সুন্দর পাখি দেখে যে কেউ অবাক হয়ে যাবে। সুন্দর পাখিরা সাধারনত খোলা আকাশে উড়তে পছন্দ করে। মুক্ত বিহঙ্গ সর্বদা খাঁচার বাহিরেই থাকতে পছন্দ করে। এ পর্যন্ত অনেক প্রজাতির পাখির আবির্ভাব হয়েছে। এদের মধ্যে সুন্দর অসুন্দর সহ আরও বিভিন্ন প্রজাতির পাখির আগমন ঘটেছে। সুন্দর পাখিদের আমরা যে কেউই পছন্দ করি। এমন অনেক ধরনের পাখি কথা বলতে পারে তাদেরর পোষা পাখি হিসেবে অনেকে পুষে থাকে। এদের মধ্যে ময়না, টিয়া, তোতা পাখি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। আমরা অনেকে বাসা বাড়িতে এসব পাখি পোষ মানিয়ে থাকে এবং বাড়িতে প্রবেশের সময় কথা বলে উঠে। এমন এক্সপেরিয়েন্স আমাদের অনেকের সাথেই হয়েছে।
পাখি মাত্রই উড়তে পারবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এমন অনেক ধরনের সুন্দর পাখি রয়েছে তারা উড়তে পারে না। তাদের মধ্যে পাখিদের সকল বৈশিষ্ট্য থাকলেও উড়তে পারার বৈশিষ্ট্য না থাকায় এরা উড়তে পারে না। এদের মধ্যে উল্লখযোগ্য হল উটপাখি। এর নামের মধ্যেও পাখি থাকলেও এরা উড়তে পারে না।
বরং এরা অন্যান্য সকল প্রানীদের চেয়ে সবচেয়ে দ্রুত দৌড়াতে পারে। এজন্য এরা দ্রুতগামী প্রানীদের মধ্যে একটি। আজকে আমরা সেসব প্রানীদের সম্পর্কে জানব যারা পাখি হওয়া সত্ত্বেও উড়তে পারে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক তবে এদের সম্পর্কে আরও নতুন তথ্য জানা থাকলে আমাদের সাথে শেয়ার অবশ্যই করবেন কমেন্টের মাধ্যমে।
পেঙ্গুইনঃ
উড়তে না পারা পাখিদের তালিকা করলে পেঙ্গুইন ব্যতীত লিস্টটি অসম্পূর্ন দেখায়। পেঙ্গুইনের ১৮ টি প্রজাতিদের মধ্যে কেউই উড়তে পারে না। কিন্তু উড়ার বদলে এরা সুইমিং এবং ডাইভিং এর মাধ্যমে অনেক দ্রুত চলাচল করতে পারে।কেননা এরা ছোট থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত হার হামেশাই এমনটি করে আসছে। এদের পা অত্যান্ত ছোট হওয়াই এরা বেশি ভাগ সময় হাটতে পছন্দ করে।এদের এন্টার্কটিকা অঞ্চলে এদের দেখতে পাওয়া যায়। কিছু প্রজাতির পেঙ্গুইন গেলাপোগাস দ্বীপেও দেখতে পাওয়া যায়। এরা মনোগ্যামি হয়ে থাকে এবং এরা সবসময় কলোনি আকারে বাস করে।
স্টিমার ডাকঃ
এদের চার ধরনের প্রজাতির মধ্যে তিন ধরনের হাঁসই উড়তে পারে না। উড়তে পারা কিছু প্রজাতির হাঁস আকারে আমাদের দেশি হাঁসের চেয়ে বড় এবং ভারী প্রকৃতির। এরা লিফটঅফ অর্জনে সক্ষম। এদের দক্ষিন আমেরিকায় এদের দেখতে পাওয়া যায়। এরা অনেক বিখ্যাত এবং অনেকটা আক্রমনাত্মক। এরা এতটাই শক্তিশালী যে তাদের সমান আকৃতি বিশিষ্ট ওয়াটার বার্ডকেও হার মানায়।
সুন্দর পাখিঃ
কিউই শুধুমাত্র নিউজিল্যাণ্ডে দেখতে পাওয়া যায়। এদের পাঁচ ধরনের প্রজাতিদের দেখতে পাওয়া যায়। অন্যান্য যে কোন পাখির চেয়ে এদের ঠোঁট অনেক বড় আকারের এবং এদের সম্পূর্ন শরীর পালক দ্বারা আবৃত হওয়াই এদের শরীর অনেক নরম।স্ত্রী প্রজাতির পাখিরা ডিম পাড়ে যা ওজনে ১ পাউন্ড পর্যন্ত হয়ে থাকে। এদেরই ডিম অন্যন্য সকল প্রজাতির প্রানীদের চেয়ে সবচেয়ে বড় আকারের।
টাকাহীঃ
এই পাখিটি লুকোচুরি খেলতে পছন্দ করে। নিউজিল্যান্ডে এদের দেখতে পাওয়া যায়। এদের অস্তিত্ব ১৮০০ সালের আশেপাশে দেখতে পাওয়া যায়। পুনারায় এদের ১৯৪৮ সালের দিকে অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। এটা যেমন কালারফুল তেমনি সুন্দর। এদের সম্পূর্ন শরীর নীল এবং সবুজের সংমিশ্রন ঘটে।ঠোঁট লাল রঙের হওয়াই এদের সৌন্দর্জ দারুন ভাবে ফুটে উঠেছে। এরা ২০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। এত বেশি সহজে কোন পাখি বাঁচতে পারে না।
সুন্দর পাখিদের সম্পর্কে আরও জানতে ভিজিট করুন
ক্যাশোয়ারীঃ
এই দৈত্যাকৃতি পাখির সাথে সহজে বিরক্ত করা উচিত না। অষ্ট্রেলিয়া এবং এর আশেপাশের অঞ্চলগুলোতে এদের দেখতে পাওয়া যায়। উটপাখির চেয়েও এরা বেশি শক্তিশালী এবং ভারী প্রকৃতির। এরা এদের পা দিয়ে মানুষকে আচড়িয়ে থাকে যেমনটি কেউ খঞ্জর দিয়ে মাটি খুড়ে থাকে। এদের সম্পূর্ন শরীর কালো পালকে আবৃত থাকে এবং একই সাথে এদের মাথায় ঝুটি থাকে মোরগের মত।
উড়তে না পারা পাখিদের সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা গেল। এমন আরও অনেক গুরুত্বপূর্ন তথ্য আছে উড়তে না পারা পাখিদের সম্পর্কে। এবং অন্যআন্য আরও প্রজাতির পাখি আছে। এমন সব পাখিদের সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন এবং আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য আমাদের সাথে শেয়ার করুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।