আইকনিক প্রানী উক্ত অঞ্চলের প্রানীদের উপস্থাপন করে।আফ্রিকা মহাদেশকে পৃথিবীর সকল প্রাণীর অভয়ারণ্য বলা হয়।কেননা এখানেই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মরুভূমি অবস্থিত। আফ্রিকার জঙ্গলে বিপুল পরিমাণ প্রাণীদের অস্তিত্ব রয়েছে।আফ্রিকা মহাদেশের সকল দেশের সমন্বয়ে বিশাল এ আফ্রিকার বনভূমি সৃষ্টি হয়েছে।তবে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ সমূহ কোন মহাদেশের উন্নত নয়।সময়ের সাথে এরা অনেকটা পিছিয়ে।তবে দক্ষিণ আফ্রিকা অন্যান্য দেশগুলোর চেয়ে অনেক এগিয়ে এবং উন্নত মানের।এমনটি হয়েছে শুধুমাত্র সে দেশের মাটির নিচের খনিজ পদার্থের কারণে।দক্ষিণ আফ্রিকার মাটির নিচে যথেষ্ট পরিমাণ স্বর্ণ এবং হীরার খনি রয়েছে।
আফ্রিকার অন্যান্য দেশের চেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন দিক থেকে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুনাম কুড়িয়েছে।আজকে আমরা এমন সব প্রাণীদের সম্পর্কে জানব যা আফ্রিকায় সহজে দেখতে পাওয়া যায় কিন্তু আমরা তাদের সম্পর্কে খুবই কম জানি।চলুন এসব প্রাণীদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাকঃ
গন্ডারঃ
এদের পা ছোট হওয়ায় এদের উচ্চতা খুব বেশি হয় না।নাকের উপর ছোট এবং বড় উভয় ধরনের শিং রয়েছে।এই শিং দিয়ে সে প্রতিপক্ষকে আঘাত করে থাকে।সারা বিশ্বের যত প্রজাতির যত সংখ্যক গন্ডার রয়েছে তার শতকরা ৮০ ভাগই এই আফ্রিকার জঙ্গলে বসবাস করে। এদের ২ ধরনের প্রজাতি রয়েছে।আফ্রিকা মহাদেশ অনেক বড় হওয়ায় এর বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে একত্রিতভাবে বসবাস করে।আইকনিক প্রানী গন্ডার কিভাবে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে জানতে ক্লিক করুন
বুনো মহিষঃ
এই প্রাণীটি আফ্রিকার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিচিত এবং শক্তিশালীও। দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে এদের দেখতে পাওয়া যায়।কিন্তু এরা এদের এলাকার আশেপাশে সহজে কাউকে আসতে দেয় না; বিশেষ করে মানুষকে। বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী এ পর্যন্ত এদের আক্রমণে অনেক মানুষ প্রান হারিয়েছে।
এদের ঘাড় ৩.৩ থেকে ৫.৬ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয় এবং দৈর্ঘ্যের দিক থেকে এরা ১.২ ফিট পর্যন্ত হয়ে থাকে।ক্ষুদ্রাকৃতি হওয়ার পরও এদের ওজনের কারণে অন্যান্য প্রাণী থেকে এরা অনেক শক্তিশালী।প্রাপ্তবয়স্ক হলে এরা ৫০০ থেকে ১০০০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। দেখতে সুন্দর না হলেও আইকনিক প্রানীর তালিকায় এরা রয়েছে।
আইকনিক প্রানীঃ
সাহারা এবং রেইনফরেস্ট অঞ্চল ব্যাতীত, অন্যান্য অঞ্চলের সাপদের মধ্যে সবচেয়ে বিষধর প্রজাতির পাফ অ্যাডার সাপ এটি। স্ত্রী প্রজাতির সাপের চেয়ে পুরুষ প্রজাতির সাপ লম্বা হয়। ওজনের দিক থেকেও এরা প্রায় ৬ কেজির কাছাকাছি এবং অন্যান্য সাধারণ সাপের চাইতে দৈর্ঘ্যে অনেক বড়; তা প্রায় ৩.৫ ফুটের কাছাকাছি।এরা খাবার হিসেবে পাখি, টিকটিকি এবং অন্যান্য ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী খেয়ে থাকে।শত্রুর হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য ক্যামোফ্লাজ ধারণ করে।
কুদুবুলঃ
আফ্রিকার তৃণভূমি অঞ্চলের আশেপাশে এদের দেখতে পাওয়া যায়।দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের গাছপালা থাকায় এ অঞ্চলে এসব প্রাণী বেশি দেখতে পাওয়া যায়।এদের শরীর তেমন মোটা নয় এবং পা লম্বা হয়।এদের শরীরের চামড়া অনেকটা লালচে ধূসর বর্ণের হয়ে থাকে। এ কারণে এদের দেখতে অনেক সুন্দর দেখায়। তবে এদের বাঁকানো লম্বা শিং রয়েছে।
আফ্রিকান মৃগ:
এদের জেমস বক নামে ডাকা হয়।এদের আফ্রিকার দক্ষিণাংশে নামিবিয়া নামক দেশের এবং তার আশেপাশের চারণভূমিতে দেখতে পাওয়া যায়।হরিণের মতো দেখতে হলেও এদের বর্ণ এবং বৈশিষ্ট্য সামান্য আলাদা।এদেশে দু’টি অত্যন্ত খাড়া লম্বা প্রকৃতির এবং সূঁচালো প্রকৃতির।এদের শিং ৩৩ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।
পরিশেষে, দক্ষিন আফ্রিকার আইকনিক প্রানীদের সম্পর্কে অনেক কিছু জানা গেল।লেখাটি পড়ে কেমন লাগলো?আফ্রিকার অন্যান্য প্রানীদের সম্পর্কে জানতে অথবা নতুন কোন কিছু শেয়ার করতে চাইলে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আপনাদের মন্তব্য তুলে ধরুন এবং আমাদের সাথেই থাকুন।