কাঁকড়া সমুদ্রের অমেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে পড়ে। এদের দেখতে অনেকের ভালোও লাগে আবার অনেকে কাঁকড়া দেখে ভয়ও পায়। কাঁকড়া মানুষের খাদ্য তালিকার বিশেষ ভাবে স্থান করে নিয়েছে। পৃথিবীব্যাপী মানুষ বড় কাঁকড়া খেয়ে থাকে। খাবার হিসাবে পূর্বে সামুদ্রিক অঞ্চলে পাওয়া গেলেও বর্তমানে এদের শহরের বড় বড় রেস্তরায় পাওয়া যায়। বিশ্বের কাঁকড়া গুলো কত বড় এবং কি রকম আকৃতির হতে পারে তা নিচে দেওয়া হলঃ
ব্রাজিলের সার্জিপি কাঁকড়াঃ
এদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ছে। ব্রাজিলের সার্জিপি অঞ্চলে ম্যানগ্রোভ উপকূল বেয়ে লবনাক্ত পানিতে এদের পাওয়া যায়। এরা আকৃতিতে একটু ছোট কিন্তু এর মাংস অনেক উপাদেয়। ব্রাজিলের আঞ্চলিক ভাষায় এদের “আরতু” বলা হয়।
কলাম্বিয়ার ব্ল্যাক কাঁকড়াঃ
কলাম্বিয়া দ্বীপের শেষ অঞ্চলে এদের দেখতে পাওয়া যায়। এদের শরীর কালো খোলস, হলুদ কিনার যুক্ত লাল পা এর জন্য এরা অতি সহজে মানুষের চোখে পড়ে। ঠিক কুয়াকাটার লাল কাকড়ার মত। প্রতি বছর এপ্রিল হতে জুন মাস পর্যন্ত এরা ঝাঁকে ঝাঁকে হাজার হাজার কাঁকড়া বন হতে সমুদ্র উপকূলে আসে ডিম পাড়ার জন্য।
অস্ট্রেলিয়ার নারিকেল কাঁকড়াঃ
এটিকে মূলত কোকোনাট ক্রাব বলা হয়। এরা হার্মাইট কাঁকড়ার প্রজাতি। এরা অস্ট্রেলিয়া- ওশেনিয়া অঞ্চলের ভানাটু আর্চিপেলাগো নামক জায়গায় বাস করে। নারিকেল এদের খাবারের প্রাথমিক উৎস হওয়ায় এদের নাম কোকোনাট ক্রাব হয়েছে।
আর্জেন্টিনার মাকড়সা কাঁকড়াঃ
সেন্টুলা ফুজিয়ানা নামক কাঁকড়া মাকড়সা কাঁকড়া নামে পরিচিত। এ প্রজাতির বাকি কাঁকড়ার মধ্যে এরা সবচেয়ে সু-স্বাদু এবং মুখরোচক। এরা সরাসরি দক্ষিন-আর্জেন্টিনার বীগল চ্যানেল হতে সমুদ্র উপকূলে আসে। এরা কে বড় কাঁকড়া
চিলির কিং কাঁকড়াঃ
দক্ষিন আমেরিকার চিলি, আর্জেণ্টিনা, পেরুর উপকূলীয় অঞ্চলে এদের পাওয়া যায়। এরা সাধারনত পানির উপরিভাগ হতে ১৫০মিটার গভীর পানিতে বাস করে। কিন্তু মাঝেমধ্যে স্থানীয় জেলেরা ৬০০ মিটার গভীর পানিতেও এদের খুঁজে পায়।
শ্রীলংকান কাঁকড়াঃ
শ্রীলংকার অগভীর সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে এবং এর আশেপাশের জলাশয়ে প্রচুরপরিমানে কাঁকড়া পাওয়া যায়। এগুলো ভোজ্যতেলে ফ্রাই করে সবাই খেয়ে থাকে। এটা শ্রীলংকার ট্রেডিশনাল এবং ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে একটি।এটি শ্রীলংকান সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। সকল প্রজাতির কাঁকড়ার মধ্যে ব্লু সুইমিং কাঁকড়া, রেড স্পটেড সুইমিং কাঁকড়া লোকমুখে বেশি প্রশংসিত।
স্পেনের মাকড়সা কাঁকড়াঃ
মাকড়সা কাঁকড়ার অনেকগুলো প্রজাতির মধ্যে ট্যাক্সনগুরো বেশি জনপ্রিয় কাঁকড়া। এদের মানুষ বেশি খেতে পছন্দ করে। “বাস্ক” নামক কুজিন বা রন্ধনপ্রনালিতে এদের ব্যবহার করা হয়। এর শরীরের চারপাশ কিছুটা কাঁটা যুক্ত। এর পা লম্বা এবং চিকন প্রকৃতির। এর শরির এর মাংস অনেক স্বাদ যুক্ত।
ফ্লোরিডার স্টোন কাঁকড়াঃ
ফ্লোরিডার গালফ উপসাগরীয় অঞ্চলে ফ্লোরিডা স্টেটের সবচেয়ে বেশি সামুদ্রিক খাবার পাওয়া যায়। এদের শরীরে মাংস খোলস দ্বারা আবৃত থাকে যা অনেক উপদেখতে। এর শক্ত খোলস এবং জোড়া নখর জন্য দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।
ওয়াশিংটনের ডাংনেস কাঁকড়াঃ
ওয়াশিংটনের উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং এর উপকূলে এদের সর্বত্র খুঁজে পাওয়া যায়। বাকি সব কাঁকড়া হতে এরা সবচেয়ে বড় আকৃতির। এদের শরিরের সম্পূর্ণ ওজনের ২৫% ই মাংশ। এদের শীতকাল হতে জুলাই মাস পর্যন্ত ধার হয়ে থাকে একমুখি খাঁচার মাধ্যমে। সামুদ্রিক বিপন্ন প্রাণী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন
কয়েক প্রজাতির বড় কাঁকড়া সম্পর্কে জানলেন। আশা করি ভাল লেগেছে। পশুপাখি সম্পর্কে আরও সুন্দর ও তথ্যমূলক পোষ্ট পড়তে Poshupakhi.com এর সাথেই থাকুন। আশাকরি আপানাদের মুল্যবান মন্তব্য নিচের কমেন্ট বক্সে আমাদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।