বন্য প্রানী প্রাণীজগতে আমরা অনেক দেখি এবং চিনি।কিন্তু প্রাণীদের মধ্যে জল স্থল ও আকাশ পথের বিভিন্ন প্রাণী উড়ে বেড়ায়।প্রাণীদের চলাফেরা এবং বাসস্থান এর বৈশিষ্ট্য উপর ভিত্তি করে এদের বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।তবে এদের মধ্যে অনেক প্রাণী একই সাথে দুই জায়গায় চলাফেরা করতে পারে। এমন প্রাণীদের মধ্যে বানর অন্যতম। বানর একই সাথে হাঁটতে এবং লাফিয়ে বেড়াতে পছন্দ করেন।
বানরের সমতুল্য অনেক প্রজাতি আছে যেমন বেবুন ইত্যাদি এদের থেকেই উৎপত্তি কিন্তু বৈশিষ্ট্য আলাদা। এজন্য বানর এবং বেবুন সহ অন্যান্য সম প্রজাতির প্রাণী গুলো একই এলাকায় বাস করে।ধারণা করা হয় বানরের উৎপত্তি ট্রপিক্যাল রেইন ফরেস্ট থেকে।পূর্বে এমনকি এখনও অনেক প্রজাতির বানর ওই অঞ্চলে বাস করে।
আদি প্রাণীর ইতিকথাঃ
আদি প্রাণীর তালিকায় বানর একমাত্র প্রাণী নয় যে এদের থেকে প্রাণিজগতের বিকাশ ঘটেছে। পৃথিবীতে বানরের আবির্ভাবের পূর্বেও প্রাণের অস্তিত্ব ছিল এবং সময়ের বিবর্তনের সাথে সাথে রূপান্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর ঘটেছে। আদি প্রাণী দের সাথে বানরের সবচেয়ে বড় পার্থক্য ছিল এদের লেজে। কেননা অন্যান্য প্রাণীদের থেকে বানরের লেজ ছিল এবং আদি প্রাণী দের কোন রকম লেজ ছিল না।আদি প্রাণী গুলো আকারের দিক থেকে বানরের চেয়ে বড় ছিল এবং তাদের মস্তিষ্কের আকৃতি ও বৃহৎ ছিল।
বিপন্ন প্রজাতি সম্পন্ন বানরঃ
বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি যে বর্তমানে প্রাণীদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।এর মূল কারণ হচ্ছে বনভূমি উজাড়। প্রাণীরা মনে থাকতে পছন্দ করে বিষয়টি স্বাভাবিক।কিন্তু বর্তমানে মানুষ শিকার করার উদ্দেশ্যে অথবা অবৈধভাবে বন্যপ্রাণীদের শিকার করে থাকে। এজন্যই বন্যপ্রাণীরা অনেকটা
সুরক্ষিত নয়। বিভিন্ন জাতের প্রাণীদের মধ্যে বেঁচে থাকার প্রতিযোগিতা সর্বদা বিদ্যমান থাকবেই। কিন্তু মানুষ হিসেবে অবৈধভাবে পশু শিকার মোটেও কাম্য নয় এজন্য অবশ্যই আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। আর এজন্যই হয়তো দিন দিন বিভিন্ন প্রাণীর সংখ্যা কমে আসছে এবং তা প্রায় বিলুপ্তির পথে। বন্যপ্রানীদের জন্য এটা ক্ষতিকর। বিপন্ন সামুদ্রিক প্রানী সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন
সামাজিকতাঃ
অত্যন্ত মজার বিষয় হলো মানুষের মতো বানানো দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে পছন্দ করে।তারা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকে। এজন্যই চিড়িয়াখানা কিংবা বনে গেলে তারা একে অপরকে উকুন পোকা সহ বিভিন্ন রকম অপরিচ্ছন্নতা হতে নিজেদেরকে সর্বদাই পরিষ্কার করার চেষ্টা করেন। সমাজে বসবাস করার
জন্য মানুষ যেমন এক অপরের সাথে সামাজিক বন্ধনের মাধ্যমে একত্রিত থাকে বানররাও নিজেদের মধ্যে এমন সামাজিক বন্ধনের গড়ার মাধ্যমে একত্রে থাকে। বন্যপ্রানী হলেও এরা যথেষ্ট সামাজিক।
বন্য প্রানীঃ
বারবারি ম্যাকাউ নামের প্রজাতির বানর শুধুমাত্র সম্পূর্ণ ইউরোপে দেখতে পাওয়া যায়।জলবায়ু এবং ভৌগোলিক পরিবেশ আলাদা হওয়ার কারণে অন্য অঞ্চলের বানর থেকে দেখতে কিছুটা আলাদা দেখায়। কিন্তু বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে এরা অভিন্ন।সমীক্ষায় দেখা গেছে মরক্কো এবং আলজেরিয়ার আশপাশের অঞ্চলগুলোতে এদের বাসস্থান এবং এই অঞ্চলের সবচেয়ে বেশি দেখতে পাওয়া যায়।তবে বর্তমানে জিব্রাল্টার প্রণালীর আশেপাশে প্রায় ২০০ টি বানরের দেখা পাওয়া গিয়েছে। নকল করতে পারা প্রানীর সাথে এ কেমন ঘটনা ঘটল বিস্তারিত পড়ুন
সবচেয়ে ছোট বানরঃ
দক্ষিণ আমেরিকায় অ্যামাজনের উপকূলে পিগমি মারমোসেট নামক এক প্রজাতির বানর খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।এর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা করলে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায় যে এরাই পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে ছোট প্রজাতির বানর। এদের আকার-আকৃতি ছোট এবং ওজন অন্যান্য প্রজাতির বানরের চেয়ে কম। এরা একা একা চলাফেরা করতে পছন্দ করে না। সর্বদাই ২- ৬ সদস্য বিশিষ্ট বানরদের নিয়ে এরা গ্রুপে চলাচল করে।
স্ত্রী প্রজাতির বানর ১ -৩ টি পর্যন্ত বাচ্চা দিয়ে থাকে। মাঝে মাঝে এরা জমজ বাচ্চা ও দিয়ে থাকে। বানরদের মধ্যে এরাই একমাত্র প্রজাতি যাদের আকৃতি ছোট হওয়ার কারণে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।পরিশেষে,বানর সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। পড়ে কেমন লাগল এবং এ সম্পর্কে আপনাদের মতামত কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে শেয়ার করুন।