You are currently viewing মরুভূমির বুকে আশ্চর্যজনক প্রানী যা দেখলে অবাক হবেন

মরুভূমির বুকে আশ্চর্যজনক প্রানী যা দেখলে অবাক হবেন

আমাদের চারপাশে আশ্চর্যজনক প্রানীর সংখ্যা মোটেও কম নয়। কিন্তু এরা বেশি ভাগ সময় আমাদের চোখের আড়ালে থাকে।আমদের এই পৃথিবীতে জল, স্থল এবংআকাশ এই তিনটি স্তরে বিভক্ত।মানুষ এবং প্রানীদের বিচরনের জন্য মূলত এই তিনটি স্তরই বেশি ব্যবহৃত হয়।এর মধ্যে সমভূমি অঞ্চল মানুষের বসবাসের সবচেয়ে উপযোগী।প্রানীদের জন্য জল এবং বনভূমি বেশি উপযুক্ত। জলের নিচে এবং বনের মধ্যে আশ্চর্যজনক প্রানী সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য। যে সব প্রানীদের সাথে আমরা বেশি পরিচিত কিংবা পছন্দ করি বেশিভাগ ক্ষেত্রে সেসব প্রানীদের কথা আমরা মনে রাখি অথবা জানার চেষ্টা করি।এজন্যই হয়ত আশ্চর্যজনক প্রানীগুলো আমাদের জানার পরিধির বাহিরেই থেকে যায়।



উট কে মরুভূমির জাহাজ বলা হয়। কেননা অন্যান্য প্রানীর চেয়ে উট মরুভুমির বুকে দীর্ঘ পথ  পাড়ি দেয়।এছাড়াও অন্যান্য ছোট-বড় আরও প্রানী রয়েছে যারা মরুভুমির বুকে বেঁচে থাকে। ফলে সেখানেও এক প্রকার খাদ্যশৃঙ্খল গড়ে উঠেছে।এতে করে সকল প্রানীর খাবারই প্রকৃতিতে বিদ্যমান তাও বুঝা যায়।এজন্য আজকে আমরা সেই সব প্রানীদের সম্পর্কে জানব যাদের নাম অন্যান্য প্রানীর মতই স্বাভাবিক কিন্তু তাদের আকার-আকৃতি বড়ই অদ্ভুত ধরনের।চলুন প্রানীদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাকঃ


ক্যাঙ্গারু ইঁদুরঃ

ক্যাঙ্গারু অষ্ট্রেলিয়ার উল্লেখযোগ্য প্রানী এবং সবাই জানি এটি দেখতে কেমন।কিন্তু এই নামের যে ইঁদুর আছে তা অনেকেই জানে না।এই ইঁদুরদের নাম এমন হওয়ার কারন এদের পা ক্যাঙ্গারুর মতই শক্তিশালী।এদের লেজ ৪ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়।আমেরিকার কিছু অঞ্চল এবং মেক্সিকোর  কিছু অঞ্চলে এদের দেখতে পাওয়া যায়।

kangaroo rat
ছবিঃ ক্যাঙ্গারু ইঁদুর

স্যান্ড ক্যাটঃ

উত্তর পশ্চিম আফ্রিকা অঞ্চলে এদের দেখতে পাওয়া যায়।বিড়াল বাসা বাড়িতে থাকে। কিছু ক্ষেত্রে এদের জঙ্গলেও দেখতে পাওয়া যায়।কিন্তু মরুভুমি অঞ্চলে বিশেষ প্রজাতির এই বিড়াল দেখতে পাওয়া জায়।এরা ২২.৫ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।এদের ওজন অন্যান্য স্বাভাবিক বিড়ালের চেয়েও বেশি এবং শক্তিশালী  হয়।


পোষা প্রানীদের সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন

sand cat বিড়াল
ছবিঃ স্যাণ্ড ক্যাট

ট্যাডপোল চিংড়িঃ

অন্যান্য মরু প্রানীর মত এরা অত আকর্ষনীয় নয় বরং এদের বর্তমানে দেখতে পাওয়া যায় না। মরুভুমিতে পানি থাকে না স্বাভাবিক একটি বিষয়; সেখানে পানিতে চিংড়ি মাছ থাকা বড়ই অদ্ভুত বিষয়। এমনটি হত তবে আজ থেকে তা ২৫২ মিলিয়ন বছর পূর্বে।এমন প্রানীর অস্তিত্ব ছিল তা গবেষনায় পাওয়া গিয়েছে।

Tadpole Shrimp
ছবিঃ প্রাচীন চিংড়ি



জ্যাক র‍্যাবিটঃ

এটা মুলত খরগোশ এবং এদের বনাঞ্চলে দেখতে পাওয়া গেলেও মরুভুমিতে এদের বিশেষ ধরনের প্রজাতি পাওয়া যায়।জ্যাক র‍্যাবিট বা মরুর খরগোশ অন্যান্য খরগোশের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। এদের অ্যারিজোনা অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায়। এই প্রজাতির খরগোশ ১০ ফিট দূরত্বে লাফ দিতে পারে।এবং এরা দরকার পড়লে ঘন্টায় ৪০ মাইল পর্যন্ত দৌড়াতে পারে।এদের লেজ ৩ ইঞ্চি লম্বা হয় এবং সম্পুর্ন শরীর ২২ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে।

jack rabbit
ছবিঃ জ্যাক র‍্যাবিট

আশ্চর্যজনক প্রানীঃ

এই প্রানীর নাম সাইগা।নাম অদ্ভুত এবং অপরিচিত হলেও দেখতে অনেকটা হরিনের মত।কিন্তু এরা এত বেশি পরিচিত এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এদের লম্বা শিং এবং উদ্ভট আকৃতির নাকের জন্য।এই নাকের ছিদ্র সর্বদা নিচের দিকে হয়ে থাকে।নাক এমন পজিশনে হওয়ার জন্য গ্রীষ্মের সময় বাতাসের চলাচল শরীরের তাপমাত্রা ঠান্ডা রাখে। এবং শীতের সময় এই নাকের কারনে শরীরের তাপমাত্রা গরম থাকে।এরা প্রায় বিলুপ্তপ্রায় এবং রাশিয়া, মঙ্গোলিয়া এবং কাজাকাস্তান অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায়।


আশ্চর্যজনক প্রানী
ছবিঃ আশ্চর্যজনক প্রানী সাইগা

পরিশেষ, আশ্চর্যজনক প্রানীর সংখ্যা পৃথিবীতে মোটেও কম নয়।এদের সংখ্যা বাড়ছে।কেননা নিত্য নতুন প্রজাতির প্রানী দিন দিন উদ্ভাবন হচ্ছে। এমন সব নতুন প্রানীদের সম্পর্কে বিচিত্র তথ্য জানতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং আপনাদের মন্তব্য কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আমাদের  সাথে শেয়ার করুন।ভাল থাকুন সুস্থ  থাকুন।


Facebook Comments

YappoBD

YappoBD-হলো poshupakhi.com এর একমাত্র স্বত্তাধীকারি। এই ওয়েবসাইটের সকল প্রকার কন্টেন্ট ইয়াপ্পোবিডি কর্তৃপক্ষ দ্বারা লিখিত, পরিমার্জিত এবং এটি ইয়াপ্পোবিডি এর অঙ্গসংস্থান।