পোষা পাখি সবাই রাখতে চায়।অনেকে নতুন হিসেবে কোন পাখি পছন্দ করবে তা নিয়ে দ্বিধায় থাকে। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। অন্য সকল প্রানী মানুষের পোষ মানতে বাধ্য। এছাড়া অনেকেই চায় প্রানীদের পোষ মানাতে। এজন্য মানুষ সাধারনত নিরীহ প্রানীদেরই পোষা হিসাবে বেছে নেয়। পোষা প্রানীদের তালিকায় অনেক প্রানী পড়ে। এমনটা হয় মানুষের রুচির উপর নির্ভর করে। কেননা এটি মানুষের রুচির উপর নির্ভর করে।কেউ বিড়াল, কেউ পাখি সহ অন্যান্য প্রানীকে পোষা প্রানী হিসাবে রাখে থাকে।
আমাদের মধ্যে যে কেউ যে কোন প্রানীকে পোষা প্রানী হিসাবে রাখতে পরে। নতুন হিসাবে যে কেউ প্রানী পুষতে পারে। এর জন্য আলাদা করে বিশেষ প্রশিক্ষনের দরকার নেই। তবে প্রানীদের ব্যাপারে যত্নশীল হতে হবে।আমাদের মধ্যে পাখি পছন্দ করে না এমন কেউ নেই। পাখিদেরে মধ্যে অনেক প্রজাতি আছে যারা মানুষের নিকট অনেক প্রিয়।কিছু কিছু পাখি মানুষের মত কথা বলতে পারে। এ বিষয়টি অনেকের কাছে পছন্দের। এছাড়াও পাখিরা দেখতে অনেক সুন্দর প্রাকৃতির হয়।কোন পাখি নতুনদের পোষার জন্য বেশি ভাল হবে তা নিচে তুলে ধরা হল।
ঘুঘুঃ
এ প্রজাতির পাখি আমাদের চারপাশেই ঊড়ে বেড়ায়। এরা অনেকটা সুন্দর প্রকৃতির এবং লোকালয়ের আশেপাশে গাছগাছালিতে থাকতে পছন্দ করে। এরা মানুষের ক্ষতি করে না। বরং এরা অনেকটা মানুষের দ্বারা প্রশিক্ষিত হয়। এজন্য মানুষ এবং এই পাখির মধ্যে আত্মিক সম্পর্ক অতি সহজেই গড়ে উঠে। পাখিগুলোও মানুষের সঙ্গ পছন্দ করে। এরা দৈর্ঘ্যে ১১-১৩ ইঞ্চি এবং ওজন মাত্র ৫-৮ আউন্স। এরা ধূসর বর্নের হয়।
টিয়াঃ
আকর্ষনীয়, চিত্তাকর্ষক, বুদ্ধিমান প্রানী হিসাবে এরাই সবচেয়ে ভাল। এক প্রজাতির মধ্যে সব বৈশিষ্ট্য টিয়া পাখির মধ্যেই পাওয়া যায়। এরা কথাও বলতে পারে। এজন্য মানুষ এই পাখিকেই বেশি পছন্দ করে এবং বাসা বাড়িতে রাখে। এমন কথা বলার মত পাখি অনেকর অবসরের সঙ্গী হয়। এছাড়াও এই পাখি দেখতে অনেক সুন্দর; এর রঙ-বেরঙের পালকের জন্য। এদের অনেকে “পকেট প্যারোট” ও বলে থাকে। এদের ছড়া এবং কবিতা ইত্যাদি শিখে যায় অন্য কেউ এদের সামনে আবৃত্তি করলে। এরা দৈর্ঘ্যে ৪-৫ ইঞ্চি এবং ওজনে ১ আউন্স।
ম্যাকাউঃ
এদের সর্বপ্রথম দক্ষিন আমেরিকায় এদের দেখতে পাওয়া যায়। যদিও বর্তমানে এদের সবদেশে পাওয়া যায়। তবে এরা দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি চাহিদাও এদের বেশি। মানুষ সহজেই এদের পছন্দ করে থাকে। মান্দারিন জাতের হাঁসের মত পাখিদের মধ্যে ম্যাকাউ প্রজাতির পাখি সবচেয়ে সুন্দর।
এজন্য তবে এরা মানুষের নিকট অনেক পছন্দের। তবে এ প্রজাতির পাখি আকারে একটু বড় অন্য সব প্রজাতির চেয়ে। এরা দৈর্ঘ্যে ৪০ ইঞ্চি এবং ওজনে ৫০ আউন্স। আরও জানতে ক্লিক করুন
পোষা পাখিঃ
এ প্রজাতির পাখি টিয়া পাখির অন্য এক প্রজাতির। এজন্য এরা বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে টিয়া পাখির সাথে অনেকটা মিল রয়েছে। কিন্ত দেহের রঙ টিয়া পাখির চেয়ে ভিন্ন প্রকৃতির। কিন্তু টিয়া পাখির চেয়ে দেখতে সুন্দর। এরা আকারে ১৪ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য এবং ওজনে ৪ আউন্স। আকারে ছোটা হওয়ায় এদের অতি সহজেই বাড়ীতে রাখা যায়। ভালভাবে দেখাশোনা করলে এরা ২০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। এদের ককটেইল বার্ড বলা হয়।
কনিউরঃ
দক্ষিন আমেরিকায় এদের দেখতে পাওয়া যায়। এরা বুদ্ধিমান প্রানী এবং লাফিয়ে বেড়ায় বেশি। ঐঅঞ্চলের কেয়ারটেকারদের কাঁধে করে ঘুরতে দেখা যায়। তবে অন্য পাখিদের চেয়ে এরা চঞ্চল স্বভাবের এবং শয়তানি করতে পছন্দ করে। এরা কথা বলতে না পারলেও বাহিরের রূপ এবং বিভিন্ন কীর্তিকলাপ দেখে মানুষ সহজেই আনন্দ পায়। এ জন্যই মানুষ এদের পোষা পাখি হিসাবে পছন্দ করে থাকে।
পাখিদের সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা হল। তবে কিছু পাখি বাহিরের দেশে উৎপত্তি হলেও সময়ের বিবর্তনে এবং মাইগ্রেশনের সময় এরা আমাদের দেশে অথবা আমাদের দেশের মত আবহওয়া এবং জলবায়ুতে বসবাস করতে অভ্যস্ত।
এছাড়াও দেশি অনেক প্রজাতির ছোট আকারের পাখি আছে যা আমরা সহজেই পোষা পাখি হিসাবে পালন করতে পারি। আপনাদের মুল্যবান মন্তব্য কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করুন।