হিংস্র প্রজাতির প্রানীদের মধ্যে আমরা অনেক প্রানীকেই চিনি। বর্তমানে অনেক প্রজাতির প্রানী রয়েছে। তবে হিংস্র প্রানী মানুষকে মেরে ফেলে এমন বহু রেকর্ড রয়েছে। এত কিছুর পরও তাদের ইউনিক বৈশিষ্ট্যের জন্য মানুষ এদের বেশি পছন্দ করে থাকে। এদের এসব বৈশিষ্ট্যই আমাদের বেশি আকৃষ্ট করে এবং প্রানীদের কীর্তিকলাপে প্রাকাশ পায়। চলুন হিংস্র প্রজাতির প্রাণীদের সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জেনে নিই। হিংস্র প্রজাতির প্রানীদের তালিকা অনেক লম্বা; এর মধ্যে আমরা পপুলার কয়েকটি সম্পর্কে জানব।
পাহাড়ি সিংহঃ
চিতা বাঘের মত বিশেষ প্রজাতি প্রানীরা শিকারের হার তাদের সংখ্যার উপর নির্ভর করে। এসব প্রানীদের রেকর্ড তালিকায় চিতাবাঘের শিকারের সংখ্যা বন্য প্রজাতির পাহাড়ি সিংহের শিকারের সংখ্যার চেয়ে কম। তবে এদের সংখ্যা অনেকটা কাছাকাছি থাকায় শিকারের সংখ্যা সর্বদা উঠানামা করে। এদের হিংস্রতার ধরন বুঝতে চাইলে এদেরকে কেউ যদি পাঞ্চ মারে তবে তার আর রক্ষা নেই। তার মৃত্যু অনেকটা নিশ্চিত।
ভাল্লুকঃ
এদের বাড়ীতে ঢুকলে অথবা এদের খাবার নষ্ট করলেই যে তারা অনেকটা বিরক্ত হয়। যদিও মানুষের জন্য এমনটা কল্পনা করলেও তা বাস্তবে ভুল করেও সম্ভব নয়। একটি ভাল্লুক ওজনে ৭০০ পাউন্ড এবং দৈর্ঘ্যে ৭ ফিট পর্যন্ত লম্বা হয়। তবে মানুষ সহজেই এদের নিকটে যায় না। এদের বনাঞ্চলে বেশিভাগ
দেখতে পাওয়া যায়। অনেকে হাইকিং এর জন্য বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলে গিয়ে থাকলে এবং ঐ অঞ্চলে ভাল্লুক থাকলে এদের সাথে দেখা হয়। তবে এক্ষেত্রে বেঁচে ফেরার সম্ভবনা অনেক কম। হিংস্র প্রজাতির প্রানী হিসাবে এরা বাঘ এবং সিংহের মত।
কুমিরঃ
কুমির এবং অ্যালিগেটর একই জাতের কিছুটা ভিন্ন প্রজাতির প্রানী। তবে অ্যালিগেটর এবং কুমির এর মধ্যে পার্থক্য শুধুমাত্র নাকে। কুমিরের নাক অনেকটা তীক্ষ্ণ প্রকৃতির, অন্যদিকে অ্যালিগেটরের নাক অনেকটা চৌকোন আকৃতির। কুমির কোন ভাবেই তার শিকারকে ছাড় দেয় না। এজন্য এদের বছরের শিকারের ট্র্যাক রেকর্ড বছরে ১০০০ টি।
অন্যদিকে অ্যালিগেটর বিগত অর্ধশতকে মাত্র ২৫ জন শিকারের আক্রমন হয়েছে। কুমির কিংবা অ্যালিগেটর ফ্লোরিডার উপকূলে বেশি উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। আরও জানতে ক্লিক করুন
সাপঃ
আমেরিকার মরুভুমির এবং তার আশেপাশের অঞ্চলগুলোতে বেশিসংখ্যক সাপের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এক্ষেত্রে ৭ ফিট পর্যন্ত লম্বা সাপও দেখা যায়। এদের মধ্যে বেশিভাগই বিষাক্ত প্রকৃতির। এজন্য বছরে ৪০০০-৭০০০ জন লোকজন সাপের বিষে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। এদের মধ্যে কোরাল স্নেকও বেশ উল্লেখযোগ্য।
হাঙ্গরঃ
আমেরিকাতে হাঙ্গরের শিকার ব্যান করা হয়েছে। ১৯৭৫ সাল হতে সমুদ্রের নিচের সবচেয়ে ভয়ংকর প্রানী হিসাবে এদের খ্যাতি হয়েছে। ২০১৫ সাল পর্যন্ত এরা ৩০ জন মানুষের উপরে আক্রমন করেছিল। বর্তমানে সহজেই এরা মানুষের উপর আক্রমন করে না। তবে হাঙ্গরকে বিরক্ত অথবা উত্তেজিত করলে এরা আক্রমন করতে পিছপা হয় না।
মৌমাছিঃ
এরা আকারে অনেক ছোট প্রকৃতির কিন্ত অত্যান্ত মারাত্মক ক্ষতিকর। এরা একসাথে মানুষের উপর ঝাঁকে ঝাঁকে আক্রমন করলে যে কারও মৃত্যু হতে পারে। কিছু কিছু প্রজাতির কামড়ে অনেকের অ্যালার্জির কারনে মৃত্যু হয়। এরা মানুষের লোকালয়ে থাকলেও এরা হিংস্র প্রজাতির প্রানী হিসাবে গন্য হয়।
হিংস্র প্রজাতির প্রানী সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা হল।অন্য প্রানীদের সম্পর্কে আপনাদের কোন তথ্য চাইলে তা আমাদের সাথে শেয়ার করুন । আপনাদের মুল্যবান মন্তব্য কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করুন।