You are currently viewing মৌমাছি কামড়ের চিকিৎসা কি নিতে হয়

মৌমাছি কামড়ের চিকিৎসা কি নিতে হয়

কীট-পতঙ্গ এর মধ্যে মৌমাছির সাথে  আমরা সবাই পরিচিত। আমাদের বাসা বাড়িতে অথবা বাড়ির চারপাশের বিভিন্ন  গাছে মৌমাছি চাক দেখতে পাওয়া যায়। মৌমাছির চাক এক দিনে তৈরি হয় না। দিনে দিনে এদের মৌচাক বড় হয়। মৌমাছির চাকে কতগুলো মৌমাছি থাকে তা সঠিক সংখ্যা বলা যায় না। তবে যে কোন মৌচাকে তিন ধরনের মৌমাছি পাওয়া যায়। রানী মৌমাছি, পুরুষ মৌমাছি এবং শ্রমিক মৌমাছি। রানি মৌমাছির নেতৃত্বে সম্পূর্ন মৌচাক পরিচালিতে হয়। মৌমাছি কামড়ের চিকিৎসা হিসেবে আপনি কিছু প্রাইমেরি ট্রিটমেন্ট নিতে পারেন। মৌমাছি এর কামড়ের পর ইন্সট্যান্ট ফার্স্ট এইড ট্রিটমেন্ট নিলে কামড়ের জায়গায় ফুলে উঠে না। এবং এর কারনে ব্যাথা তুলনামূলক কম হয়।

মধু খাওয়ার উপকারিতা
ছবিঃ মৌমাছি ফুল থেকে মধু আহরন

মৌমাছি কামড়ের চিকিৎসাঃ

মৌমাছির হুল আমাদের শরীরে ফুটিয়ে দিলে ব্যাথা হয়। তবে মৌমাছি কামড় দিলে কামড়ানোর জায়গা ফুলে উঠে এবং চুলকায়। তবে প্রাইমারি ট্রিটমেন্ট নিলে তেমন কোন অসুবিধা হয় না। এমন ঘটনা ঘটে একটি মৌমাছি কামড় দিলে। কিন্তু যদি এক ঝাঁক মৌমাছি কামড় দেয় তাহলে দ্রুতগতিতে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। মৌমাছির কামড় অনেক বিষাক্ত প্রকৃতির হয় এবং এর যন্ত্রনা সহ্যের বাহিরে চলে যায়। যে খানে কামড় দিয়ে থাকে সেখানে লালচে ভাব দেখা যায়। তবে কামড়ের তীব্রতার কারনে ভিক্টিমের রিয়েকশন নির্ভর করে। মৌমাছি কামড় দিলে আপনি টুথপেষ্ট, পেয়াজ, রসুন, বেকিং সোডা ইত্যাদি প্রাথমিক ভাবে ব্যবহার করতে পারেন।


পিঁয়াজঃ মৌমাছি কামড়ের কারনে যে স্থানে ফুলে উঠে সেখানে আপনি পিঁয়াজ পাতলা স্লাইস কেটে ঘষতে হবে। পিঁয়াজের রস ঐ ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে। কিছু সময় পরপর স্লাইস চেঞ্জ করে নিতে হয়। এভাবে মোটামুটি ৩০ মিনিট ধরে ঘষলে ঐ জায়গায় ব্যাথা কমে যায়।

টুথপেষ্টঃ টুথপেষ্ট ঠান্ডা জেল জাতীয় পদার্থ। মৌমাছির কামড়ের পর কামড়ানোর স্থানে আধা ঘন্টা লাগিয়ে থাকতে হয়।

মধুঃ মৌমাছি ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে থাকে এবং সেই মধু তারা মৌচাকে সংরক্ষিত করে। মৌচাক থেকে মধু নিতে গেলেও কামড় দেয় অথবা মৌচাকে ঢিল মারলে মৌমাছি কামড় দেয়। মজার বিষয় হচ্ছে যে স্থানে মৌমাছি কামড় দেয় সেখানে  মধু লাগিয়ে রেখে দিলে অথবা ঘষা দেওয়ার পর ব্যাণ্ডেজ লাগিয়ে রাখতে হয়। এভাবে কামড়ানোর জায়গা ব্যাথা কিছুটা কমে।

বেকিং সোডা এবং ভিনেগারঃ বেকিং সোডা এবং ভিনেগার আমাদের নিত্য দিনে বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। ভিনেগার প্রিজারভেটিভ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আবার আগুনের আচ লাগলে অথবা মৌমাছি কামড় দিলে কামড়ানোর জায়গায় সাথে সাথে বেকিং সোডা এবং ভিনেগার একত্রে মিক্স করে মিশ্রনটি কামড়ানোর জায়গায় লাগাতে হয়। কেননা ভিনেগার চুলকানি হ্রাস করে থাকে।



বরফঃ মৌমাছি কামড় দিলে কামড়ানোর জায়গা লাল হয়ে যায়। যে কোন জায়গা লাল হয়ে থাকে। শরীরে যে কোন জায়গায় আঘাত লাগলে সর্বপ্রথম ঐ জায়গা লাল হয়ে যায়। কিন্তু সাথে সাথে বরফ দিলে লালচে ভাব যেমন কমে আসে তেমনি ভাবে ব্যাথাও কমে যায়।

মৌমাছির কামড় থেকে বাঁচার উপায়ঃ

মৌমাছি যেহেতু সহজেই কাউকে কামড়ায় না তবে আপনি যদি মৌমাছির পথে কোন রকমের বাঁধা হন তাহলে আপনাকে অবশ্যই কামড় দিবে। বাচ্চারা ফাজলামি করার জন্য দূর থেকে মৌচাকে ঢিল মেরে দৌড় দেয়। এই কাজ মোটেই কাম্য নয়। কারন মৌমাছিরা তাদের জীবনের বাজি রেখে তাদের মৌচাক রক্ষা করবে। কেউ যদি মৌচাকে ঢিল মারে এবং তারা তা দেখতে পারে তাহলে আপনার কপালে দুঃখ আছে। কারন মৌচাকের সকল মৌমাছি আপনার পিছনে পড়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে দৌড় দেওয়াই ভাল। তবে আপনি যদি আশেপাশে কোন পুকুরের মধ্যে নেমে পড়ে নিজেকে পানির নিচে ডুব দিয়ে থাকেন তাহলেও হয়ত আপনি মৌমাছির হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন। এভাবে আপনি মৌমাছি থেকে রক্ষা পাবেন।

চিংড়ি মৌমাছি

মৌমাছির বৈজ্ঞানিক নাম Anthophila. মৌমাছির এবং রেশম পোকার জীবন চক্র আছে। যে কোন প্রানীর জীবন চক্র বলতে ঐ পোকা জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত যেসব ধাপ রয়েছে সেগুলোই বুঝায়। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেনিতে মৌমাছি রেশম পোকার জীবনচক্র পাঠ্য বইয়ের  অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও ছোট ক্লাসের বইয়ে মৌমাছি নিয়ে অনেক কবি কবিতা লিখেছে। মৌমাছি বর্তমানে বানিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়। মৌমাছি চাষের মূল উদ্দেশ্য হল মধু সংগ্রহ।



মৌমাছি ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করার নির্দষ্ট নিয়ম বা পদ্ধতি আছে। একটু লক্ষ্য তা বুঝতে পারবেন। এছাড়াও মৌমাছির মৌচাক থেকে মানুষ মধু সংগ্রহ করে। এই মধু সংগ্রহের নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। কারন মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম নিজের প্রোটেকশন নিশ্চিত করতে হবে। যারা মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করে তাদের জন্য বিশেষ ধরনের পোষাক পড়তে হয়।

পরিশেষে, মৌমাছি থেকে দূরে থাকাই ভাল। কারন ঝঁকে ঝাঁকে মৌমাছি এসে কামড়ের দিলে আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে জরুরিভাবে। কেননা হুল ফুটানোর কারনে শরীরের মধ্যে বিষ প্রবেশ করে। একই সাথে শরীরের ক্ষতি হওয়ার চান্স থাকে। তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা নিলে শরীরের ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে।


Facebook Comments

YappoBD

YappoBD-হলো poshupakhi.com এর একমাত্র স্বত্তাধীকারি। এই ওয়েবসাইটের সকল প্রকার কন্টেন্ট ইয়াপ্পোবিডি কর্তৃপক্ষ দ্বারা লিখিত, পরিমার্জিত এবং এটি ইয়াপ্পোবিডি এর অঙ্গসংস্থান।