পাখির জালিয়াতি শব্দ শুনলেই অদ্ভুত লাগে। পশুপাখি মানুষের মত বিবেকবান প্রানী নয় যে এরা সব কিছুর ভাল মন্দ বুঝে। তবে কিছু উল্লেখযোগ্য প্রানীর মধ্যে কিছু স্পেশাল বৈশিষ্ট্য যাদের কারনে ঐ সব প্রানী আমাদের নিকট অনেক পরিচিতি লাভ করে। টাইটেল দেখে অনেকেই অবাক হতে পারে। আমরা সাধারন শুনে থাকি মানুষ মানুষের সাথে জালিয়তি করে। বিষয়টি লজ্জাজনক হলেও সত্যি। তবে পাখি এর ক্ষেত্রে জালিয়াতির সম্পূর্ন বিষয় জানতে পারবেন এই আর্টিকেলের শেষ দিকে। জালিয়াতি শব্দটাই আমরা নেগেটিভ ভাবে নিয়ে থাকি।
পাখি এবং গৃহপালিত প্রানী আমাদের বাসা বাড়ি তথা আমাদের পরিবেশের একটি গুরুত্বপূর্ন অংশ। পশুপাখি বলতে বা সাধারন পাখি বলতে আমরা শুধু আকাশে উড়ন্ত পাখিকেই বুঝে থাকি। কিন্তু গৃহপালিত প্রানীদের মধ্যে এমন অনেক প্রানী আছে যেগুলো পাখি ক্যাটাগরিতে পরে। সুন্দর পাখি সম্পর্কে
আমাদের কিছু আর্টিকেল আছে সেগুলো পড়ে নতুন নতুন তথ্য জানতে পারেন। পাখি মানুষের পছন্দের প্রানী। এজন্য মানুষ অন্যান্য প্রানীদের চেয়ে পোষা পাখিকে নিজেদের বাসা বাড়ি রাখতে পছন্দ করে। পাখিরা অনেক নিরীহ প্রানী হয় এবং সহজে মানুষের ক্ষতি করতে পারে না।
এছাড়াও পাখিকে পোষ মানালে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এদের পোষ মানাতে হলে যত্ন নেওয়ার এবং দেখাশুনা করার জন্য যেমন খাবার কম লাগে তেমনি সময়ও বেঁচে যায়। আজকে আমরা পাখিদের সম্পর্কে নতুন কিছু জানব নতুন আঙ্গিকে। কিছু কিছু পাখির নাম অনেক অপরিচিত এবং সেসব পাখি সম্পর্কে আমাদের ধারনা কম। প্রকৃতির বুকে গাছের ডালে প্রত্যেক পাখি তাদের নিজের বাসা বানায়।
এজন্য পাখিদের মধ্যে বাবুই পাখিকে শিল্পের কারিগর বলা হয়। তবে বাড়িতে পোষা পাখি রাখতে চাইলে পাখির খাঁচা কিংবা মাপ মত বাসা বানাতে হয়। কোকিল পাখির গান এবং ছোট বাচ্চাদের পাখির গল্প ও পাখির ছবি আঁকা সহ বিভিন্ন কিছুতে আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দু। এমন সুন্দর পাখিদের সম্পর্কে ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন
ক্ষুদ্রতম পাখিঃ
হামিং বার্ড পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম পাখিদের মধ্যে অন্যতম। এবং এরাই সবচেয়ে ছোট পাখি। হামিং বার্ডের দেখা আমাদের দেশে সহ সারাবিশ্বে বিভিন্ন জায়গায় দেখা মিললেও আমাদের দেশের লোকাল এক ধরনের ছোট পাখি আছে যার নাম টুনটুনি। টুনটুনি পাখি আকারে ছোট এবং লাফিয়ে বেড়ায় অথবা মাঝে মাঝেই ফুড়ুৎ করে উড়ে যায়। হামিং বার্ড এর মধ্যে এমন এক ধরনের প্রজাতি আছে যাদের শরীরের চেয়ে তাদের ঠোঁট বড়। অন্যান্য প্রজাতির প্রানীদের মধ্যে পাখিই এক মাত্র যারা সবচেয়ে বেশি বিস্তার লাভ করেছে। তবে এদের মধ্যে বেশিভাগ রেইন ফরেস্টে দেখা মিলে।
থাইল্যান্ডের জাতীয় পাখি সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন
বৈচিত্র্যময় দৈহিক গঠনঃ
জাপানের এক ধরনের মুরগি পাওয়া যায় যাদের ডানা ৩৪.৭ ফিট পর্যন্ত লম্বা হয়। পাখি অনেক হালকা প্রকৃতির হয়ে থাকে এবং কেননা এরা এদের শরীর হালকা রাখার জন্য মূত্র থলিতে কোন রকম মূত্র জমে থাকে না। কিছু কিছু পাখির মূত্র থলিই থাকে না। স্তন্যপায়ী প্রানীদের ফুসফুসের গঠনের চেয়ে এবং পাখিদের ফুসফুসের গঠন অনেক জটিল প্রকৃতির।
বিখ্যাত পাখিঃ
আমরা আমাদের চোখ এদিক ওদিক ঘুরাতে পারি এবং অনেক ক্ষেত্রেই আমরা মাথা না ঘুরিয়ে দেখতে পারি। কিন্তু প্যাঁচার ক্ষেত্রে বিষয়গুলো সম্পূর্ন ভিন্ন প্রকৃতির। এরা এদের চোখ কোন ভাবেই মুভিং করতে পারে না। পিছনে দেখার জন্য এরা এদের সম্পূর্ন মাথা ঘুরিয়ে ফেলে। এন্টার্কটিকা ছাড়া অন্য সব
মহাদেশে এদের দেখতে পাওয়া যায়। আলবাট্রস পাখি ঐতিহাসিক ভাবে প্রাচীন নাবিকের গল্প মনে পরে। মানুষের জালিয়াতির সাথে পাখির জালিয়াতি এর কোন মিল নেই।
পরিশেষে, পাখির জালিয়াতির সম্পর্কে অনেক কিছুই জানলাম। প্রকৃত অর্থে পাখিরা জালিয়াতি করে না বরং তারা এমন কিছু ঘটনা ঘটায় যা মানুষদের নিকট নকল বা ভুল তথ্য দেয়। এই ভুল তথ্য বা নকল তথ্যই জালিয়াত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আজকের লেখাটি পড়ে কেমন লাগল তা জানাতে কমেন্ট বক্সের মাধ্যেমে আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন এবং লেখাটি আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন। ততক্ষন পর্যন্ত ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।