বেয়ার গ্রেইল পৃথিবীর অসাধারন ব্যাক্তিত্বের মধ্যে অন্যতম। তিনি ব্রিটিস স্পেশাল ফোর্সের একজন দক্ষ কমান্ডো। এভারেষ্ট জয় করতে গিয়ে প্যারাসুট বিকল হওয়ায় অ্যাক্সিডেন্ট করে নিজের মেরুদণ্ডের অনেক হাড় ভেঙ্গে গিয়েছে। কিন্তু এর ঠিক ১৮ মাস পর সে পুনারায় এভারেষ্টের বুকে পাড়ি জমায় মাত্র ২৩ বছর বয়সে।
বেয়ার গ্রেইলকে বিশ্বের স্কাউট এর স্কাউট মাষ্টার বলা হয়
স্বল্প রসদে প্রতিকূল পরিবেশ কিভাবে টিকিয়ে থেকে বেঁচে ফিরতে হয়, এর এক্সপার্ট হিসাবেই মানুষের নিকট সে জনপ্রিয়। সাধারন মানুষ শরীরের পুষ্টির জন্য প্রোটিন জাতীয় খাবার খেয়ে থাকে। কিন্তু বেয়রা গ্রেইল প্রোটিন এর জন্য তেলাপোকা এবং কীট-পতঙ্গের লার্ভা খেয়ে থাকে। ডিসকভারি চ্যানেলে এর ভিডিও সহ প্রমান পাওয়া যায়।
কাঁচা সাপ খাওয়াঃ
শতকরা জনসংখ্যার ৯০ ভাগ লোক সাপ দেখে ভয় পায়। বাকি ৯.৯৯৯ % ভাগ সাপ থেকে অনেক দূরে থাকে। অবশিষ্ট ০.০০০১ % লোক রান্না করে খাইতে পছন্দ করে। কিন্তু বেয়ার মাটি থেকে সাপ ধরে নিয়ে কাঁচাই খেয়ে থাকে। রান্না করার দরকার হয় না।
কুমিরকে মেরে ফেলাঃ
কোন এক দ্বিপ এ সারভাইভাল স্কিল দেখাতে গিয়ে কুমিরের এর সাথে রেসলিং করতে হয়েছিল। অবশেষে বেয়ার গ্রেইল কুমিরকে মেরে ফেলে এবং তার রাতের খাবারের মেইন আইটেম হিসাবে রেখেছিল। তবে এক্ষেত্রেও সে কুমিরের কাঁচা মাংস খেয়েছিল। কুমির সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
হরিনের হৃদপিন্ড খাওয়াঃ
মজ নামে আমেরিকার বিশেষ প্রজাতির হরিন রয়েছে। ঠান্ডা অঞ্চলে এদের দেখতে পাওয়া যায়। এদের মেরে ফেলে আস্ত এর হৃদপিন্ড কাঁচাই চিবিয়ে খেয়েছিল। কেননা প্রতিকূল পরিবেশে মাংস কেটে খাওয়াটা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। হরিন সম্পর্কে আরও জানতে ক্লিক করুন
মৃত উটঃ
সাহারা মরুভুমি অঞ্চলে কয়েক দিন পুরনো উট মৃত অবস্থায় পেয়েছিল। তারপর সে উটের নাড়ি-ভুড়ি বের করে পাকস্থলির ভিতরে থাকার ব্যবস্থা করেছিল এবং উটের চামড়া কম্বল হিসাবে ব্যবহার করে মরুভুমিতে রাতের শীত হতে নিজেকে রক্ষা করেছিল। খাবার হিসাবে উটের কাঁচা মাংস খেয়েছিল।
বিষধর বিচ্ছুঃ
সাব-সাহারান আফ্রিকান অঞ্চলে প্রাণঘাতী বিচ্ছু রয়েছে। এদেরকে “king scorpion” ও বলা হয়। এর একটি কামড়ে যে কারও মৃত্যু অতি অল্প সময়ের মধ্যে অনিবার্য। কিন্তু বেয়ার গ্রেইল এটা কাঁচা জীবিত অবস্থায় চিবিয়ে খেয়েছিল। বিচছু সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন
জীবিত চোখ খাওয়াঃ
আমরা সচরাচর মাংস কাঁচা খাই না। কিন্তু বেয়ার অনেক ক্ষেত্রেই কাঁচা মাংস পুড়িয়ে খেয়ে থাকে। তবে এক অভিজানে চমরী গাই এর চোখ কাঁচাই খেয়ে ফেলেছিল।
পোকার রক্তচোষাঃ
জঙ্গলে রাত কাঁটানোর পর সকালে সে একটি পোকাকে রক্তচোষা অবস্থায় দেখতে পায়। তারপর সে পোকাটিকে ধরে সকালের নাস্তা হিসাবে খেয়ে নেয়। এভাবে বেয়ার গ্রেইল প্রায় সব ধরনের পোকামাকড় খেয়ে থাকে।
বড় আকারের লার্ভাঃ
বড় আকারের ম্যাগোটস নামক লার্ভা জীবিত অবস্থায় সে মুখের ভিতর পুরে দিয়ে নাস্তা করেছিল। সাধারনত লার্ভা আকারের ছোট হয় কিন্তু ম্যাগোটস অনেকটা দৈত্যাকৃতির।
কারাকাসের কাঁচা মাংসঃ
ভেনুজুয়েলার রাজধানী কারাকাসের বনাঞ্চলে মৃত জেব্রা পড়েছিল। কিন্তু বেয়ার এর নিকট খাবার রান্না করার সময় না থাকায় সে জেব্রার কাঁচা মাংসই খেয়েছিল। যদিও তার খাওয়া অনেক ভালই হয়েছিল।
সুশি খাওয়াঃ
সুশি পূর্ব-এশিয় অঞ্চলের দেশগুলোতে খাদ্য হিসাবে খাওয়া হয়। কিন্তু বেয়ার মূলত দীঘি থেকে কাঁচা মাছ হাত দিয়ে ধরে দাঁত দিয়ে কামড়িয়ে খেয়ে নিয়েছে। সাধারন মানুষ বিভিন্ন রেষ্টুরেন্টে সুশি খেয়ে থাকলেও তা রান্না করা থাকে। কিন্তু বেয়ার রান্না ছাড়াই সুশি খেয়েছিল।
নতুন কোন অদ্ভুত তথ্য জেনে থাকলে কমেন্ট বক্সে আমাদের সাথে শেয়ার করুন এবং পশু-পাখির সাথেই থাকুন।