সরিসৃপ প্রজাতির প্রাণীদের মধ্যে সাপ অন্যতম। সরীসৃপ প্রজাতির প্রাণীদের শরীরের গঠন বাকি সব শ্রেনির প্রানী থেকে আলাদা। আজকে আমরা রিং আকৃতির সাপ নিয়ে কিছু অবাক করা তথ্য জানব। রিং আকৃতির সাপ বলতে মূলত ঘাস সাপকে বুঝায়। ঘাস সাপ (Grass Snake) কে ওয়াটার সাপ( Water sanke) ও বলা হয়ে থাকে। আপনাদের অনেকের মনে এ প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক যে, সাপ তো পানি তেই থাকে। একে নতুন করে ওয়াটার সাপ( Water sanke) বলার কারন কি ? এর উত্তর আর্টিকেলের শেষের দিক পাবেন।এরা ভয়ংকর প্রকৃতির হয়ে থাকে।
কোথায় পাওয়া যায়ঃ
এদের ইউরেশিয়া (ইউরোপ-এশিয়া) অঞ্চলের Coulbrid গোত্রের অন্তুর্ভুক্ত করা হয়। ইউরোপ অঞ্চলে এ সাপ ঘাসের মত সবুজ বর্ণের এবং ঘাড়ের দিক অনেকটা হলুদ-কালোর সংমিশ্রন বর্ণের। পেটের রঙ ফ্যাকাশে প্রকৃতির এবং নিচের দিকে লেজ পর্যন্ত অন্ধকার (কালো বর্ণের) প্রকৃতির, ঠিক রাতের আধাঁর এর মত। এরা বিষধর সাপের তালিকায় পরে না। কিন্তু বিষধর না হইলেও এরা বদরাগী প্রকৃতির। এ কারণে এরা সহজেই কামড়াতে পারে।
ঘাসের মধ্যে সাপঃ
ঘাস সাপ (Grass Snake) মাংসাশী প্রজাতির সাপ এর মধ্যে পড়ে। তারা বিভিন্ন ধরনের পাখি, উভচর এবং ছোট ছোট স্তন্যপায়ী প্রানীদের খেয়ে থাকে। এ ধরনের সাপ গুলো শিকার করার সময় অনেক সক্রিয় হয়। তারা শিকার ধরার সময় সম্পূর্ণ শিকার কে একটি টুকরার মত করে জীবিত অবস্থায় গ্রাস করে খেয়ে ফেলে। এরা খাবার খোঁজে বের হইলে শ্রবন শক্তি এবং দৃষ্টিশক্তি প্রখর হয়ে থাকে। যা তাদের শিকার ধরতে অনেক সহয়তা করে।
শিকার ধরার ক্ষেত্রে সচরাচর তারা ব্যাঙ বা উভচর জাতীয় প্রাণীকেই বেশি টার্গেট করে থাকে। মাঝেমধ্যে তারা স্যালমন্ডার বা মাছও শিকার করে থাকে। প্রাপ্ত বয়স্ক ঘাস সাপ (Grass Snake) দুই সপ্তাহে একবার খাবার খেয়ে থাকে। যদি তারা প্রতি সপ্তাহে খাবার খায় তবে তাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়। এ জন্য তারা সময়মত শিকার করে খাবার খেয়ে থাকে। ঋতুভেদে এদের খাবার খাওয়ার রুটিনও পরিবর্তন করে থাকে। এরা মৃত প্রাণী খায় না।
সরীসৃপ প্রজাতির প্রানীরা জলে, স্থলে অথবা উভয় জায়গায় চলাচল করে থাকে। স্থলে চলাচল করা স্থানীয় সরীসৃপদের মধ্যে এরা সবচেয়ে বৃহত্তম প্রকৃতির। এরা সর্বোচ্চ ১৮০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হইতে পারে।কিন্তু খুব সাপই এই আকৃতি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। দৈর্ঘ্যের ভিত্তিতে পুরুষ সাপ স্ত্রী সাপদের চেয়ে ছোট হয়। স্ত্রী সাপেরা ৮-৪০ টি পর্যন্ত ডিম পেড়ে থাকে। এ প্রজাতির সাপেরা খুব দক্ষ সাঁতারু হয়ে থাক।
এদের সর্বদা পরিষ্কার স্বচ্ছ পানিতে পাওয়া যায়।এ সাপটি তার জীবনকালে ১৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। সারাদিন এরা বিভিন্ন ধরনের কাজে সক্রিয় থাকে তাই এরা দিবাচর প্রাণীর তালিকায় পরে। মাঝে-মধ্যে এরা গাছের গুড়ি, শাখা-প্রশাখা এরা উপর রোদ পোহাতে দেখা যায়। এ সাপ তার আত্ম-রক্ষার জন্য দুর্গন্ধযুক্ত এক প্রকার তরল পদার্থ পায়ু পথে নিঃসরন করে থাকে।