You are currently viewing পৃথিবীর বিষাক্ত ভয়ংকর কীটপতঙ্গ যা অপরিচিত

পৃথিবীর বিষাক্ত ভয়ংকর কীটপতঙ্গ যা অপরিচিত

পৃথিবীতে পোকা-মাকড় ভয়ংকর কীটপতঙ্গ এর শেষ নেই। পোকা-মাকড় ছোট এবং বড় রয়েছে যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর এবং পরিবেশের উপরও বেশি প্রভাব ফেলে। পোকা-মাকড় প্রাকৃতিক পরিবেশের চক্র বা ইনভাইরোমেন্টাল সাইকেল সচল রাখতে সহযোগিতা করে। পোকা-মাকড়ের কারনে ফুলে ফুলে পরাগায়ন এবং ফুল ফলে পরিনত হয়। পোকা-মাকড় যে শুধু বিষাক্ত প্রকৃতিরই হবে তা নয়। কিছু কিছু   পোকা-মাকড় মানুষের উপকারও করে থাকে। মানুষের জন্য পোকা-মাকড় ডিরেক্টলি কিংবা ইনডিরেক্টলি উপকার করে থাকে। যেমন রেশম পোকা রেশমের গুটি থেকে রেশম সুতা তৈরি করে থাকে যা দিয়ে মানুষের জন্য ব্যবহৃত রেশমি পোষাক তৈরি করা হয়ে থাকে। মানুষের জন্য উপকারি পোকা-মাকড় সম্পর্কে আমরা পরে জানব। আজকে আমরা ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।

জাপানি মৌমাছিঃ

এরা ২-৩ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বায় হয়ে থাকে। মৌমাছিরা সর্বদাই গ্রুপে চলাফেরা করে থাকে। এরা অত্যান্ত মারাত্মক ক্ষতিকর এবং বেশি আগ্রাসীর মত আচরন করে থাকে। পৃথিবীতে আগ্রাসী প্রানী বা পোকা-মাকড়ের মধ্যে এরাই অন্যতম। একসাথে এরা ১০০ জন একত্রে কামড়াতে পারে। এবং একই মৌমাছি একাধিকবার ও কামড়াইতে পারে। এই মৌমাছি থেকে নির্গত বিষাক্ত পদার্থ মানুষের শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। এরা রিমোট লোকেশনে থাকে বেশি এবং জাপানের বিভিন্ন দ্বিপে থাকে। এদের কারনে মানুষের মৃত্যুর হার বেশি।

ভয়ংকর কীটপতঙ্গ
ছবিঃ মৌমাছি

কালো মাকড়সাঃ

এরা সম্পূর্ন রূপে পোকা-মাকড় না হলেও এদেরই এক  ধরনের সমগোত্রীয় প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বিষাক্ত প্রানীর মধ্যে এরা একটি। এমনকি র‍্যাটেল স্নেকের চেয়েও এরা অত্যান্ত বিষাক্ত প্রকৃতির ( প্রায় ১৫ গুন) হয়ে থাকে। এদের কামড়ে মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হয়ে থাকে। আমাদের চারপাশে এটিকে দেখলে কিভাবে এটা থেকে নিজেকে মুক্ত করে রাখা যায়। ভিনেগার হল স্পাইডার কিলিং মেশিন। ভিনেগার দিয়ে এই মাকড়সাকে অতি সহজেই মেরে ফেলা যায়।

কালো মাকড়সা
ছবিঃ কালো মাকড়সা

গরু মারার পিঁপড়াঃ

এরা বেগুনি বর্নের পিঁপড়াদের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রজাতির। এদের এমন নামকরন করা হয়েছে এবং লম্বায় ১ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে।স্ত্রী প্রজাতির পিঁপড়ার কামড়ের কারনে এদের এমন নামকরন করা হয়েছে। অথবা বলা চলে এরা এমন সুনাম অর্জন করেছে। ধারনা করা হয় এদের কামড়ে এতটাই ব্যাথা হয় যে আস্ত একটা গরুও মারা যেতে পারে। স্ত্রী প্রজাতির পিঁপড়ার শরীরে কালো  এবং লাল রঙের সুন্দরভাবে বিন্যাস হয়ে থাকে। এবং পুরুষ প্রজাতির  পিঁপড়ার শরীরের অর্ধেক কাল এবং অর্ধেক লাল হয়। উভয়েরই স্টিং গুলো কালো রঙের হয়ে থাকে।

লাল পিঁপড়া
ছবিঃ লাল পিঁপড়া

পরিশেষে, এমন সব পোকা-মাকড় ভয়ংকর কীটপতঙ্গ সম্পর্কে আরও আর্টিকেল ভবিষ্যতে লেখা হবে। আপনি কি ধরনের অথবা কোন পোকা মাকড় সম্পর্কে জানতে চান তা কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। লেখাটি আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন। ততক্ষন পর্যন্ত ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।

Facebook Comments

YappoBD

YappoBD-হলো poshupakhi.com এর একমাত্র স্বত্তাধীকারি। এই ওয়েবসাইটের সকল প্রকার কন্টেন্ট ইয়াপ্পোবিডি কর্তৃপক্ষ দ্বারা লিখিত, পরিমার্জিত এবং এটি ইয়াপ্পোবিডি এর অঙ্গসংস্থান।