পাখি মুক্ত আকাশে উড়ে বেড়ানো পছন্দ করে। সুন্দর পাখি গুলো মানুষের মনে একটি নির্দিষ্ট জায়গা করে নিছে। এজন্য পোষা পাখি যে কেউ নিজের বাড়ীতে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করে। পোষা প্রানী হিসেবে যেমন বিড়াল কিংবা কুকুর বাড়ীতে থাকে তেমনি পাখিদের মধ্যে টিয়া পাখি, ময়না পাখি সহ রঙিন ও দেখতে সুন্দর পাখিদের পোষ মানাতে পছন্দ করে। ম্যাকাউ পাখির দাম অত্যান্ত বেশি এবং যে কেউ সহজে কিনতে পারে না।
ছোট পাখি গুলোর মধ্যে হামিং বার্ড সবচেয়ে ছোট পাখি। বাংলাদেশের পাখি গুলোর মধ্যে ছোট পাখি হল টুনটুনি, মাছরাঙ্গা সহ ইত্যাদি।বাংলাদেশ কিংবা বিদেশ যেখানেই হোক না কেন কবুতর মানুষের নিকট অতি পরিচিত একটি পাখি। কবুতর পালনের ক্ষেত্রে জায়গা যেমন অল্প লাগে তেমনি খরচও কম পড়ে। কবুতর পালন ব্যবসা করে অনেকেই টাকা উপার্জন করে। গরুর হাটের মত কবুতর বেচা-কেনার জন্য হাটে যেতে হয়।
কবুতরের বিভিন্ন জাত আছে যাদের কবুতর প্রেমীরা বেশী জানে কিন্তু সাধারন মানুষ কম জানতেই পারে। তবে বিশ্বব্যাপী সুন্দর প্রজাতির অনেক আকর্ষনীয় কবুতর রয়েছে। আমরা শুধু মাত্র আমাদের আশেপাশে থাকা কবুতরের সম্পর্কেই জানি কিন্তু বাহিরের সুন্দর পাখি কবুতর এর সম্পর্কে জানি না। আজকে সুন্দর পাখির নাম সহ ছবি দেখব এবং তাদের সম্পর্কে জানব।
ধূসর কবুতরঃ
এরা আকারে একটু মোটা এবং দেশি কবুতরের মত ছাই কালারের। কিন্তু এদের পেটের চারপাশে পালকগুলো স্পাইরাল আকৃতির সুন্দর ডিজাইন হয়ে আছে। এ কারনে এদের দেখতে একটু বড় লাগছে। এসব দেখে কবুতর পালন করতে ইচ্ছা হয়। এজন্য এই কথা বললে ভুল হবে না যে বাংলাদেশে বাড়ছে
দামী জাতের কবুতর পালন এবং একই সাথে একটি রেসিং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে কবুতর পালনের সহজ উপায় আছে। কবুতর এর ঘর ও ছবি দেখলে কিছুটা ধারনা পাওয়া যায়। কিন্তু পোষা প্রানী পালনের নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আছে যা মেনে চললে লাভজনক ভাবে কবুতর পালন করা যায়।
দৈত্যকৃতির কবুতরঃ
এরা দেখতে যেমন বিশাল তেমনি লম্বা চওড়া। এদের আসল নাম ইম্পেরিয়াল কবুতর। এদের সম্পূর্ন শরীর যেমন সাদা তেমনি ঈগল এর মত এদের পায়ের নখ যথেষ্ট বড়। এদের জঙ্গল এবং ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট এবং দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার বনে এদের দেখা মিলে।
ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইনে এদের অতি সহজেই দেখা মিলবে। এদের যেমন সম্পুর্ন কালো রঙের হয় তেমনি ভাবে সম্পূর্ন সাদা রঙের হয়। এরা ট্রপিকাল অঞ্চলের গাছ, গাছের মূল, বাকল সহ অন্যান্য কিছু খেয়ে থাকে। ছোট আকৃতির গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ খেয়ে থাকে।
বরফের কবুতরঃ
কয়েক ধরনের জাতের মধ্যে ব্রিডিং পদ্ধতিতে এই প্রজাতির কবুতরের উদ্ভব মিলেছে। এরা অনেকটা গৃহপালিত পর্যায়ের এবং রক পিজিয়ন এর বংশধর। ১৮৪৬ সালের দিকে এদের দেখা মিলেছিল। এদের কালার প্যাটার্ন অনেক সুন্দর প্রকৃতির। বিশেষ করে এদের পায়ের দিকে পালকের একটি সুন্দর প্যাটার্নের হয়ে থাকে। নাম এমন হলেও এদের কোন প্রজাতিই বা কোন কবুতরই বরফ বা বরফ আচ্ছাদিত অঞ্চলে থাকে না।
পোষা পাখিঃ
পোষা পাখি মানুষের শখের সাথে অনেক মিল থাকে। এই পোষা পাখি যেমন সুন্দর হয় তেমনি তা দৃষ্টি নন্দন ঘটে। পোষা প্রানী গুলোর মধ্যে কোনটি কোনটি থাকে তা জানার জন্য এই লিংকটি ভিজিট করতে পারেন। বিড়াল, কুকুর, টিয়া, ময়না সহ অন্যান্য আরও বেশি প্রজাতির প্রানী দেখা মিলে।
পরিশেষে, এমন অনেক প্রজাতির কবুতর আছে যাদের দেখতে যেমন আকর্ষনীয় লাগে তেমনি সুন্দর।