You are currently viewing চোখ ছাড়াই যেসব প্রানী এ সুন্দর পৃথিবী দেখতে পারে

চোখ ছাড়াই যেসব প্রানী এ সুন্দর পৃথিবী দেখতে পারে

মানুষের শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যাঙ্গ সম্পূর্ন জীবনে কোন নির্দিষ্ট কাজে ব্যবহার হয়।কান দিয়ে আমরা যেমন শুনি তেমনি ভাবে চোখ দিয়ে আমরা এই সুন্দর পৃথিবী দেখতে পারি।সৃষ্টিকর্তা সম্পূর্ন মানব শরীরকে অত্যান্ত সুন্দরভাবে তৈরি করেছে। মানুষের এই সুন্দর গঠন এবং বিবেক বুদ্ধি থাকায় অন্যান্য প্রানীর চেয়ে সেরা হিসাবে আখ্যায়িত করেছে। একই সাথে এই সম্পূর্ন পৃথিবীকে সুন্দর করে গড়ে তুলেছে।এই সুন্দর পৃথিবী গ্রহই একমাত্র মানুষের বসবাসের উপযোগী।



এই পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় নান্দনিক প্রাকৃতিক এবং কৃত্রিম সৌন্দর্য র‍য়েছে।চোখ দিয়ে আমরা এই সুন্দর জায়গাগুলো দেখে থাকি।মানুষের মত অন্যান্য প্রানীও চোখের মাধ্যমে এই সুন্দর পৃথিবীর সৃষ্টি সমূহ দেখতে পারে।দৃষ্টি শক্তি থাকায় প্রানীদের যেখানে-সেখানে বিচরন করা অনেক সহজ হয়।কিন্তু
প্রানীদের মধ্যে এমনও বিশেষ প্রজাতির প্রানী রয়েছে যাদের দৃষ্টিশক্তি নেই। অথচ তারা সাবলীলভাবে চলাফেরা করছে বিনা বাধায়।



অন্ধ মানুষের চলাফেরা লক্ষ্য করলে দেখা যায় তারা দেখতে না পারলে অন্য কোন ক্ষমতা যেমনঃশ্রবন শক্তি, ঘ্রান শক্তি ইত্যাদি কাজে লাগিয়ে ভালভাবে চলাফেরা করতে পারে। আজকে আমারা ঐ সব প্রানীদের সম্পর্কে জানব যারা দৃষ্টিহীন অথবা চোখ থাকলেও দেখতে পারে না। অন্য কোন ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তারা বিনা বাধায় চলাফেরা করে।

স্যালমান্ডারঃ

এরা সমুদ্রের নিচের মাটি বা কাদার ভিতর দীর্ঘসময় থাকার পর এরা বুঝতে পারে এদের শরীরে চোখ কোন কাজেই আসে না।সবচেয়ে অপ্রয়োজনীয় অঙ্গ মনে করে।এরা এটি না থাকলেই ভাল হত এমনটি মনে করে।এরা এভাবে চোখকে অব্যবহৃত রেখে পানির নিচের চাপ অনুভব করে চলাফেরা করে এবং খাদ্য শিকার করে।

Chinese giant salamander
ছবিঃ সামুদ্রিক স্যালমন্ডার



সামুদ্রিক আর্চিনঃ

দীর্ঘ সময় ধরে বিজ্ঞানীরা মনে করত যে সামুদ্রিক আর্চিন গুলো দৃষ্টি শক্তি আছে।এবং এদের দেখার সামান্য হলেও ক্ষমতা রয়েছে।কিন্তু পরবর্তীতে গবেষনায় দেখা গেছে এদের শরীরের উপর আলো পড়লে এরা নিজেদের শরীরের রঙ পরিবর্তন করে ফেলে।এই বিষয়টি সামুদ্রিক প্রানীর দৃষ্টিশক্তির সাথে কিছুটা মিল রয়েছে।

সুন্দর পৃথিবী
ছবিঃ সুন্দর প্রানী সামুদ্রিক আর্চিন

অ্যালবিনো কাকড়াঃ

অ্যালবিনো অঞ্চলের পাহাড়ের গুহার মধ্যে এদের দেখতে পাওয়া যায়।এরা আকারে অনেক ছোট এবং হালকা সোনালী ধুসর রঙের।ঐ অঞ্চলের পাশে অবস্থিত ক্যানারি দ্বীপেও এদের দেখা মিলে।এদের কিছু বৈশিষ্ট্য গলদা চিংড়ির সাথে মিল রয়েছে।


সবচেয়ে বড় বড় কাঁকড়া সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন

সুন্দর প্রানী
ছবিঃ অ্যালবিনো কাকড়া

হাইড্রাঃ

জেলিফিশের মত সমগোত্রীয় অন্ত্যান্ত ক্ষুদ্র প্রানী হাইড্রা।এদের সম্পর্কে আমরা কম-বেশি সায়েন্সের পাঠ্য বইয়ে পড়েছি মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে।প্রথমে বিজ্ঞানীরা জানতে পারেনি কিভাবে হাইড্রা চোখ ছাড়া দেখতে পারে।কিন্তু পরবর্তীতে উদ্ভাবন হয় এদের শরীরে এক ধরনের প্রোটিন যার সাহায্যে এরা চলাফেরা করতে পারে।এই প্রোটিন সেন্সর হিসাবে কাজ করে।সুন্দর পৃথিবীতে এদের মত আরও অনেক রহস্যময় বিশেষ প্রানী আছে।

hydra vulgaris
ছবিঃ সামুদ্রিক হাইড্রা

ক্রেফিশঃ

মিসৌরি অঞ্চলে খালের নিচে গর্তের মধ্যে এরা থাকতে পছন্দ করে।এদের সম্পূর্ন শরীর পানির মত স্বচ্ছ এবংকিছুটা ধূসর বর্নের।এরা সর্বদাই অন্ধকার যুক্ত অঞ্চলে থাকতে পছন্দ করে।কোন ভাবেই এরা উজ্জ্বল পরিবেশে থাকতে চায় না।সুন্দর পৃথিবীর ঐতিহাসিক অঞ্চলগুলোর মধ্যে মিসৌরিও একটি।


Blind Cray Fish
ছবিঃ ক্রে ফিশ

পরিশেষে, দৃষ্টিহীন প্রানীরা কীভাবে চলাচল করে তা সম্পর্কে জানলাম।এমন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন প্রানী আরও প্রানী রয়েছে।সেসব প্রানীদের সম্পর্কে একই আর্টিকেলে বলা সম্ভব নয়।এজন্য এমন পশুপাখি বা প্রানীদের সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।আপনাদের যেকোন মন্তব্য কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করুন।


Facebook Comments

YappoBD

YappoBD-হলো poshupakhi.com এর একমাত্র স্বত্তাধীকারি। এই ওয়েবসাইটের সকল প্রকার কন্টেন্ট ইয়াপ্পোবিডি কর্তৃপক্ষ দ্বারা লিখিত, পরিমার্জিত এবং এটি ইয়াপ্পোবিডি এর অঙ্গসংস্থান।