You are currently viewing জীবন্ত জীবাশ্মা বা লিভিং ফসিল প্রানী কি সাধারন প্রানীর মতই

জীবন্ত জীবাশ্মা বা লিভিং ফসিল প্রানী কি সাধারন প্রানীর মতই

জীবন্ত জীবাশ্মা এর সাথে আমরা সবাই পরিচিত। কিন্তু ডিটেইলস অনেকের সন্দেহ আছে।জ্বালানি আমাদের জীবনের নিত্যদিনের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বস্তু সমুহের মধ্যে একটি।মানুষের মৌলিক চাহিদ সমূহ  মধ্যে খাদ্য অন্যতম।এই খাদ্য খাওয়ার উপযোগী করতে এই জ্বালানির দরকার হয়।খাদ্য ছাড়াও জ্বালানি আমাদের অনেক কাজেই ব্যবহার হয়।বর্তমানে জ্বালানির বহুমুখী  ব্যবহার আমাদের জীবনকে সুন্দর এবং সহজ করে দিয়েছে।



কিন্তু জ্বালানি আমাদের জীবনকে সহজ করে দিলেও পরিবেশের দুষনের জন্য প্রধান কারন হয়ে দাড়িয়েছে।ফলশ্রুতিতে আমরা নিজেরাই নিজেদের থাকার পরিবেশকে বসবাসের অনুপযোগী করে তুলছি।এ থেকে পরিত্রানের জন্য সর্বপ্রথম মানুষের সচেতনতা দরকার এবং তারপর যে সমস্ত  জ্বালানির কারনে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে তাদের বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার নিশ্চিত করা।



জীবন্ত জীবাশ্মা বলতে আমরা ঐ সব প্রানীদের বুঝে থাকি যারা মাটির নিচে দীর্ঘ সময় ধরে চাপা পড়ে থাকে।ফলে ঐ সমস্ত প্রানী এক সময় মাটির নিচে বিভিন্ন ধরনের জ্বালানিতে রুপান্তর হয়।এই জ্বালানি বাতাসের অনুপস্থিতে পচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।মৃত গাছ বা গাছের পাতা, মৃতদেহ ইত্যাদি হাজার হাজার বছর ধরে মাটির নিচে চাপা পড়ে এই জ্বালানি তৈরী হয়।এই জ্বালানিতে প্রচুর পরিমানে কার্বন থাকে।কয়লা, প্রকৃতির গ্যাস, খনিজ তেল ইত্যাদি জীবিত জীবাশ্মার উদাহরন।আজকে আমরা ঐ সব প্রানীদের সম্পর্কে জানব যাদের বহু বছর পূর্বে খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল।

হর্স কাকড়াঃ

এদের উৎপত্তি ডাইনোসরের চেয়েও পূর্বে।প্রায় ৪৪৫ মিলিয়ন বছর পূর্বে এদের খুঁজে পাওয়া যায়।এদের বর্তমানে আমেরিকার ফ্লোরিডার সী বিচ ছাড়াও অন্যন্য কিছু জায়গায় দেখতে পাওয়া যায়।এত দীর্ঘ সময় ধরে এরা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করে আসছে এবং সময়ে বিবর্তনে অনেক কাকড়া মারাও গিয়েছে। এদের মৃতদেহ পচন প্রক্রিয়ায় জ্বালানি তৈরি করে।এজন্য এদের জীবন্ত জীবাশ্মা বলা হয়।বর্তমানে এদের চার ধরনের প্রজাতির দেখা পাওয়া যায়।

Crabs কাকড়া
ছবিঃ কাকড়া

নাওটিলাসঃ

আজ থেকে ৪০০ মিলিয়ন বছর পূর্বে এদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল।তবে অন্যান্য প্রানীর ক্ষেত্রে যেমনটি হয় কালের বিবর্তনে হরেক রকম পরিবর্তন আসে।কিন্তু এরাই একমাত্র এমন প্রানী যারা ৪০০ মিলিয়ন বছর পূর্বেও যেমন ছিল বর্তমানেও তেমন আছে।স্বাভাবিক ভাবে এদের জীবনের আয়ুষ্কাল ২০ বছর পর্যন্ত  হয়ে থাকে।তবে এরা এক জায়গায় নিশ্চলভাবে পড়ে থাকা পছন্দ করে।সমুদ্রের তলদেশের পাথরের উপর ডিম পাড়ে।


নাটিলিয়াস
ছবিঃ সামুদ্রিক মাছ

কয়েলান্ত মাছঃ

এদেরও ৪০০ মিলিয়ন বছর পূর্বে অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল।বিজ্ঞানীরা এই মাছকে জীবন্ত জীবাশ্ম বলে অভিহিত করে।এদের বর্তমানে অনেক রেয়ার প্রজাতির হওয়ায় সহজে এদের আর সহজে দেখা পাওয়া যায় না।

ডাইনোসরের সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন

জীবন্ত জীবাশ্মা
ছবিঃ লিভিং ফসিল

টুয়াটারাঃ

বিপন্ন প্রায় সরীসৃপদের মধ্যে টুয়াটারা উল্লেখযোগ্য প্রানী।এদের প্রায় ১০০ মিলিয়ন বছর পূর্বে অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল।এদের দেখতে কিছুটা টিকটিকির মত।নিউজিল্যান্ডে এই ধরনের প্রানীর সংখ্যা নিতান্তই কম। এমন বিপন্ন প্রায় প্রানীদের রক্ষায় আমাদের অগ্রনী ভুমিকা রাখতেজাচ্ছে।

লিভিং ফসিল
ছবিঃ নিউজিল্যাণ্ডের টুয়াটারা

 

জীবন্ত জীবাশ্মাঃ

ল্যাম্পপ্রে এর মতই হ্যাগফিশও জীবন্ত জীবাশ্ম হিসেবে পরিচিত।এরা মেরুদন্ডী প্রানীদের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন বছর পূর্বে অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল।মেরুদন্ডী প্রানীদের প্রাচীন কালের পূর্ব-পুরুষ বলা হয় এদের।জীবন্ত জীবাশ্মা প্রানী যে শুধু মাছই হবে এমন কোন কারন নেই। আরও অন্যান্য প্রানীও হয় লিভিং ফশিল।


জীবন্ত জীবাশ্মা
ছবিঃ হ্যাগফিশ

পরিশেষে, জীবন্ত জীবাশ্মা প্রানীদের সম্পর্কে অনেক তথ্য জানলাম।কিন্তু প্রানীদের সংখ্যা এবং প্রজাতি এত বেশি হওয়াও লিভিং ফসিল এর সংখ্যা যথেষ্ট বেশী।তাই লিভিং ফসিল আরও প্রানীদের সম্পর্কে  জানতে আমদের সাথেই থাকুন।আন্যন্য প্রানীদের সম্পর্কে অন্য এক আর্টিকেলে আবার লিখা হবে।ততক্ষন পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন এবং আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আমাদের সাথেই শেয়ার করুন।ভাল থাকুন, সুস্থ  থাকুন।

Facebook Comments

YappoBD

YappoBD-হলো poshupakhi.com এর একমাত্র স্বত্তাধীকারি। এই ওয়েবসাইটের সকল প্রকার কন্টেন্ট ইয়াপ্পোবিডি কর্তৃপক্ষ দ্বারা লিখিত, পরিমার্জিত এবং এটি ইয়াপ্পোবিডি এর অঙ্গসংস্থান।