গত পর্বে আমরা প্রানী প্রজাতির মধ্যে কিছু প্রজাতির অলস প্রানীদের সম্পর্কে জেনেছি। আজকের আর্টিকেলে আরও কিছু ধরনের নতুন প্রানীদের সম্পর্কে জানব যারা অলসতায় সময় কাটিয়ে দিতে পছন্দ করে থাকে। অলস ভাবে সময় কাটিয়ে দিলেও এদের শরীরের কোন ধরনের অবনতি হয় না। বরং এদের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। এমন প্রানী গুলো যথেষ্ট মোটা ( পড়ুন স্বাস্থ্যবান ) হয়। পরিশ্রম কম করার কারনে এদের শরীরের শক্তি সঞ্চিত হয়ে থাকে।
অলস প্রানী কাজ করে কি না তার প্রথম পর্ব সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন
পাইথন সাপঃ
এরা অনেক ধীর গতিতে চলাফেরা করে থাকে এবং এমন ভাব দেখায় যেন এরা নিজেরাই অচল কিংবা স্থির হয়ে কোথাও আছে। এরা যে কোন কিছুকে অতি দ্রুত পেচিয়ে ধরতে পারে। তারা যে খাবার খায় তা সপ্তাহে একবার হজম হয় এবং তারা তারপর আরাম করে বেশি সময় নিয়ে ঘুমায়। শেডিং করার জন্য যে অতিরিক্ত শক্তির দরকার পড়ে তা তারা সপ্তাহ ব্যাপী একবারে ঘুমিয়ে সে কাজের প্রিপারেশন নেয়।

জলহস্তীঃ
জলহস্তী গড়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৬-২০ ঘন্টা প্রতিদিন ঘুমিয়ে থাকে। এদের মাটির উপর সূর্যের রোদ পোহাতে দেখতে পাওয়া যায়। কখনও একা কখনও গ্রুপ আকারে। এমনকি তারা পানির মধ্যে ঘুমিয়ে থাকে। তবে পানিতে যখন অবস্থান করে এবং ঘুমায় তখন সে তার নাক যে কোন ভাবে পানির উপরে থাকে যাতে করে শ্বাস-প্রশ্বাস ভালভাবে চালাতে হবে। এরা নিয়ম করে ৫ ঘন্টা ঘাসের উপর বিচরন করে থাকে।

কোয়ালাঃ
এরা এদের অলসতার এবং অত্যান্ত দক্ষতার সাথে নিখুত ভাবে ঘুমানোর পদ্ধতির জন্য বিখ্যাত। ২৪ ঘন্টার মধ্যে মিনিমাম ২ ঘন্টা ম্যাক্সিমাম ৬ ঘন্টা পর্যন্ত জেগে থাকতে পারে।তাদের কাছে খাওয়া দাওয়া করাটাও পরিশ্রমের কাজ মনে হয়। ইউক্যালিপ্টাস গাছের পাতা খেতে পছন্দ করে থাকে। যা তাদের শরীরে শক্তি যোগায় এবং খাদ্য হজম করতে সাহাজ্য করে থাকে।

পাণ্ডাঃ
এরা এদের অলস স্বভাবের জন্য সব জায়গায় বিখ্যাত হয়ে হয়ে আছে। এরা সবমিলিয়ে দিনে ১০ ঘন্টা করে ঘুমিয়ে থাকে। কখনও কখনও একসাথে ৩ ঘন্টাও ঘুমায় আবার এরা যে কোন সময় যে কোন জায়গায় জলদি ঘুম আসতে পারে আবার ঘুম থেকে উঠে খায় আবার ঘুমায়। এরা বেশিভাগ ক্ষেত্রেই বাশ কিংবা বাশের পাতা খেয়ে থাকে। এটি প্রায় দিনে ২০ কেজির মত খেয়ে থাকে এবং তাদের শরীরের জন্য যে পরিমান পুষ্টি এবং খাবার দরকার তা খুব ভালভাবেই পেয়ে থাকে।

পরিশেষে, এমন সব কমন প্রানীদের বিশেষ বিশেষ প্রজাতির এমন অলসতা দেখা যায়। যেমন ভাবে আমাদের আশেপাশেই এমন মানুষ আছে যারা অলস প্রকৃতির এবং ভবঘুরের মত ঘুরে বেড়ায়। সহজ কথায় কাজ করতে চায় না। আবার অন্য মানুষ কাজকর্ম করে ঠিকই করে খাচ্ছে। বিভিন্ন কিছু গড়ছে। অলস প্রানীদের নিয়ে আপনার মতামত কি তা আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। মানুষের কি অলস হওয়া উচিত এই বিষয়ে আপনি আপনার মন্তব্য আমাদের সাথে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। ততক্ষন পর্যন্ত ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।