আফ্রিকা মহাদেশ অন্য মহাদেশের তুলনায় আকারে বড়। সেজন্য একে কয়েকটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়। আফ্রিকার মত ইউরোপ মহাদেশও কয়েকটি অঞ্চলে বিভক্ত। পূর্ব ইউরোপের দেশ গুলোর মধ্যে এমন প্রানীদের দেখতে পাওয়া যায়। ইউরোপ মহাদেশের দেশ গুলোর মধ্যে এরা দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। খনিজ পদার্থের প্রাচুর্জ রয়েছে এবং খাদ্য উৎপাদনের ভিত্তিতে এরা ভাল অবস্থানে অবস্থান করছে। বন্য জীব জন্তু এবং প্রানীদের দেখা মিললেও এদের সাথে আমরা খুব কমই পরিচিত। আজকে আমরা সেই অঞ্চলের প্রানীদের সম্পর্কে জানব।
প্রায় ২৮,০০০ প্রজাতির প্রানীদের দেখা মিলে এই দেশে। এদের মধ্যে ৩৫০ প্রজাতির পাখি, ২০০ প্রজাতির মাছ, ২১ ধরনের সরীসৃপ এবং ১৯ ধরনের উভচর প্রানীদের দেখা মিলবে। এত প্রজাতির প্রানীদের সম্পর্কে একই আর্টিকেলে জানা সম্ভব নয়। বরং এদের মধ্যে কিছু বিশেষ প্রজাতির প্রানী আছে যে গুলো দেখতে যেমন অদ্ভুত রকমের।
গ্রাউণ্ড কাঠবিড়ালিঃ
সাধারনত কাঠবিড়ালি লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ায় এ গাছ থেকে অন্য গাছে। এবং বিভিন্ন ধরনের খাবার যেমন ফলমূলও খেয়ে থাকে। এই ধরনের কাঠবিড়ালি মাটিতে বেশি চলাফেরা করে থাকে। একই সাথে এরা দলবেধে কলোনি আকারে বাস করে। মধ্য ইউরোপের পাশাপাশি দক্ষিন পূর্ব ইউরোপেও এদের দেখা মিলে। অস্ট্রিয়া, সার্বিয়া, স্লোভাকিয়া, চেক রিপাবলিক, মেসিডোনিয়া, বুলগেরিয়া, পোল্যাণ্ড এবং গ্রীস ইত্যাদি দেশে দেখতে পাওয়া যায়।
সুন্দর পাখিঃ
এই প্রজাতির পাখির নাম ইরগেট পাখি। আমাদের দেশের বকের সাথে এদের কিছুটা মিল রয়েছে। আলবাট্রোস পাখি যেমন সুন্দর হয় এবং সাদা রঙের এদের পালকও সাদা রঙের। এদের লম্বা পা এবং ঠোঁট আছে। ঠোট এবং পা উভয়ই কালো রঙের হয়।
এদের চেয়ে সামান্য ছোট সাইজের এই প্রজাতির পাখিই এশীয় অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায়। ভেজা স্যাঁতস্যাতে এবং জলাশয়ের আশেপাশে এদের দেখতে পাওয়া যায়। এরা অতিথি পাখি বা পরিযায়ী হিসেবে আফ্রিকা থেকে ইউরোপে মাইগ্রেট করে।
পোলক্যাটঃ
এদের নাম পড়ে অনেকেই ধারনা করতে পারে এটি এক ধরনের বিড়াল। তবে এদের বিড়ালের মত বড় পা নেই। এদের মধ্য ইউরোপে দেখতে পাওয়া যায়। শুষ্ক অঞ্চলে এবং খোলা মাঠে দেখতে পাওয়া যায়। আবাদাযোগ্য জমিতেও এদের দেখতে পাওয়া যায়। এমনি খেলার মাঠেও এদের বিচরন রয়েছে।
বন্য প্রানীরা নিজেদের মধ্যে কিভাবে যোগাযোগ করে তা জানার জন্য ভিজিট করুন
মুওফ্লনঃ
নাম এবং ছবি দেখে অনেকে চমকেও যেতে পারে। এটিই হল সেই বিশেষ প্রানী যার সাথে সবাই পরিচিত নই। তবে এখানে জেনে অবাক হবেন যে এই প্রানীটি এক ধরনের ভেড়া। গৃহপালিত প্রানী না হয়ে বন্য প্রানী হওয়াই এদের দেখতে এমন দেখায়। আকারে ছোট হলেও এদের বিশাল আকৃতির শিং দেখে একটু ভীত হওয়া স্বাভাবিক। এখন এমন রূপ লাভ করেছে বন্য পরিবেশে থাকার কারনে।
পরিশেষে, ইউরোপের আরও বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন প্রানী রয়েছে যাদের সম্পর্কে আমরা খুব কম জানি কিংবা কখনই জানার চেষ্টা করা হয় নি। তাই সেসব প্রানীদের সম্পর্কে আমরা ধীরে ধীরে জানব। সেসব বিশেষ প্রানীদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। আপনার মূল্যবান মন্তব্য আমাদের সাথে শেয়ার করুন কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে এবং লেখাটি আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন।