You are currently viewing বানর কেন ছোট বাচ্চাদের পছন্দনীয় প্রানী
  • Post category:বানর
  • Reading time:1 mins read

বানর কেন ছোট বাচ্চাদের পছন্দনীয় প্রানী

বানর অন্য যে কোন প্রানীর চেয়ে আকারে ছোট এবং বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম করে থাকে। এই কারনে অন্য যে কোন প্রানীদের চেয়ে বান্দর বেশী হাইলাইট হয়। বানর সবসময় লাফালাফি করে থাকে। এই লাফালাফি করার জন্যই সকলের  নজরে  আসে। বানর অনুকরন বা নকল করে থাকে। আপনি এমন কোন জায়গায় যদি ঘুরতে যান যেখানে বানর আছে তাহলে সেখানে একটি বিষয় লক্ষ্য করবেন। তা হল আপনি যখন যা করবেন বানরও আপনাকে দেখে তাই করবে। আপনি বানর দেখে যদি গা চুলকান তাহলে বানরও আপনাকে দেখে সে তার নিজের গা চুলকাবে। এই কারনে বানরকে বাঁদর বা বান্দর বলা হয়।

বানর কেন ছোট বাচ্চাদের  নিকট পছন্দনীয়

মানুষের সাথে বান্দর এর যথেষ্ট মিল আছে। কারন বিবর্তনের ক্ষেত্রে বান্দর থেকে মানুষের উৎপত্তি বলে ধারনা করা হয়। বাদরের জীনের সাথে মানুষের জীনের মিল রয়েছে। ছোট বাচ্চারা বানর পছন্দ করে কারন বাচ্চারা খেলার ছলে যা যা করে থাকে। বানরও একই কাজ করে থাকে। এতে করে ছোট বাচ্চারা আনন্দ পায়। চিড়িয়াখানায় গেলে বানারের কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত থাকে জায়গাটি। বাদাম, কলা , সহ বিভিন্ন ধরনের খাবার মানুষ দিয়ে থাকে। এগুলো তারা লাফিলাফিয়ে খেয়ে থাকে। তবে একটি বিষয় মজার লাগে তারা আপনার থেকে খাবার কেড়ে নিয়েও খেতে পারে। এসব কর্মকান্ডের কারনেই ছোট বাচ্চারা বানর পছন্দ করে। এসব দেখে তারা আনন্দ পায়।

বানর
ছবিঃ বানর এর ছবি

 

বান্দর সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য আছে যা আমাদের জানারে পরিধির বাহিরে। সেসব সম্পর্কে জানতে  আমাদের সাথেই থাকুন

১। গবেষনায় দেখা গেছে বিশ্বব্যাপী ২৬৪ প্রজাতির বানরের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। আপনি যা করবেন বানরও তাই করবে। এই কারনে এরা বেশী ভাগ সময় লাফাতে এবং খেলতে পছন্দ করে। আমেরিকা অঞ্চলগুলোতে নতুন প্রজাতির বানরদের দেখা মিলে; এশিয়া এবং আফ্রিকা অঞ্চলে পুরাতন প্রজাতির বানরের দেখা মিলে।

২। এরা বাদাম, ফলমূল সহ অন্যান্য আরও কিছু খেয়ে থাকে। কিছু কিছু প্রজাতির বানর আছে যারা মাংস, পাখির ডিম সহ অন্যান্য আরও কিছু খেয়ে থাকে। এর মধ্যে অনেক পোকামাকড় খেয়ে থাকে।

৩। হোলার প্রজাতির বানর পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড় জোরে শব্দ করতে পারা বানর। এরা এত জোরে শব্দ করে থাকে যে তাদের আওয়াজ ৩ মাইল দূর থেকেও শোনা যায়। এদের লেজ এদের শরীরের থেকে ৫ গুন লম্বা হয়ে থাকে।

৪। পিগমি মারমোসেট নামের এক প্রজাতির বাদর আছে। এদের সম্পর্কে পূর্বে বিভিন্ন আর্টিকেলে  লিখা আছে। বানরের ছবি দেখলে অন্যান্য বানরের থেকে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। এরা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে ছোট প্রজাতির বানর। বানরের পা কয়টি তা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন আসে। কারন এরা কখনও কখনও মানুষের মত চলে আবার মাঝে মধ্যে বাঘের মত চলে। প্রকৃতপক্ষে এদের পা দুটি এবং সামনের দুটি হাত। কিন্তু প্রয়োজনে এরা হাতকে পায়ের মত ব্যবহার করে। মানুষ হামাগুড়ি দিয়ে হাটলে যেমন ভাবে চলে বানরও গাছের ডালে তেমনি ভাবে চলে।

৫। এক প্রজাতির বাদড় আছে যা দেখতে কাঠবিড়ালির মত। এরা ২৫ ধরনের আওয়াজ বের করতে পারে। এরা বিভিন্ন ধরনের শব্দ করে থাকে। কখনও ঘেউ ঘেউ তো কখনও বাদুড়ের মত চিৎকার করে থাকে। নিশাচর প্রানীদের এমন বিচিত্র রকমের আওয়াজ করে থাকে।

৬। প্রাপ্ত বয়স্ক বানর ১০-৫০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। মানুষের ফিঙ্গারপ্রিন্ট যেমন একজনের সাথে অন্যজনের মিল থাকে না। তেমনিভাবে এদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট এ ও একে অপরের সাথে মিল থাকে না। গ্রামে বানরের খেলা দেখানো হতো। এখনও হয় কিন্তু দিন দিন এসব হারিয়ে যাচ্ছে।

পরিশেষে, বান্দর সম্পর্কে আরও অনেক বিস্তারিত তথ্য আছে যা শুনলে অবাক হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু একটি আর্টিকেলে তা তুলে ধরা সম্ভব নয়। এই কারনে এদের সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং লেখাটি আপনার টাইমলাইনে শেয়ার করুন। ততক্ষন পর্যন্ত ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

 

 

Facebook Comments

YappoBD

YappoBD-হলো poshupakhi.com এর একমাত্র স্বত্তাধীকারি। এই ওয়েবসাইটের সকল প্রকার কন্টেন্ট ইয়াপ্পোবিডি কর্তৃপক্ষ দ্বারা লিখিত, পরিমার্জিত এবং এটি ইয়াপ্পোবিডি এর অঙ্গসংস্থান।