পাখিদের মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরি রয়েছে। যেহেতু পাখিরা আকাশে উড়ে বেড়ায় তারপরও পাখিদের উড়তে পারার উপর বিভিন্ন ধরনের বিষয় বস্তু নির্ভর করে। একই সাথে সব পাখি সব ধরনের উচ্চতায় উড়তে পারে না। কোন পাখি নিচু উচ্চতায় উড়ে বেড়ায় আবার কোন পাখি অনেক বেশি উচ্চতায় উড়ে বেড়ায়। বনাঞ্চলেও পাখিদের দেখা মিলে আবারা বাড়ির পাশে গাছের ডালেও দেখা মিলে। এগুলো মূলত পাখিদের বৈচিত্র্য এবং প্রজাতিভেদে বিভিন্ন রকম বৈশিষ্ট্যের হয়ে থাকে। আমাদের দেশে শীতকালে অতিথি পাখিদের আগমন ঘটে। এবং আমরাও দেশি পাখির পাশাপাশি বিদেশি পাখিদের দেখা মিলে।
যে সমস্ত পাখি সারা বছর ভ্রমন করে থাকে অর্থাৎ পরিযায়ী হয় সেই পাখিগুলো সাধারনত অধিক উচ্চতায় উড়ে বেড়ায়। সাগরের উপর দিয়ে পাড়ি জমায় এক দেশ হতে অন্য দেশে। এই জন্য এদের সাগরের পাখি বা sea bird বলা হয়। সাগরের উপর উড়ে বেড়ানো পাখিদের মধ্যে বেশি ভাগ সাদা পালক বিশিষ্ট হয় এবং সাদা পালকের মধ্যে অন্য পালকেরও মিশ্রন থাকে। এমন এক ধরনের পাখি হল অ্যালবাট্রোস। আজকে আমরা সবচেয়ে বেশি উঁচুতে উড়তে পারা পাখিদের সম্পর্কে জানব। এদের এত উঁচুতে উড়তে পারার রহস্য কি?
গুডউইট পাখিঃ
এরা পরিযায়ী পাখিদের মধ্যে সাইজ সাধারন পাখিদের মধ্যে হলেও এরা অনেক শক্তিশালী। বকের যেমন গলা লম্বা হয় এবং তেমনি এই পাখির ঠোঁট অনেক লম্বা হয়। প্রজননের সময় এরা অ্যালাস্কা এবং সাইবেরিয়া দেখা যায় এবং শীতকালে আস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে দেখা পাওয়া যায়। মাইগ্রেট করা অন্যান্য পাখিদের মধ্যে এরাই একমাত্র পাখি যারা না থেমে অর্থাৎ নন-স্টপ মাইগ্রেশন করে থাকে। এরা ১১০০০ কিলোমিটার বিনা বিশ্রামে ভ্রমন করে। উড়ন্ত অবস্থায় এরা ২০০০০ ফিট পর্যন্ত উচুতে উড়তে পারে।

স্টোর্ক পাখিঃ
এদের গলা বকের মতই লম্বা ধরনের। হিসেব করে দেখা গেছে এদের গলা ৪৫ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। ইউরোপ এবং মধ্য পশ্চিম এশিয়ার অঞ্চল গুলোতে এদের দেখা মিলে। এদের শরীরে পালকগুলোর সাদা কালোর দারুন সংমিশ্রন এই পাখিটিকে আরও সুন্দর করে তুলেছে। সাদা রং দেখে মনে হয় এর শরীরের উপর সাদা বরফের আস্তরন পড়ে আছে। এরা ১৬০০০ ফিট উচ্চতায় উড়ে বেড়াতে পারে।

কনডোর পাখিঃ
দক্ষিন আমেরিকার পাহাড় এবং এর আশেপাশে সবুজের সমারোহ অঞ্চলগুলোতে এদের দেখতে পাওয়া যায়। অন্যান্য পাখিদের চেয়ে এদের ডানা অত্যান্ত বিশাল প্রকৃতির এবং ১০ ফিট ৬ ইঞ্চি প্রশস্ত হয়। এই পাখির ওজন ১৫ কেজি এবং এটি ১৫০০০ ফিট উচ্চতা পর্যন্ত উড়ে বেড়াতে পারে। এই পাখি শক্তি, মুক্তি এবং সমৃদ্ধির প্রতীক। বলভিয়া, কলাম্বিয়া, চিলি এবং ইকুয়েডর এই দেশ সমূহের জাতীয় পাখি এটি। কিন্তু এই পাখিটিও বিপন্ন পাখির তালিকার অন্তর্ভুক্ত।

পরিশেষে, সকল পাখি সব ধরনের উচ্চতায় উড়তে পারে না। এজন্য সব পাখিদের বৈশিষ্ট্য এক হয় না। তবে একটী তথ্য শেয়ার না করলেই না তা হল এই যে সব পাখি সারা বছর মাইগ্রেট করে বেড়ায় এবং দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে এদের জীবন কাল বাকি পাখিদের চেয়ে অনেক বেশী হয়।
এরা সুস্থ যেমন থাকে তেমনি বেশীদিন বাঁচতে পারে। লেখাটি কেমন লাগল তা কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আমাদের সাথে আপনাদের মতামত তুলে ধরতে পারেন। লেখাটি আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন অন্যকেও জানার সুযোগ দিন। ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।