পৃথিবীতে জীবের আবির্ভাব অনেক আগেই হয়েছে। জীবজগতও অনেক সমৃদ্ধশালী। এখন জীবজগতে একই ভাবে যথেষ্ট পরিমান প্রানী আবির্ভাব হয়েছে আবার বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে কালের বিবর্তনে। এখন জীবজগতের এমন নিয়ম সর্বদাই গতিশীল আছে। পরিবর্তনের এই ধারাতে টিকে থাকার লড়াইয়ে প্রত্যেক প্রানীকে নিজ নিজ জায়গায় বেঁচে থাকার জন্য সময়ের সাথে পাল্লা দিতে হয়। এমন সব প্রানীদের সম্পর্কে আজকে আমরা জানব যাদের মধ্যে সংখ্যা এবং প্রজাতি দিন দিন কমে যাচ্ছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
লাল টুনা মাছঃ
টুনা মাছের মধ্যে এরা উজ্জ্বল লাল অথবা গোলাপি বর্নের হয়ে থাকে। স্বাভাবিক ভাবে প্রাপ্ত বয়স্ক অবস্থায় এসব টুনা মাছ আকারে অনেক বড় হয়। সমুদ্রের সবচেয়ে দ্রুতগামি মাছ হল টুনা মাছ। টুনা মাছের এমন কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যাদের অন্যান্য মাছ সম্পর্কে এদের আলাদা করে রাখে। টুনা মাছের কাটা অনেকটা হাড়ের মত শক্ত হয়ে থাকে। অন্যান্য প্রজাতির টুনা মাছের মধ্যে এরা যথেষ্ট দ্রুতগামিতার পরিচয় দেয়। ফলে এরা সমুদ্রের দ্রুতগামি মাছ হিসেবে পরিচিত।

জাঞ্জিবার রেড কোলাবাসঃ
এরা স্তন্যপায়ী প্রানীদের অন্তর্ভুক্ত। নাম দেখে অনেক বড় প্রানী মনে হলেও এরা বাস্তবে দেখতে বানর কিংবা হুনুমানের মত। জাঞ্জিবারের জঙ্গলে এই প্রানীটিকে দেখতে পাওয়া যায়। এই অঞ্চলটি পূর্ব আফ্রিকার তানজিনিয়া উপকূলে এই জঙ্গল অবস্থিত। এরা বিলুপ্ত প্রায় প্রানীদের মধ্যে একটি এবং এদের ৩০০০ এর বেশি প্রজাতিই বর্তমানে অস্তিত্ব রয়েছে। স্থানীয়রা এই প্রানীটিকে “বিষাক্ত বানর” কিংবা বানরের বিষ নামে অভিহিত করে থাকে।

কালো মাছরাঙ্গাঃ
এই পাখি গুলো ১৩ সে. মি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। দক্ষিন পূর্ব এশিয়া এবং ইন্ডিয়ার আশেপশের অঞ্চলে এদের দেখা পাওয়া যায়। ছোট ছোট পোকা-মাকড়, শামুক, ছোট টিকটিকি, ব্যাঙ এবং নদীর ধারে ছোট কাকড়াও এরা খেয়ে থাকে। বর্ষার আগমনের সাথে সাথে এরা নিজেদের বাসা টানেল এর মধ্যে ঢুকে পড়ে।

ফেনেক শিয়ালঃ
উত্তর আফ্রিকার সাহারা মরুভূমির অঞ্চলে এদের দেখতে পাওয়া যায়। এরা ১৫ সে. মি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। প্রানীদেহে হতে তাপ নির্গমনের সাথে সাথে এরা যে কোন দূরত্বে অবস্থিত প্রানীদের লোকেশন বুঝতে পারে।