এই প্রানীজগতে বিচিত্র রকমের প্রানীদের কোন শেষ নেই। কোনটা দেখতে বিচিত্র সুন্দর প্রানী আবার কোনটা দেখতে বিশ্রী রকমের। প্রানীজগতে সব কিছুই একটি অপরটির সাথে একসাথে গাঁথা। এই কারনে যে কোন এক জায়গায় বিঘ্ন ঘটলে অন্যত্র বিশৃংখলা দেখা দেয়। প্রানীরা বাস্তুতন্ত্রের নিয়মের মধ্যে দিয়ে এক জীব অন্য জীবের উপর নির্ভরশীল। এই নির্ভরশীলতার কারনে জীবজগত টিকে আছে। প্রকৃতির এই নিয়ম সৃষ্টিকর্তা কর্তা কতৃক তৈরি। প্রানীদের মধ্যে অদ্ভুত বিচিত্র কিছু বৈশিষ্ট্যের দেখা পাওয়া যায় যার কারনে এরা একে অপরের থেকে আলাদা হয়।

কিছু কিছু প্রানী আছে যাদের আমরা সহজে দেখি নি কিংবা দেখা মিলে না। এমন সব প্রানীদের বিরল প্রজাতির প্রানী হিসেবে অভিহিত করা হয়। বিরল প্রজাতির প্রানী মধ্যে অনেক ক্যাটাগরির প্রানী আছে যারা দেখতে অসুন্দর। এই অসুন্দর হওয়ার কারনে অনেকে অপছন্দ করলেও একটি বিষয় মনে রাখার মত যে কোন এক প্রানী যদি কোন এক দিক থেকে পিছিয়ে থাকে তাহলে অন্য যে কোন এক দিক অনন্য বৈশিষ্ট্য থাকে যে কারনে এরা আলাদা হয়ে থাকে।
চিংড়ী মাছের ভূত দেখতে কী রকম হয় তা জানতে ভিজিট করুন
হাঙ্গরের ভূতঃ
সমুদ্রের তলদেশে বিভিন্ন প্রানীদের মধ্যে আক্রমনাত্মক প্রানী হল হাঙ্গর। এরা বিভিন্ন প্রজাতির হয়ে থাকে এবং ছোট অবস্থা থেকে দীর্ঘ আকারের হয়েও এদের সব প্রজাতি মানুষের নিকট অতি জনপ্রিয় নয়। কিছু কিছু হাঙ্গর আছে যারা অনেকটা বিলুপ্ত

প্রায় এবং কিছু প্রজাতি আছে যারা দেখতে কিছুটা উদ্ভট প্রকৃতির। হাঙ্গরের মত দেখতে হলেও কিছু প্রজাতির মাছ আছে তারা হাংগর নয় কিন্তু মানুষ তাদের হাঙ্গর বলে অভিহিত করে। আর বিশেষ ধরনের এই প্রানী গুলোকে উদ্ভট দেখানোর জন্য ভূতের মত মনে হয়।
সুন্দর প্রানী মথঃ
এদের মাথা দেখে কিছুটা সাপের মত মনে হলেও এরা প্রকৃত অর্থে সাপ নয়। এরা মাটিতে সরীসৃপদের মত চলাফেরা করলেও উড়ন্ত কীট-পতঙ্গ এবং ঘাসের মধ্যে থাকা পোকা-মাকড় খেয়ে থাকে। তবে এদের সাইজ এবং আকার আকৃতি দেখে যে কেউ ধোকা খেতে পারে। সাধারন মানুষ এদের সাপের বাচ্চা মনে করে থাকে। আর এই কারনে এদের মেরে ফেলে ভয় পেয়ে। কিন্তু এরা আসলে সাপ নয়।

সাপের ভূতঃ
সাপ এবং সাপের বিষ নিয়ে মানুষের রহস্যের শেষ নেই। এই কারনে সাপ নিয়ে সকল বয়সী মানুষের কৌতুহল থাকে। সাপ সব ধরনের হয়ে থাকে। রঙ্গিন সাপ মানুষের আকর্ষনের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু।
সাপের সম্পর্কে আরও জানতে ভিজিট করুন

সাপের এই ভূত বলে প্রকৃতপক্ষে কিছু নাই, সম্প্রতি মাদাগাস্কারের একটি অংশে নতুন ধরনের সাপের দেখা মিলে যেগুলো কালচে ধূসর বর্নের হয়ে থাকে। স্থানীয়ভাবে এদের লু লু নামে ডাকা হয় এবং এরা আকারের দিক থেকে অনেক ছোট আকারের।
ভূতুড়ে ব্যাঙঃ
দক্ষিন আফ্রিকার এক প্রজাতির ব্যাঙ আছে যাদের দেখতে এবং একদম বিচ্ছরি। অন্যান্য ব্যাঙের মত এরা দেখতে সবুজ কিংবা সোনালী রঙের নয়। বরং কালোর উপর ধূসর রঙের মিশ্রনে এদের দেখতে কিছুটা ভূতের মতই লাগে।
দক্ষিন আফ্রিকার আইকনিক বিচিত্র সুন্দর প্রানী সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন

পরিশেষে, ভূত প্রকৃতপক্ষে আছে এর কোন প্রমান পাওয়া যায় নি। কিন্তু আমরা সাধারনত যে সব জিনিষের সাথে অভ্যস্ত নই সেগুলো যখন দেখে থাকি তা আমাদের মনে ভয়ের সঞ্চার করে। অথবা আকস্মিকভাবে আমরা যখন এমন কিছু দেখি যার জন্য আমরা প্রস্তুত নই। এই বিষয়গুলোকে আমরা ভূত বলে থাকি। বাস্তবে ভূত নেই।
আমাদের লেখা পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। এছাড়াও লেখাটি আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে পারেন। ততক্ষন পর্যন্ত ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।