এই পৃথিবীতে সাপ নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই। অন্য যে কোন প্রানীর চেয়ে মানুষ সাপ নিয়ে জানার আগ্রহ অনেক বেশি। এই কারনে সাপের সম্পর্কে অনেক বিচিত্র তথ্য রয়েছে। এমন কোন জায়গা নেই যেখানে সাপের বিচরন দেখতে পাওয়া যায় না। কারন সমুদ্রের তলদেশে যেমন সাপ পাওয়া যায় তেমনি ভাবে সুউচ্চ পাহাড়েও সাপের দেখা মিলে। শীতল পরিবেশেও যেমন সুন্দর সাপ রয়েছে তেমন তপ্ত মরুভূমিতেও এদের দেখা মিলে। কিন্তু অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে একই প্রানী বিভিন্ন পরিবেশে কিভাবে সার্ভাইভ করে থাকে?
পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড় সাপ কোনটি তা কি জানেন
স্বাভাবিক ভাবে যে কোন প্রানী যে নির্দিষ্ট জায়গায় থাকে সেখানে সেই পরিবেশে অভিযোজিত হয়ে যায় অর্থাৎ ঐ পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে যায়। এই পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেওয়ার যে প্রবনতা এই বিষয় যে কোন প্রানীকে ঐ পরিবেশে বেঁচে থাকতে কিংবা টিকে থাকতে সহযোগিতা করে। মানুষও এই বৈশিষ্ট্যের ব্যাতিক্রম নয়। এই কারনে নিজ নিজ এলাকা ব্যাতীত কিংবা ভিন্ন ভৌগলিক পরিবেশে চলাফেরা করতে প্রাথমিক ভাবে অসুবিধা হয়। আজকে আমরা কয়েক ধরনের সাপদের সম্পর্কে জানব যা অনেকের নিকট অপরিচিত।
ব্লু ক্রেইটঃ
অত্যান্ত বিষাক্ত সাপদের মধ্যে এরা অন্যতম। সাপের বিষ মানুষের মাংসপেশীকে প্যারালাইজ করে দিতে পারে। এছাড়াও এই সাপের কামড়ের বিষে মানুষের শ্বসনতন্ত্র উপর প্রভাব ফেলে ক্ষতিগ্রস্থ করার চেষ্টা করে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা হয়। এই সাপ কামড়ানোর ৪ ঘণ্টা অতিক্রম করলে শ্বাস-প্রশ্বাস প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তাদের প্রতি কামড়ে ১০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত সাপের বিষ রিলিজ করে থাকে।
কটন মাউথ সাপঃ
আমেরিকার দক্ষিন-পূর্ব অঞ্চলে এই সাপদের দেখা মিলে। এদের মুখের অভ্যন্তরে সাদা অংশ হওয়ার কারনে এদের এমন নামকরন করা হয়েছে। এরা যখনই যে কাউকে আক্রমন করতে চায় অথবা হিংস্র স্বভাবের হয় তখন এরা এমন করে থাকে। এরা পানিতে সাঁতার কাটলেও রোদ পোহাতে এরা ঠিকই ভূমিতে আসে। রোদ পোহানোর সময় এরা কয়েলের মত চক্রকারে প্যাঁচানো থাকে।
কপারহেড সুন্দর সাপঃ
এটি মাঝারি আকৃতির সাপ যা ২-৩ ফিট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এই সাপগুলো দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি রঙ্গিন হয়। তবে স্ত্রী প্রজাতির সাপ পুরুষ প্রজাতির সাপের চেয়ে লম্বা হয়ে থাকে। তবে এদের শরীরের রং এবং ডিজাইন প্যাটার্ন অন্য যে কোন সাপের চেয়ে সুন্দর এবং মনোমুগ্ধকর। স্বপ্নে সাপ দেখে থাকে অনেকেই। তবে স্বপ্নে সাপ দেখার কারন কি হতে পারে তা জানতে ভিজিট করুন
ওয়াটার স্নেকঃ
এদের শরীর যথেষ্ট ভারী প্রকৃতির এবং অনেকটা ধূসর বর্নের হয়ে থাকে। এদের শরীরের উপর সাদা কালারের রিবনের মত রিং থাকে। এরা ব্যাঙ, স্যালমন্ডার এবং ট্যাডপোল জাতীয় খাবার খেয়ে থাকে। এদের নর্থ ক্যারোলিনা অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায়। এদের বেশিভাগ ঝোপঝাড়ে এবং পুকুরে দেখতে পাওয়া যায়।
সরিসৃপদের মধ্যে সাপ এর কোন পা নেই। এই কারনে এদের চামড়ার সাহায্যে এরা বিভিন্ন কিছুর উপর দিয়ে চলাফেরা করে থাকে। সাপের মাথা থেকে লেজের প্রান্ত পর্যন্ত এদের মেরুদন্ড বিস্তৃত। এদের চামড়ার উপর খসখসে ভাব থাকে। তবে পানি ব্যাতীত অন্য যে কোন কিছুর উপর সাপ চলাফেরা করুক না কেন এরা পানির মধ্যেই সবচেয়ে বেশী দ্রুত চলাচল করে। সাপের যেমন পা নেই তেমনিভাবে এদের কানও নেই। তবে এদের জিহ্বার মাধ্যমে এরা সবকিছু শুনে থাকে। একই সাথে ঘ্রান নিয়ে থাকে।
পরিশেষে, সুন্দর সাপদের সম্পর্কে আরও মজার অনেক তথ্য আছে। এই তথ্য গুলো অনেকেরই অজানা ধরনের। মাঝে মাঝে এমন তথ্য প্রকাশিত হয় যে এদের সম্পর্কে বিচিত্র কিছু তথ্যও প্রকাশিত হয়। সাপের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারনে সাপ অন্য সরীসৃপ প্রানী থেকে আলাদা হয়ে থাকে। তবে এরা চলার সময় একে বেঁকে কেন চলাফেরা করে তার কারন এখন পর্যন্ত জানা যায় নি। অন্য যে কোন প্রানী স্বাভাবিক ভাবেই সোজা পথে চলে এবং বেশি দুরত্ব অতিক্রম করে। কিন্তু সাপই এমন এক প্রানী যারা একে বেকে চলে অতি কম সময়ে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে থাকে।
এছাড়াও সাপদের নিয়ে নিম্ন লিখিত লেখা গুলো পড়তে পারেনঃ
আফ্রিকার বিষাক্ত সাপ ব্ল্যাক ম্যাম্বার ইন্টারেস্টিং তথ্য
কিং কোবরা সাপ দেখে মানুষ ভয় পায় কেন