পাখিদের বিভিন্ন প্রজতির মধ্যে এক প্রকার প্রাজতি হল পেঙ্গুইন, যারা দীর্ঘদিন ধরে একচেটিয়াভাবে দক্ষিন গোলার্ধে বাস করে আসছে। তারা নিজেদের এতটাই খাপ খাইয়ে নিয়েছে যে, তারা বরফ এবং পানির মধ্যে বসবাস করতে স্বাচছন্দ্যবোধ করে।পেঙ্গুইনকে আমরা অনেকে শুধু প্রাণী হিসাবে জানলেও এটি আসলে এক প্রকার পাখি। কিন্তু এরা আকাশে উড়তে পারে না। বরং এরা ঐ পাখা সাঁতার কাটার ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকে।
![পেঙ্গুইন ( Penguin )](https://poshupakhi.com/wp-content/uploads/2020/12/Emperor-penguin-chicks.jpg)
বৈশিষ্ট্যঃ
পেঙ্গুইন এর পা আছে যা দিয়ে তারা বরফের উপর চলাচল করতে পারে। যদিও তারা দক্ষিন গোলার্ধে বাস করে কিন্তু গেলাপোগাস প্রজাতির পেঙ্গুইন নিরক্ষরেখার উত্তরে পাওয়া যায়। এরা জলের মধ্যে উচ্চতর জীবন এর জন্য বিশেষ ভাবে রূপান্তরিত। পেঙ্গুইনদের মধ্যেও রাজা-রানী আছে। রাজা পেঙ্গুইনদের শরীরে চার রঙের পালক দেখা যায়। রাজা পেঙ্গুইনরা সকল প্রজাতির চেয়ে সবচেয়ে বড়। এ প্রজাতির পেঙ্গুইনদের বাচ্চাও অন্য সকল প্রজাতির বাচ্চাদের থাকে আকৃতিতে বড় হয়।
সম্রাট পেঙ্গুইনঃ
ধারনা করা হয়ে থাকে যে, এরা প্রাচীনকালের “মেগা পেঙ্গুইন” এর বংশ হইতে আগত। বিজ্ঞানীরা গবেষনা করে দেখেছে যে তাদের অস্তিত্ব ৩৭ মিলিয়ন বছর পূর্বেও ছিল।এদের শরীরের সাদা-কালো রঙের পালক দ্বারা বিশেষ ভাবে ঢাকা থাকে যা তার বাহ্যিক রূপ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করে।
এরা বরফের মধ্যে নিজেদের বাহ্যিক আবয়বের কারনে সহজেই ছদ্মবেশ ধারন করতে পারে। পেঙ্গুইনরা সচরাচর ক্রিল ফিস, স্কুইড অন্য আরও সব সামুদ্রিক প্রাণী খেয়ে থাকে; যা তারা পানির নিচে সাঁতার কাটার সময় শিকার ধরে থাকে। সবচেয়ে বিচিত্র ব্যাপার হল তারা তাদের জীবনের অর্ধেক সময় ভূমিতে বাকি অর্ধেক সময় পানিতে বাস করে।
![পেঙ্গুইন](https://poshupakhi.com/wp-content/uploads/2020/12/Emperor_penguin_lying_down.jpg)
পাখিদের ডানার চেয়ে পেঙ্গুইন এর ডানা আলাদা হয়ে থাকে। পাখিদের ডানা আকাশে উড়ার জন্য হইলেও পেঙ্গুইন এর ডানা সাঁতার কাটার জন্য বিশেষ ভাবে তৈরী হয়েছে প্রাকৃতিকভাবে। পেঙ্গুইন পানির নিচে ঘণ্টায় ১৫-২৫ মাইল পর্যন্ত অতিক্রম করতে পারে।
কেউ যদি উড়তে না পারা পাখির তালিকা তৈরী করে, পেঙ্গুইন ছাড়া তালিকাটি অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে।প্রায় ১৮ প্রজাতির পেঙ্গুইনদের মধ্যে কোনটাই উড়তে পারে না। তবে তারা গভীর পানিতে ডুব দিয়ে সাঁতার কাটতেই বেশি স্বাচছন্দ্যবোধ করে।পেঙ্গুইনের এ সাঁতার কাটাকেই র্যাফটিং বলে।
![পেঙ্গুইন পাখি](https://poshupakhi.com/wp-content/uploads/2020/12/penguin.jpg)
বসবাসের জায়গাঃ
আবার তারা যখন বরফের উপর চলচল করে তখন সেটিকে ওড্যাল (waddle) বলা হয়। এরা বেশিভাগ সময়ই দলবেধে বসবাস করে। এণ্টার্কটিকা অঞ্চলে তাপমাত্রা -৪০ ডিগ্রী সেণ্টিগ্রেড হয় তখন তারা এক বিশেষ ভাবে অবস্থান করে। তারা ঐ অঞ্চলে বসবাস করলেও তাদের শরীরের একটি নির্দিষ্ট সহ্য সীমা আছে। তারা নিজেদের শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখতে গোলাকার হয়ে অবস্থান করে এবং নির্দিষ্ট সময় পর পর প্রত্যেকই নিজেদের স্থান পরিবর্তন করে।
এভাবে নিজেরা নিজেদের শরীরের উষ্ণতা ঠিক রেখে বেঁচে থাকতে সহযোগিতা করে থাকে। এভাবে একসাথে হাজার হাজার পেঙ্গুইন অবস্থান করে। বাচ্চা পেঙ্গুইনরা মা পেঙ্গুইন এর এক থলিতে অবস্থান করে থাকে। তারাও ঐ গোলাকার চক্রের ভিতরের দিকে অবস্থান করে। তুষার ঝড়ের সময় এণ্টার্কটিকা অঞ্চলের তাপমাত্রা -৮০ ডিগ্রী পর্যন্তও হইতে পারে।
![পেঙ্গুইন](https://poshupakhi.com/wp-content/uploads/2020/12/Aptenodytes-forsteri-Emperor-penguin_0.jpg)
পেঙ্গুইনের রাজ পরিবারঃ
পেঙ্গুইনদের মধ্যেও রাজা-রানী হয়ে থাকে। রাজা পেঙ্গুইনদের শরীরে চার রঙের পালক দেখা যায়। রাজা পেঙ্গুইনরা সকল প্রজাতির চেয়ে সবচেয়ে বড় হয়। এ প্রজাতির পেঙ্গুইনদের বাচ্চাও অন্য সকল প্রজাতির বাচ্চাদের থাকে বড় হয়ে থাকে। ধারনা করা হয়ে থাকে যে, এরা প্রাচীনকালের “মেগা পেঙ্গুইন” এর বংশ হইতে আগত। বিজ্ঞানীরা গবেষনা করে দেখেছে যে তাদের অস্তিত্ব ৩৭ মিলিয়ন বছর পূর্বেও ছিল।
পেঙ্গুইনদের পা এমন ভাবে তৈরী করা যে তারা সমুদ্রের বরফের উপর দিয়ে ৬০ মাইল পর্যন্ত যেতে পারে, তাদের প্রজনন ক্ষেত্র পাওয়ার জন্য। তাদের পায়ের প্রতিটি আঙ্গুল পরস্পরের সাথে যুক্ত অবস্থায় থাকে যা তাদের রাডারের মত কাজ করে এবং দিক পরিবর্তন করে চলাচলে সহযোগিতা করে। এদের শরীরের বাহ্যিক গঠনের কারনে এদের শরীর পানির নিচে দ্রুত সাঁতার কাটতে সাহায্য করে।