মরুভূমির জাহাজ উট কে বলা হয়। কারন উট এমন এক প্রানী যেটি মরুর বুকে একমাত্র বাহন হিসেবে কাজ করে। উত্তপ্ত মরুর বালির উপর অন্য যে কোন প্রানী সার্ভাইভ করতে পারে না। উট স্তন্যপায়ী প্রানীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রানী এবং এদের পিঠের উপর কূজ আছে। উট মরুর বুকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয় এদের শরীরে বা পেটের মধ্যে এক জায়গায় পানি জমে রাখা যায়। বর্তমানে আমরা যেমন উট দেখতে পাই সময়ের বিবর্তনের সাথে সাথে এদের মধ্যে কিছু পরিবর্তন এসেছে। আগের উটগুলোর পিঠে কুজ দুটি ছিল এখন একটি দেখা যায়। এবং উটের পা অনেক লম্বা হওয়ার কারনে এদের দেখতে জিরাফের মত লম্বা দেখায়।
মরুভূমির জন্যই তৈরিঃ
অন্যান্য অনেক প্রানীর মধ্যে উট এমনই এক প্রানী যেটা শুধুমাত্র মরুভুমির জন্যই তৈরি। এরা নিজেদের মরুভুমির বুকে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে। মরুর ঝড় এবং বালি থেকে বাঁচার জন্য এদের তিন স্তরের চোখের পাতা ব্যবহার হয় যার মধ্যে দুটি চোখের পাতা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এদের শরীরের বুকে এবং হাটুতে চামড়া অনেক মোটা হয় এবং প্রশস্ত পায়ের পাতা মরুর বালির মধ্যে ডুবে যায় না।
হাইড্রেশনঃ
যেহেতু এরা নিজেদের কুজ কিংবা শরীরের ভিতর পানি স্টোর করে রাখতে পারে না এবং মরুভুমিতে এদের তৃষ্ণা পায় বেশী অনেক উত্তপ্ত পরিবেশ হওয়ার জন্য। তারা তাদের শরীরের তাপমাত্র অতিদ্রুতই রেগুলেট করতে পারে। এরা এতটাই জলদিতে থাকে যে এরা মাত্র ১০ মিনিটে ২৬ গ্যালন পানি পান করতে পারে।
সামাজিক প্রানীঃ
এরা বন্য প্রানীদের মতই আলাদা ভাবে চলাফেরা করে না। বরং দলবেধে একত্র মরুর বুকে সারিবদ্ধভাবে চলতে দেখা যায়। একজন পুরুষ উট ঐ দলের নেতৃত্ব করে থাকে। ঐ দলে উটের পরিবারের সদস্য এবং বাচ্চারাও থাকে। এরা একসাথে চলার পাশাপাশি একই গ্রুপের নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের শব্দ করার মাধ্যমে কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ করে থাকে।
পরিশেষে, মরুভূমির জাহাজ উট এর সম্পর্কে অনেক নতুন তথ্য জানা গেল। ছবিতেও আমরা যেমন উট প্রায়ই দেখে থাকি তার মধ্যে ভ্যারাইটি ছিল।কাছাকাছি বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন অনেক উট রয়েছে। অনেকে জানেন হয়ত উট কিন্তু কুরবানী দেওয়া হয়। আমাদের লেখাটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন এবং লেখাটি আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন।