অন্য যে কোন প্রানীদের মধ্যে সাপ অত্যান্ত বিষ্ময়কর প্রানী। সাপ মরন কামড় দিয়ে থাকে প্রতিপক্ষকে। কেন বিষ্ময়কর প্রানী বলা হয় তা জানার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। সাপ সরীসৃপ প্রানীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এরা জলে এবং স্থলে একই জায়াগায় থাকে বিধায় অনেকে মনে করতে পারে এরা উভচর প্রানী কিন্তু বুকের উপর ভর দিয়ে এরা চলে এবং এদের চোখ ছাড়া আর কোন অঙ্গ নেই। তাই এদের দেখতে লম্বা লাঠি কিংবা দড়ির মত থাকে। যদিও চলার পথে এরা এঁকে বেকে চলে সর্বত্র এবং সবকিছু স্বাভাবিক ভাবে করতে পারে। এক জরিপে দেখা গেছে শুধুমাত্র আমেরিকাতেই প্রতিবছর গড়ে ৭০০০ সাপের কামড়ের কেস রিপোর্ট করা হয়। এমন প্রজাতিরও সাপ আছে যে গুলো সম্পূর্ন নির্বিষ এবং নিরীহ প্রকৃতির। তাদের কামড়ে মানুষের মৃত্যু হয় না। তবে তাদের কামড়ে অ্যালার্জির কিংবা ইনফেকশন হয়। এই কারনে আমাদের সর্বদাই সাবধান হওয়া উচিত।
বিষাক্ত সাপ চেনার উপায়ঃ
সবাই সব ধরনের সাপের সাথে পরিচিত না। বিভিন্ন ধরনের সাপের সাথে অপরিচিত থাকা বা চিনতে না পারা সাধারন বিষয়। তাই এদের মধ্যে কোনটি বিষাক্ত এবং কোনটি অবিষাক্ত তা চেনার বিষয়টি অনেক মুশকিল। এই বিষয়টি শুধুমাত্র বিষদাঁত থাকলে এবং কামড়ালেই বুঝা যায় সাপটি বিষাক্ত। তবে বিষাক্ত সাপ কামড়ালে তার চিকিৎসা করা উচিত। তবে গবেষনায় দেখা গেছে আমেরিকাতে সাপ এত বেশি হলেও বিষাক্ত সাপের পরিমান কম। একই ভাবে বাংলাদেশেও বিষাক্ত সাপ আছে যাদের গহীন জংগলে দেখতে পাওয়া যায়। আমাদের আশেপাশে যে সব সাপের দেখা মিলে তাদের অধিকাংশ নির্বিষ। বিষাক্ত কিংবা নির্বিষ যাই হোক না কেন মানুষ সাপ দেখেই ভয় পায় এবং তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। সাপও আত্মরক্ষার চেষ্টা করে থাকে। ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে সাপ দেখলেও খুব বেশি ভয় পায়।
সাপের কামড়ের লক্ষনঃ
- এদের দুটি খোঁচা ক্ষত
- ক্ষতের চারপাশে চুলকায় এবং লাল হয়ে যায়
- কামড়ানোর স্থানে তীব্র ব্যাথা হয়
- শ্বাস-প্রাশ্বাসে সমস্যা হয় এবং বমি বমি ভাব হয়
- দৃষ্টিশক্তি ঝাপশা হয়ে যায়
- চোখ-মুখ অসাড় হয়ে আসে এবং শরীর প্রচন্ড ঘেমে যায় একই সাথে মুখ দিয়ে লালা পরে।
র্যাটেলস্নেকঃ
এই প্রজাতির সাপ অনায়সেই দেখতে পাওয়া যায়। এরা যখনই নিজেদের আক্রমনাত্মক ভেবে থাকে তখন এদের লেজের শেষ প্রান্তে রিং এর মত দেখা যায়। যেটা দেখে বুঝা যায় এরা নিজেদের অনিরাপদ ভাবছে এবং অত্মরক্ষার জন্য আপনাকে পাল্টা আক্রমন করবে। এরা অন্য সাপের চেয়ে যথেষ্ট বেশি বিষাক্ত প্রকৃতির এবং এদের পাহাড়ে কিংবা গাছের গুড়িতে রোদ পোহাতে দেখতে পাওয়া যায়।
এই সাপের মরন কামড় এর কারনে তীব্র ব্যাথার পাশাপাশি চোখের পাতা ঝরে পরে যায়। ব্লাড প্রেশার লো দেখায়, প্রচন্ড ক্লান্তি লাগে এবং একই সাথে মাংসপেশী দূর্বল হয়ে পড়ে এবং প্রচণ্ড তেষ্টা পায়।
কটনমাউথ সাপঃ
এরা পিট ভাইপার প্রজাতির সাপ এবং এদের এমন নাম করনের কারন হল এদের মুখে কটনের মত সাদা সুতা ব্যবহার হয়েছে। এরা ৫০ থেকে ৫৫ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং এদের গায়ের রং হালকা এবং গাঢ় কালো রঙের এবং জিগজ্যাগ ( অনেকটা ক্রসব্রান্ড) প্রকৃতির হয়ে থাকে। এই সাপের কামড়ে তীব্র ব্যাথা হয় এবং স্কিনের কালার চেঞ্জ হয়ে যায়। যাকে কামড়ায় সে ব্যাক্তি শকে চলে যায়। লো ব্লাড প্রেশারের পাশাপাশি দূর্বলতাও বেশি কাজ করে।
পরিশেষে, সাপের মরন কামড় সম্পর্কে অনেক নতুন তথ্য জানানো হল। লেখাটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন এবং লেখাটি আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেন। ততক্ষন পর্যন্ত ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন। সাপদের নিয়ে আমাদের আরও আর্টিকেল হলঃ
বিষাক্ত ভয়ংকর সাপ কি দেখতে সুন্দর হয়
সাপ কামড়ালে কি কি প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে হয়