজেই ভ্রমনকারী ঘুরে বেড়ানোর রিক্স নিতে চায় না।
রয়েল বেঙ্গল টাইগার সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন
বানরঃ
যে কোনো কিছুকে অনুকরন করার ক্ষমতা এই প্রানীর রয়েছে।অর্থাৎ সহজেই এরা মানুষ বা অন্য কারো নকল করতে পারে।খাদ্য হিসেবে এরা বেশিভাগ বাদাম এবং বিভিন্ন ফলমূল খাওয়া পছন্দ করে।এজন্যই হয়ত এরা সব সময় গাছের বিভিন্ন ডালে লাফিয়ে বেড়ায়।তবে মানুষের মতো এরাও এদের স্বাস্থ্য ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সচেতন।এরা গাছেই এদের থাকার ব্যবস্থা করে।
গন্ডারঃ
স্থলে অন্যান্য শক্তিশালী প্রানীদের মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম হলো গন্ডার।এরা জন্মলাভের পর কতটা শক্তিশালী না হলেও প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর প্রচন্ড শক্তি সম্পন্ন হয়।নাকের উপর এদের শিং প্রতিপক্ষকে হারাতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে।এরা সর্বদাই গ্রুপ হয় চলাফেরা করা করতে পছন্দ করে।এজন্য গ্রুপের
শক্তিশালী গন্ডারের সাথে অন্য গ্রুপে শক্তিশালী গন্ডারের সংঘর্ষ হলে একজনকে হার মেনে নিতে হবে এবং নেতৃত্ব ছাড়তে হবে অথবা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হবে।
সুন্দরবনের প্রানীঃ
সুন্দরবন অঞ্চলে আকাশে বিভিন্ন ধরনের পাখি দেখতে পাওয়া যায়।এর মধ্যে কিছু আমাদের দেশী প্রজাতির পাখি রয়েছে যা আমরা আমাদের লোকালয়েও দেখে থাকি।আবার কিছু ভিন্ন প্রজাতির পাখি রয়েছে যা শুধু ওই অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায়।সে সমস্ত পাখির বৈশিষ্ট্য এসব সাধারন পাখি থেকে আলাদা এবং উন্নতমানের।এ কারণেই সুন্দরবনের পাখিগুলো অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং মনমুগ্ধকর।
পরিশেষে সুন্দরবনের প্রানীদের সংখ্যার শেষ নেই।প্রানীদের এমন বৈচিত্র্য শুধু মাত্র সুন্দরবনের ঐ অঞ্চলগুলোতেই দেখতে পাওয়া যায়।এজন্যই অনেক ভ্রমন পিপাসু সর্বদাই সুন্দরবন ভ্রমণে গিয়ে থাকে।সুন্দরবন সম্পর্কে কিংবা সুন্দর বনের বিভিন্ন প্রানী সম্পর্কে জানার জন্য কমেন্ট বক্সে আপানাদের মতামত শেয়ার করুন; এবং পশুপাখির সাথেই থাকুন।