আকর্ষনীয় সুন্দর প্রানীদের মুক্ত আকাশে দেখতে পছন্দ করে।প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে নির্দিষ্ট এক জায়গায় গ্যালাপোগাস নামক একটি দ্বীপ রয়েছে।এই দ্বীপ অন্যান্য বন্য প্রানী,জীবজন্তুর জন্য উপযুক্ত একটি জায়গা।কেননা এই দ্বীপের নিকটবর্তী অন্য আর কোন দ্বীপ নেই এবং এখানে মানুষের বসবাস নিতান্তই কম।যে কারনে ওই দ্বীপে আবহাওয়া জলবায়ু এবং পরিবেশ সবকিছুই প্রানীদের বসবাসের জন্য একদম উপযুক্ত। পাখি আকাশে উড়তে পারার কারন জানতে চান?
পৃথিবীতে কেউ যদি বন্যপ্রানীদের মিলনমেলা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখতে চায় তাহলে এই দ্বীপে ভ্রমন করতে হবে।এই দ্বীপের সম্পূর্ণ অঞ্চলজুড়ে আকর্ষনীয় সুন্দর প্রানীদের বসবাস।ভ্রমণের জন্য এ দ্বীপে যাওয়া সম্ভব হলেও, এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে যাওয়া মানুষের জন্য দুষ্কর। শুধুমাত্র প্রানীরা সেখানে থাকতে পারে।চলুন এই দ্বীপে বসবাসরত প্রানীদের সম্পর্কে জেনে নিইঃ
নাজাকা বুবিঃ
স্প্যানিশ শব্দ “বোবো” থেকে এ শব্দের উৎপত্তি হয়েছে।এর বাংলা অর্থ “ বোকা”।এ প্রানীটি দেখতে আমাদের দেশের হাঁসের মত।এর শান্ত স্বভাবের জন্য এমন নামকরন করা হয়েছে।যে পরিবেশে বসবাস করে, সেই পরিবেশ অনেকটাই শান্ত এবং শীতল প্রকৃতির।এদের ঠোঁট হলুদ বর্ণের, গায়ের অধিকাংশ
পালক সাদা এবং লেজের নিকট সামান্য কিছু কালো পালক রয়েছে। খাবারের জন্য এরা উক্ত দ্বীপে এবং এর চারপাশে জলরাশিতে বিভিন্ন ধরনের প্রানী ধরে খায়।পানিতে প্রানীদের ধরার জন্য এদের পানির নিচে ডাইভ দিতে হয়।
ব্লু ফুটেড বুবিঃ
এই প্রজাতির প্রানী নীল রংয়ের পায়ের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত।কেননা এদের কারনে এরা অনেক কিছু করতে পারে।এসব পাখিরা আনন্দ করার সময় নাচতে পছন্দ করে।একই প্রজাতির অন্যান্য প্রানীদের মধ্যে পায়ের মাধ্যমে এদের বিশেষভাবে আলাদা করা যায়।
স্ত্রী প্রজাতির প্রানীগুলো পুরুষ প্রজাতির প্রানীদের পায়ের রঙের উজ্জ্বলতার উপর নির্ভর করে নিজেদের জীবনসঙ্গী নির্বাচন করে।এখানে তারা যাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে নির্বাচন করে, তাদের সাথে আমৃত্যু জীবন কাটিয়ে দেয়।ছবি দেখেই বুঝা যায় এরা সুন্দর আকর্ষনীয় প্রানীর তালিকায় পড়ে।
রেড ফুটেড বুবিঃ
এ অঞ্চলের এমন হাসের মত আকর্ষনীয় সুন্দর প্রানীদের মধ্যে এরাই সবচেয়ে ছোট আকৃতির।কিন্তু এদের পা লাল বর্ণের হলেও,ঠোঁট সম্পূর্ণ নীল রঙের।এদেরও পা উজ্জ্বল লাল বর্ণের হয়ে থাকে।উল্লেখ্য যে, এরা খাবারের জন্য ১০০ মাইল পর্যন্ত একটানা উঠতে পারে।
এই দ্বীপে প্রানীদের মধ্যে দীর্ঘ দূরত্ব উড়তে পারার এক বিশেষ ধরনের ক্ষমতা কম-বেশি সকল প্রাণী রয়েছে।এ বিষয়টি অন্য সবকিছু থেকে আলাদা করে তুলেছে।
গ্যালাপোগাস পেঙ্গুইনঃ
বরফ অঞ্চলের প্রানীদের মধ্যে পেঙ্গুইন সবচেয়ে পছন্দের এবং জনপ্রিয় বেশি।সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে ছোট প্রজাতির পেঙ্গুইনও, এই দ্বীপে বসবাস করে।খাদ্য হিসেবে তারা খুব ছোট ছোট মাছ ধরে খায়।বর্তমানে ২০০০ বা এর বেশি প্রজাতির পেঙ্গুইন উক্ত দ্বীপে রয়েছে।কিন্তু গ্লোবাল ওয়ার্মিং সহ অন্যান্য বিষয়ের কারনে এদের জীবন যাপন হুমকির মুখে পড়েছে।যা শুধু দ্বীপের প্রানীদের জন্য নয় সমগ্র জীবজগতের জন্য হুমকির স্বরূপ।
পেঙ্গুইন সম্পর্কেআরও জানতে ক্লিক করুন
আকর্ষনীয় সুন্দর প্রানী আলবাট্রসঃ
সারাবিশ্বে, এ দ্বীপের নাম কারও মুখে আসলেই সর্বপ্রথম আলবাট্রস পাখিটির কথা মনে পড়ে।বরং এ পাখিটির শুধুমাত্র ঐ দ্বীপেই দেখতে পাওয়া যায়। উক্ত দ্বীপে পাখিটি প্রজনন ঋতুতে আসে এবং তাদের জীবনসঙ্গী পছন্দ করে তাদের সাথে আজীবন কাটিয়ে দেয়।
এই পাখির ডানায় পালক গুলোর উপরের প্যাটার্ন দেখতে ঢেউয়ের মত।এজন্য এদের ইংরেজিতে “ওয়েব অ্যালবাট্রস” বলা হয়।এ পাখিটি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর পাখিদের মধ্যে একটি।এদের ডানা বা পাখা ৮ ফিট পর্যন্ত লম্বা হয়। এরা দেখতে সবচেয়ে বেশি আকর্ষনীয় সুন্দর প্রানীদের মধ্যে অন্যতম।
পরিশেষে,গ্যালাপাগোস দ্বীপে প্রানীর কোন অভাব নেই।অন্যান্য প্রানীদের সম্পর্কে নতুন রোমাঞ্চকর তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরব।অজানা সব প্রানীদের সম্পর্কে জানার জন্য আপনারা কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আপনাদের মন্তব্য অথবা প্রশ্ন আমাদের সাথে শেয়ার করুন এবং পশুপাখির সাথেই থাকুন।