পোষা প্রানী যে কেউ পছন্দ করে।মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব বলা হয়। কেননা অন্য সকল জীবের চাইতে মানুষ বুদ্ধিমত্তা দিক থেকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে।সৃষ্টিকর্তা সকল প্রাণীকে মানুষের অধীন করে দিয়েছে।এজন্যই হয়তো সকল প্রাণী মানুষের পোষ মানতে বাধ্য হয়।তবে পোষ মানিয়ে কখনো প্রাণীদের ওপর অত্যাচার করা যাবে না।সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে প্রাণীদের প্রতি মানুষের ভালোবাসা থাকবে এটাই স্বাভাবিক।প্রাণীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হবে।
প্রাণীদের মধ্যে নিরীহ হিংস্র সহ বিভিন্ন ধরনের প্রাণী রয়েছে।প্রাণীদের প্রতি মানুষের ভালোবাসা রয়েছে কিন্তু কিছু কিছু প্রাণীদের লক্ষ্য করলে দেখা যায় সেসব প্রাণীর মানুষের প্রতি এক অকৃত্রিম ভালবাসার জন্ম নেয়।এজন্যই হয়তো তারা তাদের মালিকের প্রতি বিশ্বস্ত থাকে।তবে কিছু অসাধু মানুষ রয়েছে যারা সামান্য লাভের আশায় প্রাণীদের ক্ষতি করে থাকে যা মোটেও কাম্য নয়।প্রাণীদের প্রতি মানুষের ভালোবাসা বিভিন্নভাবে উপস্থাপিত হলেও মানুষের প্রতি প্রাণীদের ভালোবাসা অতি সহজেই সকলের নজরে আসে না।তাই আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয়বস্তু সেসব প্রাণীদের নিয়ে যাদের মানুষের প্রতি স্নেহশীল।
শিম্পাঞ্জিঃ
এই প্রাণী দের সাথে মানুষের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ধারণা করা হয় সময় কালের বিবর্তনে শিম্পাঞ্জি দেশ থেকে মানুষের উৎপত্তি।আর এজন্যই হয়ত মানুষের ডি এন এর সাথে এদের ডিএনএর ৯৮% মিল রয়েছে।মানুষ সমাজে বাস করে একে অপরের প্রতি যে ভালোবাসার উষ্ণতা অনুভব করে তাই এই প্রাণীদের মধ্যে বিদ্যমান।এরা মানুষের মতোই সামাজিকভাবে বসবাস করতে পছন্দ করে।তবে অন্যান্য প্রাণীদের চেহেরা অনেক বুদ্ধিমান।
হাতিঃ
অন্যান্য প্রাণীদের সে হাতি মানুষের মতো সবচেয়ে বেশি সামাজিক প্রাণী।মানুষের সাথে হাতির বন্ধুত্ব অনেক গভীর হয় বিধায় অনেক মানুষ এদের পোষা প্রানী হিসেবে বাড়িতেও রাখতে চায়।এরা মানুষের সাথে খেলতে বেশি পছন্দ করেন। দীর্ঘ সময় ধরে এদের থেকে দূরে থাকলেও অনেকদিন পর ও হাতি
তাদের মনে রাখতে পারে।সহজ কথায় এরা মানুষের চেহারা মনে রাখতে সবচেয়ে বেশি পারদর্শী।মানুষের মত এদের রাগ আনন্দ-বেদনা কান্না অনুভূতি রয়েছে।অনেক ক্ষেত্রে মানুষের জন্য এরা সংরক্ষক এর ভূমিকা পালন করে।
পান্ডাঃ
ফুডপাণ্ডার মত পান্ডার সাথে আমরা পরিচিত।পার্থক্য হল পান্ডা এক প্রকার প্রাণী মানুষের সাথে বসবাস করতে খেলতে অন্যান্য বিভিন্ন কাজ করতে পছন্দ করে।এই প্রাণে দেখে যেকোনো মানুষের মন গলে যায়। পান্ডা তাদের বাচ্চাদের সাথে নিজস্ব ভাষায় যোগাযোগ করে থাকেন।তবে মানুষের অনেক ভাষা
এবং ইশারা এরা অতি সহজেই বুঝে থাকে।তবে এদের রাগ উঠলে অনেক সময় ক্ষতির চেষ্টা করতে পারে।তাই অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এদের পোষ মানাতে হয়।
পোষা প্রানীঃ
বিড়াল পছন্দ করে না কিংবা দেখেনি এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল।পোষা প্রাণীদের তালিকার শীর্ষে বিড়াল এবং কুকুরের অবস্থান।এই বৈশিষ্ট্য বিশ্বব্যাপী সব দেশ লোকের মধ্যে রয়েছে।তাই অনেকেই বিড়াল কুকুর পুষে থাকেন।এরা মানুষের প্রতি সবচেয়ে বেশি স্নেহশীল হয়।এজন্যই মানুষ এদের কোলে
করে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করে।এরা নিঃশর্তভাবে হাঁটতে পারে এবং রাতের গভীর অন্ধকারে অনায়াসে স্পষ্ট দেখতে পারে।বিড়ালকে পোষা প্রানী হিসেবে কে না পছন্দ করে।
খরগোশঃ
অন্যান্য প্রাণীর মতো এরপর মানুষ বাড়িতে পোষা প্রাণী হিসেবে রাখতে পছন্দ করে।পোষা প্রাণী হিসেবে এদের পছন্দ করার অন্যতম কারণ এরা মানুষের ক্ষতি করে না; এমনকি বাচ্চাদেরও ক্ষতি করে না।এজন্য বাচ্চারাও এদের দেখে অনেক আনন্দ পায়।অন্য প্রাণীদের চেয়ে এরা তাদের মালিকের আওয়াজ এবং চেহারা সূক্ষ্মভাবে মনে রাখতে পারে।এই বৈশিষ্ট্য এদের অনন্য করেছে।পোষা প্রানী হিসেবে এদের জুড়ি নেই।
ডলফিনঃ
স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে ডলফিন সবচেয়ে বেশি বুদ্ধিমান প্রাণী। এরা নিরীহ প্রাণী হওয়ায় মানুষের সাথে এদের এক আত্মিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ কারণে এরা মানুষের খুব নিকটে থাকতে পছন্দ করে।সমুদ্র কিংবা সার্কাসে মানুষ দেখে এরা অনেক আনন্দ পায়।মানুষের অনেক কথাবার্তা নকল করার চেষ্টাকরে থাকে। সার্কাসে ট্রেইনারদের দ্বারা পরিচালিত হলে মানুষের প্রতি এরা কি পরিমান স্নেহশীল তার স্পষ্ট দেখতে পাওয়া যায়।
এ সম্পর্কে আরও জানতে ক্লিক করুন
পরিশেষে, পোষা প্রানী কিংবা বন্য প্রাণী যাই হোক না কেন উপরোক্ত প্রানীগুলো মানুষের প্রতি এক অদৃশ্য ভালোবাসা কাজ করে। এজন্যই এরা অন্যান্য হিংস্র প্রানীদের মতো মানুষের ক্ষতি করার চেষ্টা করে না। প্রাণীদের সম্পর্কে রকম মজার তথ্য জানতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য কমেন্ট বক্সে মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করুন।