সামুদ্রিক পাখিরা নীল আকাশ এবং নীল জলরাশির মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে।আমাদের চারপাশে অনেক পাখি থাকলেও আমরা তাদের সম্পর্কে কমবেশি অনেক কিছু জানি।কিন্তু সামুদ্রিক এলাকায় এমন অনেক পাখি আছে যারা জীবনের বেশিরভাগ সময়ই উড়ে বেড়ায়।এতে করে লোকালয়ের আশেপাশে বসবাসরত পাখিদের বেঁচে থাকা এবং জীবনযাত্রা সমুদ্রের উপর উড়ে বেড়ানো পাখিদের তুলনায় অনেক সহজ। সবচেয়ে বড় সুবিধা হল আশেপাশে থাকা পাখিগুলো সহজে খাদ্য সংগ্রহ করতে পারে।
কিন্তু বিশাল সমুদ্রের উপরে উড়ে বেড়ানো পাখিগুলো অর্থ সংগ্রহ করতে পারে না।তাদের খাদ্য সংগ্রহ একমাত্র উপায় হল পানি এবং পানির ভিতরের মাছ। সামুদ্রিক পাখিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো এরা অন্যান্য পাখিদের চেয়ে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে পারে। লোকাল এর আশেপাশে থাকা পাখিদের এদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনেক কম হয় এবং এরা বছরে একবার মাইগ্রেট হয়। এভাবে তাদের আয়ুষ্কাল বেড়ে যায়।
উৎপাদন বৃদ্ধিঃ
সামুদ্রিক কোরালের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এসব পাখি ভূমিকা রাখে। একই সাথে সামুদ্রিক কোরালের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও এরা সহযোগিতা করে। বিজ্ঞানীদের ধারনা অনুযায়ী সামুদ্রিক পাখিগুলো দীর্ঘ দূরত্ব পর্যন্ত অনেকক্ষণ ধরে উঠতে পারে।খাদ্য হিসেবে এরা সমুদ্রের কিংবা এর আশেপাশের বিভিন্ন রকম খাদ্য গ্রহণ করে থাকে।
উচ্চমান ক্ষমতা সম্পন্নঃ
এমন অনেক প্রজাতির পাখি আছে যেগুলোর চাহিদা বেশি এবং উচ্চমূল্যের। তবে সকল প্রজাতির পাখি এ ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে না। এজন্য অনেকেই এসব পাখি পালন করে থাকে এবং উপযুক্ত বয়স হলে উচ্চমূল্যে বিক্রি করে।কোন কোন প্রজাতির পাখির জন্য মিলিয়ন ডলার দাম হয়।
সামুদ্রিক পাখিঃ
আমাদের আশেপাশের পাখিগুলো থেকে সামুদ্রিক পাখিগুলো সম্পূর্ণ আলাদা ধরনের হয়।এগুলো যুগের পর যুগ ধরে মানুষের নিকট অনুপ্রেরণার অন্যতম কারণ হয়ে আসছে।কেননা তাদের জীবনযাপন,অধ্যাবসায় এবং তাদের সবকিছুই সকলের কাছে অনুপ্রেরণার অন্যতম উৎস।এদের বাস্তব উদাহরণ হচ্ছে অ্যালবাট্রস পাখি।
অ্যালবাট্রস সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন
আগাম বার্তা বাহকঃ
যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ সমুদ্র থেকে বেশিভাগ সৃষ্টি হয়।এজন্য সমুদ্রের উপর যেসব পাখি বেশিরভাগ সময় চলাফেরা করতে পারে তারা সমুদ্রের উপরিভাগের আবহাওয়া সম্পর্কে কিছুটা আঁচ করতে পারে।যে কারনে সুনামি,ঝড়,জলোচ্ছ্বাস যেই হোক না কেন এরা পূর্বেই বুঝতে পারে এবং সময়মত
উপকূল অথবা মূল শহরের দিকে পাড়ি জমায়।সামুদ্রিক পাখিদের উপকূলের দিকে অথবা লোকালয়ের দিকে পাড়ি জমানো অনেক সময় আগাম বার্তা দেয় প্রাকৃতিক দুর্যোগের।
পরিবেশ রক্ষাঃ
জীবজগতের একটি চিরাচরিত বৈশিষ্ট্য হলো এক প্রাণী অন্য প্রাণীর অস্তিত্ব রক্ষায় ভূমিকা রাখে।ঠিক তেমনি ভাবে সামুদ্রিক প্রজাতির পাখি গুলো পরিবেশের উপর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।পরিবেশকে মানুষের বসবাসের উপযোগী করে তুলতে সহযোগিতা করে।বিপরীতক্রমে মানুষের উচিত সামুদ্রিক পাখিদের রক্ষায় তাদের পরিবেশকে উপযোগী করে রাখ।অথবা কিভাবে আরও ভালো করা যায় তা নিয়ে কাজ করা।অন্যথায় পর্যায়ক্রমে একের পর এক জীব বিলুপ্তির দেখা যাবে।
পরিশেষে, সামুদ্রিক পাখি প্রাকৃতিক নির্মল পরিবেশে সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠে।এ কারনে লোকাল এলাকার আশেপাশে থাকা পাখিদের তুলনায় এরা বেশিদিন বাঁচতে পারে এবং উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন হয়।সহজ কথায় তারা প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে নিজেদের এমন ভাবে তৈরি করে যা তাদের দীর্ঘায়ু হিসেবে বিবেচিত হয়।
লেখাটি পড়ে কেমন লাগলো তা কমেন্ট বক্সে মাধ্যমে আপনার মতামত আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।এমন আরও লেখা পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন।