বসন্তকালে শীতনিদ্রা তে যায় কিছু সংখ্যক প্রানীরা। বসন্তকালকে ঋতুর রাজা বলা হয়।কেননা এই সময় প্রকৃতি সম্পূর্ন নতুন রুপে নতুন সাজে সজ্জিত হয়।চতুর্দিকে নতুন নতুন হরেক রকমের ফুলফুটে।এজন্য গাছ-পালা এবং প্রকৃতি নতুন ভাবে নিজেদের তুলে ধরে।এ সময় কবিরা প্রকৃতির প্রেমে মুগ্ধ হয়ে বিভিন্ন ধরনের কবিতা লিখে থাকে।এজন্য হয়ত বসন্তকাল কবিদের নিকট
অনেক পছন্দনীয় সময়।বসন্ত কালে প্রকৃতির নতুন ভাবে সাজার পাশাপাশি কিছু কিছু প্রজাতির প্রানীদেরও দেখা মিলে। বসন্তকালে শীতনিদ্রার প্রানীরা অন্যান্য সময় সচরাচর থাকে না। আমাদের দেশ বাংলাদেশে শীতকালে অতিথি পাখিদের আগমন ঘটে থাকে। শীতের শেষের দিক এরা অন্য জায়গায় পরিযায়ী হয়।
শীতনিদ্রায় শব্দের অর্থ হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিজেদের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আবদ্ধ করে রাখে বা বাস করে।অন্যান্য সকল স্বাভাবিক কার্জক্রম হতে নিজেদের বিরত রাখে।এমকি তারা খাদ্য সংগ্রহ পর্যন্ত করে না।
শীতনিদ্রায় যাওয়ার আগে এরা এদের সম্পূর্ন ব্যবস্থ করে নেয়।কিছু কিছু প্রানী এদের শরীরের অতিরিক্ত চর্বিকে তখন শরীরের খাদ্যের চাহিদা পূরন করে এবং শরীরে শক্তির সঞ্চার করে থাকে। আজকে আমরা ঐ সব প্রানীদের সম্পর্কে জানব যারা বসন্তকালে শীতনিদ্রা থেকে জাগ্রত হয়।চলুন জেনে নেওয়া যাক।
বাদুড়ঃ
শীতকালে বাদুড় গুহার মধ্যে শীতনিদ্রায় চলে যায়। বাদামী প্রজাতির বাদুড় সহ অন্যান্য আরও সকল ধরনের বাদুড় শীতকালে শীতনিদ্রায় থাকে। এই সময় এদের শরীরের বিপাক ক্রিয়া, হার্ট রেট, সহ অন্যান্য কার্জকলাপ এর মত্রা অনেক কমে আসে।এজন্য এসময় এদের শরীরের শক্তি অনেক কম খরচ হয়।এভাবে এরা নিজেদের সেফ রাখে।
কালো ভাল্লুকঃ
যদিও এদের শীতনিদ্রায় যাওয়া নিয়ে অনেক টা সমালোচনা আছে।কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এরা শীতনিদ্রায় যায়।তবে এখানে শীতের সময় এদের শরীরের তাপমাত্রা অন্য প্রানীর মত অতটা কমে যায় না।
কিন্তু এদের শরীরের মধ্যে কিছু মেটাবলিক চেঞ্জ হয়ে থাকে। ভাল্লুক সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন
কাঠবিড়ালিঃ
এরা সর্বদা লাফিয়ে বেড়ায়।কিন্তু এরাও শীতনিদ্রায় যায় তা অনেকেই বিশ্বাস করতে পারে না। কিন্তু প্রতিকূল পরিবেশ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে শীতনিদ্রায় যায়। এরাও শীত নিদ্রার সময় মাটির নিচে বাস করা পছন্দ কর্রে।এরা প্রায় ২.৯ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় শীতনিদ্রায় যায়। এদের শরীরে সুপার কুলিং সিস্টেম আছে।
পরিশেষে, বসন্তকালে শীতনিদ্রা তে থাকা প্রানীদের সম্পর্কে জানা হল।বসন্ত কালে প্রানীদের মধ্যে এক বিশেষ ধরনের পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। ফলে প্রানীদের মধ্যে চাঞ্চল্যতা পরিলক্ষিত হয়।পাখিদের ক্ষেত্রে এই চাঞ্চল্যতা বেশী দেখতে পাওয়া যায়।পশুপাখিদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং আপনার মূল্যবান মন্তব্য কমেন্ট বক্সের মধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করবেন।