আকর্ষনীয় প্রানী অঞ্চলভদে এই পৃথিবীতে কম নেই।পৃথিবীতে সাতটি মহাদেশ রয়েছে।এই সাতটি মহাদেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল অষ্ট্রেলিয়া।এই মহাদেশ গুলো সমুদ্রপথে একে অপরের সাথে যুক্ত।মহাদেশ গুলো একে অপরের সাথে স্থল পথে যুক্ত নেই।এমনটি হওয়ার কারন পৃথিবীর বেশিভাগ জল দ্বারা বেষ্টিত।অন্যান্য মহাদেশগুলো আকার-আকৃতিতে বড় হলেও আষ্ট্রেলিয়া সবচেয়ে ক্ষুদ্র একটি মহাদেশ।এর পাশে ওশেনিয়া অঞ্চলও রয়েছে।
অষ্ট্রেলিয়া মহাদেশ হলেও এটি শুধুমাত্র একটি দেশ হওয়ায় আমরা সচরাচর এটিকে দেশ হিসাবেই চিনি।ওশেনিয়া অঞ্চল সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা।কিন্তু এটি অষ্ট্রেলিয়ার সংলগ্ন একটি অঞ্চল।এবং অনেক বৈশিষ্ট্য অষ্ট্রেলিয়ার সাথে মিল রয়েছে।আমাদের দেশের জাতীয় পশু যেমন রয়েল বেঙ্গল টাইগার তেমনি অষ্ট্রেলিয়ার জাতীয় পশু রেড ক্যাঙ্গারু বা ক্যাঙ্গারু।বাংলাদেশের সুন্দরবন সবচেয়ে বড় বন।
অষ্ট্রেলিয়াতেও এমন বড় অনেক বনাঞ্চল রয়েছে। কিন্তু কিছু সক্রিয় আগ্নেয়গিরি এবং কিছু সুপ্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এসব আগ্নেয়গিরি থেকে বর্তমান সময়ে আগ্ন্যুৎপাতের ফলে বনভুমি পুড়ছে। এতে করে বনভুমি গাছ এবং প্রানী উভয়ই জ্বলছে।বনভুমির এমনভাবে উজার পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দিন দিন এ কারনেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।চলুন অষ্ট্রেলিয়ার প্রানীদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আকর্ষনীয় প্রানীঃ
এদের ফিটজোর কচ্ছপ বলা হয়।মিঠাপানির কচ্ছপটি পায়ু পথের মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস কাজ সম্পূর্নরূপে চালায়।এদের বিশেষভাবে এই অভিযোজন বা মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা এদেরকে পানির নিচে ২১ দিন পর্যন্ত থাকতে সহয়তা করে।এদের শুধুমাত্র অষ্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড প্রদেশে ফিটজোর বেসিনে দেখতে পাওয়া যায়।শিয়াল,বিড়াল, শুকর এবং বিভিন্ন দূষনকারী বস্তু বিশেষ করে পানি দূষন; ইত্যাদি এই প্রজাতির কচ্ছপের বিলুপ্তির জন্য দায়ী।
ক্যাশোয়ারী প্রানীঃ
এই প্রানীটির ওজন ৬০ কেজি এবং দেখতে কিছুটা উটপাখির মত।এদের পায়ের নখ অন্যান্য প্রানীর চেয়ে বড় এবং কিছুটা ডাইনোসরের মত। এরা ১.৫মিটার উচ্চতা পর্যন্ত লাফাতে কিংবা উড়তে পারে।এরা নিজদের পায়ে উপর সর্বপ্রথম লাফ দেয় এবং তারপর টার্গেটকে লক্ষ্য করে সামনের দিকে আক্রমন করে।ঘন জঙ্গলে এরা ৫০কি.মি/ঘণ্টায় দৌড়াতে পারে। এরা সাঁতার কাটতে পারায় মাঝে মাঝে সম্পূর্ন নদী সাতার কেটে এপার থেকে ওপারে যায়।দেখতে অদ্ভূত হলেও আকর্ষনীয় প্রানী হিসেবে এরাও মন্দ নয়।
মিশেলটো পাখিঃ
এই পাখিটি দেখতে অনেক সুন্দর এবং এরা সম্পূর্ন বুক লাল রঙের পালক দ্বারা আবৃত।ঠোট এবং মাথার পালক কাল হওয়ায় লাল এবং কালোর সংমিশ্রন পাখিটিকে ফুটিয়ে তুলেছে।এদের খাদ্য তালিকা নির্দিষ্ট হওয়ার কারনে সহজে মোটা হয় না।পরিবেশের সাথে এরা নিজেকে মানিয়ে নেয়।ঐ অঞ্চলের এটি আকর্ষনীয় পাখি।
সুন্দর পাখিদের সম্পর্ক জানতে ভিজিট করুন
তাশমানিয়ান ডেভিলঃ
ডেভিল শব্দের অর্থ শয়তান হলেও এখানে প্রানীকে বুঝানো হয়েছে। কিন্তু তাশমানিয়া অঞ্চলে এদের দেখতে পাওয়া যায় শুধু।এরা তাশমানিয়া অঞ্চলের পরিবেশের উপর পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলে।এদের সম্পূর্ন শরীর ময়লা যুক্ত থাকে।এদের ঘ্রানশক্তি তীব্র হওয়ায় অল্প সময়ে এরা বেশি দুরত্বে ঘ্রান শুকতে পারে।নাম শুনে শয়তান মনে হলেও এরাও আকর্ষনীয় প্রানী।
একাইডানাঃ
এদের সম্পূর্ন শরীর কাঁটা যুক্ত।এদের কাঁটা পাখির ঠোঁটের মত শক্ত এবং সহজে ভাঙ্গে না।সরীসৃপ প্রানী যেমন সাপ, কুমির যেভাবে ডিমপাড়ে তেমনি ভাবে এরাও ডিম পাড়ে।এদের মাত্র চার ধরনের প্রজাতির প্রানীদেখতে পাওয়া যায়।স্তন্যপায়ী প্রানীরা যেমন তাদের নবজাতককে দুগ্ধ পান করায় এরাও একই ভাবে তাদের সদ্য ভূমিষ্ট শিশুকে দুগ্ধ পান করায়।
পরিশেষে,অষ্ট্রেলিয়ার আকর্ষনীয় প্রানীদের সম্পর্কে অনেক নতুন তথ্য জানলাম।এমন প্রানীগুলো বেশিভাগ আমাদের নিকট অপরিচিত। ফলে ঐ অঞ্চলের নতুন নতুন প্রানীদের সম্পরকে বিচিত্র বৈশিষ্ট্য জানা গেল।এমন সব অজানা প্রানীদের সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য কমেণ্ট বক্সের মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করুন।