আমরা আমাদের বাড়িতে শখ করে বিভিন্ন ধরনের প্রানী পুষে থাকি।কিন্তু এই পোষা প্রানী অবশ্যই নিরীহ প্রকৃতির হয় এবং তার মালিকের কখনোই ক্ষতি করে না।এজন্যই মানুষ পোষা প্রানীদের নিজের কাছে রাখতে পছন্দ করে।বিড়াল, কুকুর আরও বিভিন্ন ধরনের প্রানী রয়েছে যাদের আমরা পোষ মানিয়ে থাকি এবং নিজেদের সাথে রাখতে পছন্দ করি।কিন্তু এমন ধরনের
কিছু প্রানী রয়েছে যাদের পোষা প্রানী হিসেবে তো সহজেই রাখতে মন চায় কিন্তু বাসা বাড়িতে রাখা সম্ভব হয়ে ওঠেনা।এদের আচরন মানুষের জন্য অসুবিধার কারন হয়।
প্রানীদের পুষলে শুধুমাত্র এদের খাওয়া-দাওয়া নয় এদের বিভিন্ন যত্ন নেওয়ার দিকেও লক্ষ্য রাখতে হয়। এর জন্য অবশ্য বিভিন্ন ধরনের পশু ডাক্তার রয়েছে। আজকে আমরা সেইসব প্রানীদের সম্পর্কে জানব যারা পোষা প্রানী হিসেবে উপযুক্ত কিন্তু বাসাবাড়িতে এদের সহজে রাখা যাবে না। চলুন জেনে নেওয়া যাকঃ
শিম্পাঞ্জিঃ
এই প্রানী কে চিনে না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। এদের অনেক আচার-আচরণ বানর এর সাথে মিল রয়েছে।ধারনা করা হয় মানুষের পূর্বপুরুষ এদের প্রজাতির সাথে অনেকটা মিল ছিল।এরা সহজে পোষ মানলেও রেগে গেলে এরা মানুষের উপর আক্রমণ করে থাকে।
এছাড়াও এদের শরীরে ইবোলা, রেবিস সহ আরো বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায়। তাই এদের বাড়িতে কখনোই পোষা প্রাণী হিসেবে রাখা যায়না।
ইগুয়ানাঃ
এদের পোষা প্রাণী হিসেবে বাসাবাড়িতে পালন করা উচিত নয়।কেননা এদের শরীর হতে সালমোনেলা নামক পদার্থ নিঃসৃত হয়। এক জরিপে দেখা গেছে এদের কারণে প্রতিবছর ৯৩০০০ প্রানী বা মানুষ অসুস্থ হয়।পৃথিবীর ভয়ংকর সুন্দর টিকটিকি সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন
পোষা প্রানীঃ
এর আকার অত্যন্ত ছোট এবং এদের রেইনফরেস্টে দেখতে পাওয়া যায়। প্রকৃতপক্ষে রেইনফরেস্টের মূল বাসস্থান। এর আকারে ছোট হলেও অধিকাংশ সময়ই এরা এদের মালিকদের আচর দেয় কামড়ায় অথবা যে কোন উপায় আঘাত করে থাকে। এজন্য এদের দেখে অত্যন্ত নিরীহ মনে হলেও পোষা প্রাণী হিসেবে এদের চয়েজ করা মোটেও সঠিক সিদ্ধান্ত নয়।
বড় সাপঃ
পাইথন প্রজাতির সাপ গুলো নিজের বসতবাড়িতে কখনোই পোষা প্রানী হিসেবে রাখা উচিত নয়।কেননা প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় এরা এতটাই শক্তিশালী এবং বড় হয় যে এরা তাদের নিজেদের মালিককেও আস্ত গিলে খেতে পারে।
এজন্য অনেক পেট ওনার আলাদা জায়গায় এদের থাকার ব্যবস্থা করে। বাহিরের দেশে সাপকে পোষা প্রানী হিসেবে পালন করা হয়। এমনকি এদের সাহায্যে এরা মডেলিংও করে থাকে।
সী-হর্সঃ
এরা সহজেই মানুষের কিছু উপকার করে থাকে এবং কিছু ক্ষতি উপরে থাকে।ক্ষতি গুলো এড়ানোর জন্যই এদের থেকে দূরে থাকা ভালো। অথবা সতর্ক থাকতে হয়। ইন্দোনেশিয়া ফিলিপাইন থাইল্যান্ড সহ বিভিন্ন দেশ থেকে এদের ধরে অন্যান্য দেশে বাণিজ্য করা হয়।এগুলো অনেকে একুরিয়াম এর মধ্যে রাখতে পছন্দ করে।
পরিশেষে, এমন অনেক আরও প্রানী রয়েছে যাদের আমরা পোষা প্রানী হিসেবে নিজেদের কাছে তো রাখতে চাই কিন্তু এমন অনেক কারন রয়েছে যে জন্য এদের নিজের কাছে রাখা যায় না।নিজের কাছে রাখলে শখ পূরণ হবে ঠিকই কিন্তু ক্ষতির পরিমাণ ছোট নয়।
এমন সব প্রাণীদের অজানা তথ্য জানতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য কমেন্ট বক্স এর মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করুন ।ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।