You are currently viewing জঙ্গলের রাজা সিংহের এ কেমন তথ্য প্রকাশ পেল
পশুর রাজা সিংহ

জঙ্গলের রাজা সিংহের এ কেমন তথ্য প্রকাশ পেল

সিংহ হল পশুর রাজা এবং এদের চলাফেরার মধ্যে রাজা ভাব প্রকাশ পায় যা অন্য কোন প্রানীর চালচলনে প্রকাশ পায় না। জঙ্গলের রাজা হিসেবে এদের সাথে অন্য কোন প্রানীর তুলনা হয় না। সিংহ দেখে নি এমন মানুষ হয়ত পাওয়া মুশকিল হবে। কিন্তু সিংহ দেখা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে জদি বলা হয় তবে বর্তমানে প্রযুক্তির কল্যানে তাও ঘরে বসে দেখতে পারে। টিভিতে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি, ডিসকভারি, এবং অ্যানিমেল প্লানেট থেকেও অতি সহজে বাংলা ভাষায় দেখতে পাওয়া যায়। মজার বিষয় হল তা অবশ্যই আফ্রিকা কিংবা অন্যান্য দেশে সরাসরি কিংবা শুটিং  করা ভিডিও দেখা যায়।



জঙ্গলের রাজা সম্পর্কে নতুন যে কোন তথ্য জানার কিউরোসিটি সবার মধ্যেই আছে। এছাড়া চিড়িয়াখানায় গিয়ে লাইভ সিংহ দেখার উপায় আছে। অর্থাৎ স্বচক্ষে সামনা সামনি দেখা। এক রাজ্যে যেমন দুই রাজা থাকতে পারে না তেমনিভাবে  এক বনে বা জঙ্গলে দুই পশু কখনও রাজা হতে পারে না। এজন্য বাঘ ও সিংহ একই এলাকায় থাকে তবে তাদের মধ্যে লড়াই বেশি হয়ে থাকে। এজন্য কখনই এদের একই এলাকায় কিংবা পাশাপাশি এলাকায় দেখতে পাওয়া যায় না।



পশুর রাজা সিংহ সামাজিক প্রানী এবং এরা পরিবার নিয়ে একত্রে বাস করে থাকে। তবে  এক্ষেত্রে অবশ্যই সিংহ, সিংহী এবং তার বাচ্চারা মিলে একত্রে থাকে। সিংহের ক্ষেত্রে যেমন ভয়াল থাবা এবং ধারালো দাঁতই যথেষ্ট প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য। একই বৈশিষ্ট্য সিংহীর ক্ষেত্রেও। জঙ্গলের রাজা বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে যা অন্য প্রানীদের নেই। এ জন্য এরা ইউনিক প্রানীদের মধ্যে অন্যতম। আজকে আমরা এই সম্পর্কে  জানব।

আফ্রিকার বুকেঃ

পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি প্রজাতির সিংহ আফ্রিকার বুকে দেখতে পাওয়া যায়। তবে খুব কম সংখ্যক সিংহই সারা পৃথিবী ব্যাপী অন্যত্র দেখতে পাওয়া যায়। আফ্রিকার সাহারা মরুভূমির পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায়। তবে কিছু প্রজাতির সিংহ ইন্ডিয়ার পশ্চিম অংশে দেখতে পাওয়া যায়। সেন্ট্রাল আফ্রিকা এবং পশ্চিম আফ্রিকার সিংহগুলোর সাথে আমাদের এশীয় মহাদেশের সিংহদের কিছুটা মিল পাওয়া যায়। আফ্রিকার দক্ষিন এবং পূর্ব দিকে যেসব সিংহ দেখতে পাওয়া যায় তা দেখতে এবং বৈশিষ্ট্যের দিক থেকেও সামান্য পার্থক্য রয়েছে। এজন্য আফ্রিকায় সিংহের এত ভ্যারাইটির সিংহ দেখতে পাওয়া যায়।

West African Lion
ছবিঃ পশ্চিম আফ্রিকার সিংহ



জঙ্গলের রাজার ওজনঃ

এমন কি কখনও কল্পনা করতে পারেন একটি সিংহের ওজনে কত কেজি হতে পারে। এত বেশী ক্ষিপ্রতার প্রানীটির শক্তি মানুষের শক্তির কয়েকগুন। কিউরোসিটি দূর করার জন্য, এদের ওজন ৩০ টনের সমান। যা কেজিতে ১৯০ কেজি। পুরুষ সিংহের ওজন এমন হয়। স্ত্রী প্রজাতির সিংহের ওজন ২০ টন বা ১২৬ কেজি ওজনের সমান। এত বেশি ওজন হওয়ার কারনে এরা শিকার করার সময় এত বেশি শক্তি প্রয়োগ করে থাকে। এই হল এদের ক্ষিপ্রতার রহস্য।

Lions

 সিংহের কেশরঃ

পুরুষ প্রজাতির সিংহের ঘাড়ে কেশর গুচ্ছ প্রকৃতির হয়ে থাকে। এই অদ্ভুত প্রকৃতির লুক তাদের অন্য প্রানীদের থেকে আলাদা করেছে। স্ত্রী প্রজাতির সিংহীর ঘাড়ে কেশর নেই। পুরুষ প্রজাতির সিংহদের কেশর ১৬ সে মি পর্যন্ত বড় হয়ে থাকে। এবং এই কেশর থাকার কারনে এদের মধ্যে সর্বদাই ডমিনেট করার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। সিংহ যত বেশী বয়স হতে থাকে এদের কেশর তত বেশি কালো হতে থাকে। সিংহীদের আকর্ষন করা ছাড়াও এই কেশরের কারনে এরা নিজেদের ঘাড়কে বিভিন্ন আঘাত এবং ইনজুরি থেকে রক্ষা করতে পারে।


জঙ্গলের রাজা
ছবিঃ সিংহের কেশর

পারিবারিক পরিচর্যাঃ

সিংহ এবং সিংহীর উভয়ের লালন পালন করে থাকে সিংহের বাচ্চাদের। এদের ইংরেজিতে cub বলা হয়। একটি সিংহী কয়েকটি পুরুষ গ্রুপের সাথে বাস করে। এদের ক্ষেত্রে গ্রুপ অবশ্যই ছোট হয়। পুরুষদের কাজ হল আত্মসম্মান বজায় রাখা এবং গ্রুপকে রক্ষা করা। আফ্রিকার এমন প্রানীদের সম্পর্কে জানার জন্য ভিজিট করুন


Lions family
ছবিঃ সিংহ এবং তার ফ্যামিলি

সবচেয়ে বড় খাদকঃ

সিংহের ওজন এবং দৈহিক আকৃতির জন্য এদের পর্যাপ্ত খাদ্যের প্রয়োজন হয়। এজন্য এরা শিকার করলে বড় প্রানীকেই শিকার করে থাকে। এদের ক্ষুধা বেশি হওয়াই এরা যতই খাওয়া দাওয়া করুক না কেন এরা বেশি ভাগ সময়ই ক্ষুধার্ত থাকে। এবং নিয়মিত ভাবে এরা প্রানীদের শিকার করে থাকে। এরা ৪০



কেজি পর্যন্ত খাবার একবারে খেয়ে থাকে যা তাদের সম্পূর্ন শরীরের চারভাগের একভাগ। এদের সম্পূর্ন শরীরের মধ্যে জিহ্বা অনেক ধারলো। এতটাই বেশী ধারালো যে মাংস এবং হাড্ডি পর্যন্ত সহজেই সাবাড় করে ফেলতে পারে।

জঙ্গলের রাজা
ছবিঃ সিংহের শিকার

পরিশেষে, সিংহ পশুর রাজা অর্থাৎ জঙ্গলের রাজা। জঙ্গলের সকল প্রানীদের মধ্যে সিংহ অত্যান্ত বেশি শক্তিশালী এবং হিংস্র হওয়াই অন্যান্য প্রানীরা এর বশ শিকার করতে বাধ্য হয়। এজন্য তারা রাজার নিয়ম মেনে চলে। তবে এদের ব্যাপারে মূল বিষয় হল এরা ঝড়ের সময় এরা শিকারে বের হয় এবং অন্যান্য



প্রানী ঘরে ফিরে। সিংহের জন্য ঝড় শুরুর সময়ে শিকারের জন্য একান্তই উপযুক্ত। অন্ধকার হয়ে আসলে এরা অন্ধকারের সুযোগ কাজে লাগিয়ে এরা শিকারের উপর আক্রমন করে থাকে।  এদের সম্পর্কে আপনাদের নতুন কিছু জানতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য আমাদের সাথে শেয়ার করুন। ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।

Facebook Comments

YappoBD

YappoBD-হলো poshupakhi.com এর একমাত্র স্বত্তাধীকারি। এই ওয়েবসাইটের সকল প্রকার কন্টেন্ট ইয়াপ্পোবিডি কর্তৃপক্ষ দ্বারা লিখিত, পরিমার্জিত এবং এটি ইয়াপ্পোবিডি এর অঙ্গসংস্থান।