সবচেয়ে সুন্দর প্রজাতির পাখি দেখেতে আকর্ষনীয়। প্রাণীদের মধ্যে পাখি অন্যতম। আকাশ যেসব প্রানীর বিচরণ তাদেরই আমরা পাখি হিসেবে চিনি। আবহাওয়া স্থান এবং জলবায়ুর ভেদে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন প্রজাতির পাখি পাওয়া যায়। পাখিদের নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কিছু সবচেয়ে সুন্দর প্রজাতির পাখি আবার কিছু পাখি দেখতে তেমন আকর্ষণীয় নয়। আকার আকৃতি সহ আরো অনন্য বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ক্যাটাগরির পাখি আমরা দেখতে পাই।
বাংলাদেশ সবুজ শ্যামল দেশ। তাই এদেশের বন জঙ্গল হতে লোকালয় পর্যন্ত বিভিন্ন গাছপালায় বিভিন্ন ধরনের পাখির বসবাস দেখতে পাই। তবে এমন কিছু প্রজাতির পাখি আছে যারা নির্দিষ্ট সময় পরপর পরিভ্রমণ করে থাকেন। সচারচর এ ধরনের পাখি আমাদের দেশে অতিথি পাখি বলা হয়। শীতকালের বেশি আবির্ভাব দেখা যায়। অন্যান্য দেশ থেকে পরিযায়ী হওয়ায় যাত্রাপথে তারা কিছু সময়ের জন্য বিরতি নেয়। আজকে আমরা সুন্দর প্রজাতির পাখি সম্পর্কে জানবঃ
গার্নারি পিটাঃ
সুন্দর পাখির তালিকায় এরা অন্যতম। এদের থাইল্যান্ড দেখতে পাওয়া যায়। কেউ যদি এদের দেখতে চাই তাহলে থাইল্যান্ড কিংবা থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী মিয়ানমার অংশে এসব পাখির দেখা মিলবে এর মাথার উপর নীল রংয়ের কিছু পালক রয়েছে। এই ভালো গুলো অনেকটা মাথায় অবস্থিত মুকুটের মত দেখায়।এরা দৈর্ঘ্যে ৮.২৫ ইঞ্চি এবং এদের ওজন প্রায় ৩ আউন্স বা ৮৬ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। এছাড়া খাবার হিসেবে এরা পোকামাকড় খায়।আকারে ছোট হলেও এরা সবচেয়ে সুন্দর প্রজাতির পাখির তালিকায় রয়েছে।
বোহেমিয়ান পাখিঃ
সুন্দর পাখিদের মধ্যে সহজেই যে কারো নজর কাড়ার অপরূপ সৌন্দর্য পাখির মধ্যে রয়েছে। এর পালক গুলো বিভিন্ন রং এর মিশ্রণ এর ফলে সুন্দর মিষ্টি রঙের হয়ে থাকে। এক রঙের উপর অন্য রঙের বিন্যাস সৌন্দর্যকে আরো বেশি ফুটিয়ে তোলে। সুন্দর পাখি সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন
সবচেয়ে সুন্দর প্রজাতির পাখিঃ
১৮শ শতাব্দীর দিকে ইউরোপীয় অঞ্চলের মানুষ মনে করত যে এই প্রজাতির পাখির পা নেই। পা না থাকায় এরা মাটি কখনও স্পর্শ করে নি এমনটাই মানুষের ধারনা ছিল। এজন্য ল্যাটিন ভাষায় এদের পা হীন পাখি বলে অভিহিত করা হয়। কিন্তু এই ভ্রান্ত ধারনা মানুষের এক সময় দূর হয়। এরা ফল, ফলের বীজ, পোকামাকড় ইত্যাদি খেয়ে থাকে। এরা ১৭ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এরা নিউগিনি এবং ইন্দোনেশিয়ার অঞ্চলে এদের দেখতে পাওয়া যায়।এদের স্বর্গের পাখিও বলা হয়।
কিউবান টডিঃ
এরা দেখতে অনেক সুন্দর এবং রঙ্গিন প্রকৃতির। ছোট কিন্তু স্বাস্থ্যবান এই পাখিকে দেখে যে কারও মন আনন্দে ভরে উঠবে। এদের ছোট ছোট দ্বিপ অঞ্চলে খুঁজে পাওয়া যাবে। এরা এতটাই ছোট প্রকৃতির যে অনায়সেই হাতের মুঠোর মধ্যে চলে আসবে। সবুজ মাথা, লাল ঠোঁট, সবুজ পালক এবং ধূসর বর্নের পালকের সংমিশ্রন পাখিটিকে অনিন্দ্য সুন্দর করে তুলেছে।
সেক্রেটারি পাখিঃ
এই পাখির নাম শুনে অনেকেই অবাক হবেন। কিন্তু এই নাম হওয়ার পিছনে এদের শিকার করার পদ্ধতি অনেকাংশে দায়ী। ১৮০০ শতকের দিকে পুরুষ প্রজাতির পাখি ইউরোপীয় অঞ্চলের দিকে পাওয়া যায়। কাল এবং সাদা রঙের পালকের সংমিশ্রন পাখিটিকে অসম্ভব সুন্দর ভাবে প্রকাশ করে।
সুন্দর পাখি সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা গেল।সকল প্রজাতির প্রানী এবং পশুপাখি সম্পর্কে জানতে ও এ রকম নতুন এবং সবচেয়ে সুন্দর প্রজাতির পাখি সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং আপনাদের মুল্যবান মন্তব্য আমাদের সাথে শেয়ার করুন।