পোষা প্রানীদের তালিকা যথেষ্ট বড়।যার যেমন পছন্দ তার তেমনই পোষা প্রানী থাকে।কচ্ছপ প্রানীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিদিন বেঁচে থাকা প্রানীদের মধ্যে অন্যতম। কেননা এরা প্রায় ৪০-৫০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। অন্যান্য প্রানী সাধারনত এত দিন বাঁচে না।কারন এদের আয়ুষ্কাল অনেক কম হয়।তবে ধীরস্থির প্রানীদের মধ্যে কচ্ছপ শীর্ষে অবস্থান করে।
এদের চেয়ে ধীরগতিতে কোন প্রানী চলাফেরা করতে পারে না।স্কুল লাইফে আমরা সবাই খরগোশ এবং কচ্ছপের প্রতিযোগিতার গল্প পড়েছি, শুনেছি এমনকি পরীক্ষায়ও লিখেছি।খরগোশ দ্রুততার সাথে দৌড়াতে থাকে অপরদিকে কচ্ছপ অত্যান্ত ধীরে চলাফেরা করে।আমরা কচ্ছপ নামে মাত্র চিনি কিন্তু এদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানি না। কচ্ছপেরও বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে।
তাদের বিভিন্ন প্রজাতির সম্পর্কে আজকে আমরা জানব।একইসাথে বিভিন্ন প্রজাতির একে অপরের মধ্যে কি ধরনের পার্থক্য বিদ্যমান তা সম্পর্কে জানব।তবে বাড়িতে পোষার জন্য সকল প্রজাতির সব সাইজের কচ্ছপ উপযুক্ত নয়।এজন্য ছোট সাইজের কচ্ছপ বেশী উপযুক্ত।চলুন কাছিমদের সম্পর্কে বিচিত্র রকমের তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
পোষা প্রানী কচ্ছপঃ
সকল প্রজাতির কচ্ছপের মধ্যে এরা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।এরা সর্বদাই মানুষের সাথে ফ্রেন্ডলি হওয়ার চেষ্টা করে।এরা বাসা বাড়িতে , খোলা জায়গায় এমনকি উঠানে ভালভাবেই থাকতে পারে।অর্থাৎ পোষা প্রানী হিসেবে এরা বেশি পছন্দ করে মানুষ।এদের অ্যাকুরিয়ামেও বাড়িতে রাখা যায়।এরা ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।এরা ২০-৩০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
আফ্রিকান কচ্ছপঃ
অন্যান্য কচ্ছপের চেয়ে এদের ঘাড় অনেক লম্বা ধরনের।অন্যান্য কচ্ছপের ট্রেডিশনাল বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য চেয়ে এদের কিছু বৈশিষ্ট্য আলাদা প্রকৃতির।এরা আকারে ছোট হলেও সুইমিং এর জন্য এদের কমপক্ষে ৭৫ গ্যালন পানি দরকার পড়ে।অতিবেগুনি রশ্মিতেও এরা চলাফেরা করতে পারে।এরা কখনও ৭০ ডিগ্রীর নিচের তাপমাত্রায় থাকতে পারে।এদেরও ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ডি৩ এর দরকার পরে।এরা ৩ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে, এবং ৫০ বছর কিংবা তার বেশি পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
আফ্রিকান প্রানীদের সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন
ইষ্টার্ন বক্স কচ্ছপঃ
এরা এদের পছন্দমত বাড়িতে ইনডোর কিংবা আউটডোরে থাকতে পারে।কিন্তু অন্যান্য কচ্ছপের চেয়ে এদের থাকার জায়গা বেশি লাগে।এরা আর্দ্র পরিবেশে থাকা পছন্দ করে।তবে খুব বেশি ঠাণ্ডা হলেও এরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরা ৫-৭ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।এবং বন্দী পরিবেশে এরা ৩০-৪০ বছর পর্যন্ত এবং বন্য পরিবেশে এরা প্রায় ১০০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে।
ওয়েষ্টার্ন কচ্ছপঃ
এদের দেখে মনে হয় কেউ এদের উপর পেইন্টিং করেছে।এই কারনে এরা অন্যান্য কচ্ছপের চেয়ে অনেক আকর্ষনীয়।অ্যাকুয়াটিক কচ্ছপের চেয়ে এদের জায়গা একটু বেশি লাগে।এরাও বড় আকারের ট্যাংকে এবং আউটডোরে ভালভাবে থাকতে পারে।তবে এরা একরকম লাজুক প্রকৃতির।এজন্য এদের বেশি নাড়াচাড়া করলে খুব পছন্দ করে না।এরা ১০ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয় এবং ৫০বছরের বেশি পর্যন্ত বেঁচে থাকে।
ম্যাপ কচ্ছপঃ
এদের শরীরে খোলসের পাশাপাশি এক ধরনের পাখাও আছে। এই পাখা তাদের খোলস সহ দৌড়াতে সাহায্য করে।এদের মিসিসিপি অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায়।এরা ৩০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।১০ ইঞ্চি পর্যন্ত এরা লম্বা হয়ে থাকে।
পরিশেষে, আরও অনেক ধরনের কচ্ছপ রয়েছে।কিন্তু একই সাথে সব ধরনের কচ্ছপের সম্পর্কে জানা সময় সাপেক্ষ। তাই অন্যান্য প্রজাতির কচ্ছপের সাথে পশুপাখি ,বন্যপ্রানীদের সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। আপনাদের মন্তব্য কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।