বুদ্ধিমান প্রাণী কাক সবচেয়ে কালো পাখি হিসেবে বেশি পরিচিত। কিন্তু এরা এদের বুদ্ধিমত্তা এবং পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতা জন্য লোকসমাজে পরিচিতি লাভ করেছে। বাচ্চা থেকে বুড়ো সবাই এর গলার স্বর শুনে সহজে দেখে চিনতে পারে। এর কর্কশ গলায় ক ক শব্দ সবার কাছে প্রিয় নাও হতে পারে। এছাড়া এরা ফসল নষ্ট করার জন্য বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। তবে এ বিষয়টি খুব বড় প্রভাব ফেলে বর্তমানে তেমন একটা প্রভাব ফেলতে পারে না। তবে ঈগলও বুদ্ধিমান প্রানী। তবে ঈগল পাখির ছবি দেখতে ভিজিট করুন
বুদ্ধিমান প্রাণীঃ
কাকের বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ৪০ প্রজাতির কাক বর্তমানে বিদ্যমান। তবে এদের আকার আকৃতি এবং বৈশিষ্ট্য কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। আমেরিকান কাক আকারে ১৭.৫ ইঞ্চি। অন্যদিকে ফিশ কাক ১৯ ইঞ্চি। তবে র্যাভেন প্রজাতির কাক ২৭ ইঞ্চি; সবথেকে সর্ববৃহৎ। ছোট থেকে বড় বিভিন্ন কাকের ঠোঁটের রঙ এবং রঙে খুব সামান্য হলেও পার্থক্য থাকে।
আমেরিকান কাক হতে র্যাভেন প্রজাতির কাক কিছু দিক থেকে মিল রয়েছ। র্যাভেন প্রজাতির অনেক বড় এবং এদের গলার স্বর অনেক কর্কশ। ঠোট অনেক শক্ত এবং ভারী।এমনটাই তথ্য প্রাণীবৈচিত্র্য গবেষণাগারে গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে। কাক কিছু কিছু দিক থেকে বুদ্ধিমান প্রানী ।
কালো পাখিঃ
অঞ্চলভেদে কাকেরা বিভিন্ন স্থানে বাস করতে পারে এবং সেখানকার পরিবেশ এর সাথে খুব সুন্দর ভাবে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে পারে। এখানে আমাদের দেশে কাক যেমন বাস করে, তেমনি আমেরিকাতেও বসবাস করে। নর্থ আমেরিকার ফাঁকা জায়গা গুলোতে এবং কৃষি জমির এলাকায় বেশি দেখতে পাওয়া যায়। আমাদের দেশে দুই ধরনের কাক পাওয়া যায়। একটি দাঁড় কাক অপরটি প্রান্তি কাক। প্রান্তি কাককে আমরা কাউয়া হিসেবে চিনি। যে দেশের যে প্রজাতিই হোক কাক কিন্তু বুদ্ধিমান প্রাণী। নিশাচর পাখি মুলত রাতের বেলা চলাফেরা করে।
কিন্তু নিশাচর পাখি বুদ্ধিমান হয় কিনা তা সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন
দাঁড় কাকের শরীরের পালকগুলো চকচকে প্রকৃতির এবং এরা কারা ছোট হয়। এদের ঠোঁট অনেকটা শক্ত প্রকৃতির। এদের গলার স্বর প্রচন্ড কর্কশ। কর্কশ গলায় এদের গান গাইতে দেখা এবং শোনা যায়। মাঝে মাঝে জীবন সঙ্গীকে সাথে নিয়ে ঘুরে বেড়ায় এবং গান গায়। দাঁড় কাক বাংলাদেশ ইন্ডিয়া পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা মায়ানমার এসব দেশে দেখতে পাওয়া যায়। মার্চ থেকে মে মাস দাড়ঁ কাকের প্রজননের সময়। এদের বেশির ভাগ জঙ্গলে দেখা যায়।
কাউয়া কি বুদ্ধিমানঃ
দাঁড় কাক বুদ্ধিমান প্রাণীর এর মধ্যে অন্যতম। প্রান্তি কাক দাড়ঁকাকের থেকে আকারে ছোট হয়। বাসাবাড়ি এবং লোকালয়ের সবচেয়ে বেশি দেখতে পাওয়া যায়। সহজেই দাঁড় কাক হতে এদের আলাদা করে চেনা যায়। এদের ধূসর বর্ণের ঘাড় এবং ছোট আকৃতি সহজেই উপস্থাপন করে। মানুষের চারপাশে গাছপালা এবং বাগান ইত্যাদিতে এই কাজ করে। এজন্য এদের শহর এবং গ্রামে যে কেউ চিনে থাকে। বুদ্ধিমান প্রাণী হিসাবে কাক অন্য পাখির থেকে একটু কম এগিয়ে।
অন্য সব পাখিদের মত এদের খাবারের কোনো নির্দিষ্টতা নেই। কমবেশি সব কিছু খেয়ে থাকে। বাংলাদেশসহ ইন্ডিয়া পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা মায়ানমার এসব দেশে এদের দেখতে পাওয়া যায়। এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত এদের প্রজননের সময়। কাক দেখতে কালো এবং আওয়াজ কর্কশ হলেও পাখিদের তালিকা এবং জীব বৈচিত্র রক্ষায় এদের দরকার রয়েছে। বর্তমানে কাকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রজাতির পাখির সংখ্যা দিন দিন কমে যাওয়া ঐ প্রজাতির পাখির লক্ষণ।
পরিশেষে, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এবং অন্যান্য প্রাণী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। বুদ্ধিমান প্রানী পাখিদের নিয়ে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য এবং একে অপরের থেকে পার্থক্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করুন।