বিষাক্ত কীটপতঙ্গ আমাদের পরিবেশের জীবজগতের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।আকারের দিক থেকে এরা ছোট কিংবা বড় বিভিন্ন সাইজের হতে পারে।কিন্তু এরা অবশ্যই অন্যান্য বন্য প্রানীর মত বিশাল নয়।তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অন্যান্য প্রানীর তুলনায় এসব পোকামাকড় অত্যন্ত ছোট সাইজের হয়।সাইজের ছোট কিংবা বড়, যাই হোক না কেন অনেক পোকামাকড় উপকার করে,আবার অনেকেই ক্ষতি করে।তবে পোকামাকড়গুলো মানুষের সরাসরি ক্ষতি না করে; বিভিন্ন ধরনের খাদ্য শস্যের ক্ষতি করে।যা মানুষের জন্য খাদ্যাভাব এবং ভোগান্তির কারন হয়।
তবে সকল পোকামাকড় যে শুধু ক্ষতি করে এমনটি নয়।এদের মধ্যে অনেক প্রজাতির পোকামাকড় আছে যারা ফুলের পরাগায়ন সহ বিভিন্ন ফলমূল এবং খাদ্যশস্যের উৎপাদনের পিছনে বিরাট ভূমিকা পালন করে।পোকামাকড়ের সহায়তায় অনেক ফুল ফলে পরিণত হয় এবং পরিপক্কতা লাভ করে।আজকে আমরা ঐসব পোকামাকড় সম্পর্কে জানব যারা মানুষের ক্ষতি করে।খাদ্যশস্য ছাড়াও মানুষকে কামড়ানো এবং মানব শরীরকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ায় ভূমিকা রাখে।চলুন জেনে নেওয়া যাকঃ
ব্ল্যাক উইডো স্পাইডারঃ
আকৃতির দিক থেকে এরা কাগজ আটকানোর ক্লিপের মতই ছোট।কিন্তু বিষাক্ততার দিক থেকে এরা র্যাটেল স্নেক থেকে ১৫ গুণ বেশি বিষাক্ত।অন্যান্য মাকড়সার মধ্যে এদের সহজে চিনতে পারা যায়; কেননা এদের পেটের উপর লাল চিহ্ন রয়েছে।ফলশ্রুতিতে এটিই যে ব্ল্যাক উইডো স্পাইডার তা নিশ্চিত হওয়া যায়।বন্য পরিবেশে এরা ১-৩ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে এবং এরা একা ঘোরাফেরা করতে পছন্দ করে।
ট্যারেন্টুলা মাকড়সাঃ
রেস্টুরেন্টে গিয়ে আমরা পিজ্জা অনেকেই খেয়ে থাকি।এই মাকড়সার আকৃতি ছোটখাটো একটি পিজ্জা থেকে কম নয়।এরা জীবদ্দশায় ৩০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।মানুষ ও অন্যান্য প্রানীও এদের আকৃতি দেখে ভয় পায়।যদিও এদের বিষ ব্ল্যাক উইডো স্পাইডারের মত বিষাক্ত নয়, তবুও এরা মানুষের শরীরে সংস্পর্শে আসলে কামড়ানোর জায়গায় প্রচন্ড ব্যাথা এবং চুলকানি হয়। বিষাক্ত কীটপতঙ্গের তালিকায় এরা শীর্ষে অবস্থান করে।
বিষাক্ত কীটপতঙ্গঃ
এরা মৌচাক বানানোর জন্য আমেরিকার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের দিকে ভ্রমণ করে।এরা আফ্রিকান মৌমাছি হলেও বেশিরভাগ সময় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিযায়ী হয়।মানুষ এবং অন্যান্য প্রানীর উপর সহজেই আক্রমণ করে না।তারা যদি কখনও বুঝতে পারে যে,
তাদের মৌচাক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে তবে তারা শত্রু উপর আক্রমণ করে।তবে কোথাও এদের মৌচাক দেখতে পেলে সেখান থেকে দূরে থাকাই ভাল।বিষাক্ত কীটপতঙ্গ প্রায় প্রায়ই এক স্থান হতে অন্য স্থানে পরিযায়ী হয়।
বাদামি মাকড়শাঃ
আমেরিকার মধ্য এবং পশ্চিমাঞ্চলের মাঝামাঝি এলাকায় এদের দেখতে পাওয়া যায়।এসব মাকড়সা ৭ বছর পর্যন্ত বয়সের ছেলেমেয়েদের জন্য হুমকি স্বরূপ।এতে শরীর ভায়োলিন নামক বাদ্যযন্ত্রের মত দেখতে।এদের সম্পূর্ণ শরীর দেখতে বাদামী বর্নের।সহজ কথায় কোকো পাউডার দেখতে যেমন, এদের শরীরের রঙও তেমনে।
স্কোরপিওনঃ
এদের চলাফেরা কাকড়ার মত এবং দেখতেও অনেকটা কাকড়ার গঠনের সাদৃশ্য রয়েছে।এরা প্রকৃতপক্ষে নিশাচর প্রানী।যে কারনে এদের দিনের চেয়ে, রাতের বেলায় বেশি দেখতে পাওয়া যায়।এদেরকে আফ্রিকার মরুভূমির বিভিন্ন অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায়।মরুভূমিতে দিনের বেলায় প্রচন্ড গরম হয় এবং
এ সম্পর্কে আরও জানতে ক্লিক করুন
রাত হওয়ার সাথে সাথে তাপমাত্রা কমতে থাকে।এজন্য অনেক প্রানী দিনের চেয়ে রাতেই শিকারে বের হয়।আকৃতিতে ছোট হওয়ায় এরা কাপড়, জুতা ইত্যাদির মধ্যে সহজে কোন জায়গায় লুকিয়ে থাকতে পারে।কিন্তু ভুলেও যদি মানুষ এদের শিকার হয় তবে তার শরীরের অতি দ্রুত বিষ ছড়িয়ে পড়ে।
পরিশেষে, বিষাক্ত কীটপতঙ্গ সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা হল।এসব বিষাক্ত কীটপতঙ্গের সংখ্যা যেমন কমতি নেই,তেমনি এদের সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্যের শেষ নেই।
এজন্য বিভিন্ন ধরনের প্রানী, কীটপতঙ্গদের সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং আপনাদের মন্তব্য কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করুন।