ফুটবল জগতে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা উল্লেখযোগ্য দুটি দেশ। বাংলাদেশ সহ বিশ্বব্যাপী এই দুই দেশের ভক্ত অনেক। ফুটবল তাদের নিকট দুই দেশ পরিচিত হলেও এদের বিষাক্ত প্রানীদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। যেহেতু আমাদের দেশের অধিকাংশ জনগণ উক্ত দুই দেশের ফুটবল খেলায় বেশি ভক্ত; তাই এই দেশগুলোর বিষাক্ত প্রানীদের সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত। যে যে দল সাপোর্ট করে না কেন, বিষাক্ত প্রাণীর তালিকায় উভয় দেশেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিষাক্ত প্রানী রয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে অন্যান্য আরও প্রাণী রয়েছে।
অ্যামাজন রেইন ফরেস্ট ব্রাজিলের এক বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে এই রেইনফরেস্টে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত প্রাণীর বসবাস। পৃথিবী কে সুস্থ রাখতে এবং গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর হার কমাতে রেইন ফরেস্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।রেইন-ফরেস্টে বিষাক্ত প্রানীরাই মূলত ব্রাজিলের বিষাক্ত প্রানীর তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, প্রানীদের সম্পর্কেঃ
ব্রাজিলিয়ান মাকড়সাঃ
এ প্রজাতির মাকড়সাদের ইংরেজিতে “ মার্ডার” নামে ডাকা হয়। কেননা মাকরাশা সাধারণত তার জাল বুনতে ব্যস্ত থাকে।কিন্তু এই প্রজাতির মাকড়সা শুধুমাত্র মানুষকে মারার জন্য মাটির উপরে চলাফেরা করে। এরা কখনোই নিজেদের জাল বুনার কাজে ব্যস্ত রাখে না। জীবিত প্রাণীদের মধ্যে এরা সবচেয়ে বেশি ডেডলিস্ট প্রাণী। নিশাচর প্রাণী হয় এরা শুধুমাত্র রাতের বেলা শিকারের সন্ধানে বের হয় এবং দিনের বেলা বিভিন্ন ভাবে নিজেদের লুকিয়ে রাখে।
জাগুয়ারঃ
এই প্রাণীটি ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা উভয় দেশেই খুঁজে পাওয়া যায়। এরা ৪৩-৭৫ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। চিতাবাঘ এবং এদের মধ্যে সবচেয়ে পার্থক্য হল ওজনের দিক থেকে এরা চিতা বাঘের চেয়েও এগিয়ে। এরা সর্বোচ্চ ১৩৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
এরা হঠাৎই এদের শিকার এর উপর আক্রমণ করে।পৃথিবীতে বর্তমানে প্রায় ২০০ টির মত প্রজাতি বেঁচে রয়েছে। এই প্রাণীটি ঘন্টায়.৮০ কি. মি গতিতে দৌড়াতে পারে।
আর্জেন্টাইন মাকড়সাঃ
ব্ল্যাক উইডো প্রজাতির মাকড়সা অত্যান্ত বিষাক্ত প্রকৃতির বলে ধারণা করা হয়। প্রজাতির আরো ছয় রকমের উপ-প্রজাতি রয়েছে।এর কামড়ে মানুষের মাংস পেশীতে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হয়।তবে মাকড়সাগুলো অনেক নিরীহ প্রকৃতির এবং আক্রমণাত্মক নয়।এদের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে অর্থাৎ গ্রীষ্মের সময় সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
বিষধর বিচ্ছু সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন
কোরাল স্নেকঃ
এ প্রজাতির সাপ কে সহজেই চিনতে পারা যায় না। এদের শরীরের উপর সাদা কালো স্পট থাকার কারণে এবং এরা সামুদ্রিক কোরাল এর আশেপাশে চলাফেরা করার কারণে অনেক সময় এদের চিনতে পারা দুরূহ হয়ে পড়ে। অন্য সাপের মাথা গোলাকার অর্ধবৃত্তাকার বিভিন্ন রকম হলেও এই সাপের মাথা ত্রিকোণাকৃতর। এই সাপ অনেকটা লাজুক প্রকৃতির।
কিন্তু এমন হওয়া সত্বেও এদের সর্বদা এড়িয়ে চলা উচিত। কেননা এরা নিজেদের মধ্যে বিষাক্ত পদার্থ লুকিয়ে রাখে এবং সুযোগ বুঝে শিকারী কে দংশন করতে ভুল করে না। এ ব্যাপারে তারা অনেক দক্ষ। এ প্রজাতির সাপ থাকা খুশির কিছু নয় কিন্তু আর্জেন্টিনাতে প্রচুর পরিমাণে এরা রয়েছে।
বিষাক্ত প্রানীঃ
পৃথিবীতে ভাইপার প্রজাতি সাপ রয়েছে তাদের মধ্যে এরা অন্যতম। দক্ষিণ আমেরিকার বিষাক্ত প্রাণীদের তালিকা এরা শীর্ষ অবস্থান করবেই।কেননা এইসাব আর্জেন্টিনার পাশাপাশি ব্রাজিলেও দেখতে পাওয়া যায়।প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ এই সাপের কামড়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করছে।
এই প্রজাতির সাপের কামড়ে কিডনি ফেইলিওর, ব্রেন হেমারেজ সহ অন্যান্য জটিল রোগ হতে পারে। এজন্য অতি সহজেই মানুষের মৃত্যু ঘটে। অন্য প্রাণীরা সবচেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক।এদের জারারাখ সাপ নামে ডাকা হয়।
পরিশেষে অ্যামাজন রেইন ফরেস্টের আশেপাশে উভয় দেশের অবস্থান হওয়ায় জল স্থল পথে অনেক বিষাক্ত প্রানী এক দেশ থেকে অন্য দেশে বিস্তার ঘটেছে। তাই প্রাণীদের সম্পর্কে আরো জানার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন এবং আপনাদের মন্তব্য কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করুন।