জাতীয় পাখি যে কোন জাতিকে রিপ্রেজেন্ট করে থাকে। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক। বাংলাদেশের পাশে অবস্থিত মায়ানমার এবং তার পাশেই অবস্থিত দেশ থাইল্যান্ড। এই দেশের উল্লেখযোগ্য বিষয় হল পর্যাটন স্পট। কেননা বেশি ভাগ মানুষ এই দেশে ঘুরে বেড়ানোর জন্যই যায়। এদের জীবন-যাত্রার মান অনেক উন্নত মানের। থাইল্যান্ডের মানচিত্র দেখলে দেখতে পাবেন এর বেশি ভাগ অংশের চারদিকে উভয় পাশেই সমুদ্র বেষ্টীত থাকে। এই দেশের বিভিন্ন আইল্যাণ্ড বা দ্বিপ আছে।
আমাদের যেমন সেইন্টমার্টিন দ্বিপ আছে তাদেরও তেমনই একাধিক দ্বিপ আছে। উক্ত দ্বিপে বিভিন্ন রিসোর্টও আছে। দক্ষিন এশিয়ার সবুজ শ্যামলে সমারোহ দ্বিপ গুলোর মধ্যে অন্যতম এটি। তবে একটি কথা মনে রাখা ভাল যে, ঐ দেশ একটু সবুজ শ্যামল হলেও বাংলাদেশের সাথে তাদের কোন তুলনা হয় না। কেননা কবির ভাষায় এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি সে যে সকল দেশের রানি সে যে আমার জন্মভূমি।
সমুদ্র বিধৌত অঞ্চলগুলো প্রাকৃতিক এবং ভৌগলিক দিক থেকে একটু বেশিই সুন্দর হয়। যে কোন সী বীচ কিংবা সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গেলে যে কারও মন ভাল হয়ে যায় শুধুমাত্র প্রকৃতির ছোয়ায়। থাইল্যান্ডের আরও অনেক পর্যাটন স্পট আছে তবে সেগুলো বেশী ভাগই বৌদ্ধ মন্দির। সুন্দর যেমন স্থান তেমনি সুন্দর এখানে প্রকৃতি এবং প্রকৃতির জীব জন্তু। এরই ধারাবাহিকতায় থাইল্যান্ডের জাতীয় পাখিও দেখতে অনেক সুন্দর। তবে থাইল্যান্ডের হাতি গুলোও সারা দুনিয়া জুড়ে সুখ্যাতি রয়েছে এবং আফ্রিকার হাতির মতও এদেরও বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। যাই হোক এদের জাতীয় পাখি সম্পর্কে কিছু তথ্য নিচে তুলে ধরা হল যা শুনে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
বহুনামী জাতীয় পাখিঃ
এই পাখিটি শুধুমাত্র একটি দেশেই পাওয়া যায় না বরং ঐ অঞ্চলে থাইল্যান্ডের পাশাপাশি আরও দেশ ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাওস ইত্যাদি অঞ্চলগুলোতেও এদের দেখা পাওয়া যায়। ঐ অঞ্চলের বন-জঙ্গলে এই সুন্দর পাখির দেখা মিলে। এই কারনে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন নামে এদের ডাকা হয়। এদের থাইল্যান্ডে সিয়াম বা সিয়ামিজ ফায়ারব্যাক বলা হলেও এদের বৈজ্ঞানিক নাম ডিয়ারডি ফায়ারব্যাক। এমন নাম করন করা হয়েছে এক ধরনের ফরাসি অভিযাত্রী এই প্রজাতির পাখি সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেছিল তাই।
তিতিরঃ
এদের দেখতে ঈগলের মত না হলেও অনেক সুন্দর প্রকৃতির নিরীহ পাখি। এদের দেখে তিতির এর সাথে কল্পনা করা যায়। অথবা অনেকেই এদের তিতির মনে করে থাকেন। তিতির হল অত্যান্ত ছোট আকারের নিরীহ পাখি যা অল্প পরিসরেই ঘুরে বেড়ায় এবং সবার দৃষ্টি আকৃষ্ট করে থাকে। এই পাখি সুন্দর হওয়াই এরা থাইল্যান্ডের সৌন্দর্য এবংশক্তি প্রকাশ করে। অত্ম শক্তিতে বলিয়ান।
বিপন্ন প্রজাতিঃ
সাধারন বন্যরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে। অর্থাত বনের পাখি বনেই সুন্দর এবং শিশুরা মায়ের কোলে। অনূকুল পরিবেশে এরা যে যার জায়গায় বড় হতে পছন্দ করে এবং ঠিকমত বড় হয়ও বটে। কিন্তু যে কোন প্রজাতির পাখির সংখ্যা যখন কমতে থাকে তখন তা বিপন্ন প্রজাতির খাতায় নাম লেখায়। এদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে। এমনটি হয় মানুষের দোষের কারনে এবং অন্যান্য আরও কিছু প্রকৃতিক কারন রয়েছে। এই পাখিটিও একই রকম অবস্থায় আছে। মানূষের সচেতনতাই পারে এই সমস্যার সমাধান করতে।
উৎপত্তিস্থলঃ
এদের আমরা থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাওস ইত্যাদি দেশে দেখলেও এদের আদি বাসস্থান অষ্ট্রেলিয়া এবং স্কটল্যান্ডের আশেপাশে। সেখান থেকে দক্ষিন এশিয়ার অঞ্চলগুলোতে নিয়ে এসেছে এবং সেখানে বড় করে এক সময় এখানেই বংশ বৃদ্ধি করে। এভাবে এরা আরও বেশি বংশ বিস্তার করেছে। এদের দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি মনোমুগ্ধকর।
বিভিন্ন দেশের জাতীয় পাখি সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন
পুরুষ প্রজাতির পাখিঃ
এমনটা সাধারনত হয় না। কিন্তু বাস্তাবে এই পাখিদের ক্ষেত্রে পুরুষ প্রজাতির পাখি বেশি সুন্দর। এমন সুন্দর হওয়ার কারন সুন্দর মাথা যেখানে চোখের চারপাশে লাল রঙের আবরন আছে এবং মাথার উপর ঝুটি আছে। লাল অংশের পাশেই কাল অংশের একটি কোট আছে। তারপর সম্পুর্ন শরীর বেগুনি রঙের হয়ে থাকে।
প্রাপ্ত বয়ষ্ক পাখি লম্বায় ৮০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে যার মধ্যে লেজের দৈর্ঘ্য ৩৬ সেন্টিমিটার। যেখানে স্ত্রী প্রজাতির পাখি ৬০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে এবং স্ত্রী প্রজাতির পাখিদের লেজের দৈর্ঘ্য ২৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এরা সর্বভুক প্রজাতির হওয়াই সকল ধরনের খাবার খেয়ে থাকে। পাখিরা সাধারনত ফলমূল খেয়ে থাকলেও এরা আবার পোকা-মাকড়ও খেয়ে থাকে। তবে এরা সবুজ এবং সজীব পত্র-পল্লব, বিরুৎ এবং সকল ধরনের খাবার খেয়ে থাকে।
পরিশেষে, এমন সুন্দর থাইল্যান্ডের জাতীয় পাখি সম্পর্কে আরও অনেক তথ্য আছে। এমন অপরিচিত জাতীয় পাখি সম্পর্কে জেনে আপনার কেমন লাগল তা অবশ্যই কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। লেখাটি ভাল লাগলে আপনাদের পছন্দ মত সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে পারবেন।