You are currently viewing জাতীয় মাছ ইলিশ এর উৎপত্তি পদ্মা মেঘনায়
জাতীয় মাছ ইলিশ
  • Post category:মাছ
  • Reading time:2 mins read

জাতীয় মাছ ইলিশ এর উৎপত্তি পদ্মা মেঘনায়

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ এবং বুকের উপর দিয়ে বিভিন্ন নদ-নদী বয়ে গেছে। এজন্য আমাদের দেশে প্রধান নদী সংখ্যাও কয়েকটি হলেও ও শাখা নদীর সংখ্যা অনেক বেশি। প্রায় ২১৩ টির ও বেশি সংখ্যক নদী রয়েছে। নদী শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত হওয়ার পর নতুন নামে পরিচিতি লাভ করেছে। এমন নতুন নামের প্রত্যেকটি নদী বিভিন্ন জেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে। আমাদের দেশের দক্ষিনাঞ্চলে বেশি নদী  দেখতে পাওয়া যায়। এবং ঐ পাশের জেলা গুলোতে বিভিন্ন ধরনের মাছ চাষ হয়।  মাছ চাষের এই উপরই অনেকের জীবিকা নির্ভর করে থাকে। সমুদ্র এলাকায় জেলেরা নিজেদের সারাদিন ব্যস্ত রাখে মাছ ধরতে। আমাদের দেশের মাছ বেশি পরিমান উতপাদন হওয়াই  মাছে ভাতে বাঙালি বলা হয়ে থাকে। এজন্য ভাত আমাদের প্রধান খাবার।


জাতীয় মাছ ইলিশঃ

রুই, কাতল, মৃগেল, ভেটকি, কাচকি সহ বিভিন্ন ধরনের মাছের সমাহার আমাদের এই দেশে। জাতীয় মাছ ইলিশ পদ্মায় ধরা পরে। প্রধার নদীগুলো পদ্মা, মেঘনা, যমুনা তে ইলিশের দেখা মিলে। কিন্তু পদ্মাকে ইলিশের অভয়ারন্য বলা হয়। যমুনা নদী এবং পদ্মা নদী গোয়ালন্দে একে অপরের সাথে মিলিত হয়েছে। এসব জায়গার মাধ্যমে ইলিশ মাছ এক নদী  থেকে অন্য নদীতে গিয়ে থাকে। আবার পদ্মা এবং মেঘনা নদী চাঁদপুরে একে অপরের সাথে মিলিত হয়েছে।  এক নদী অন্য নদীর সাথে মিলিত হওয়ার স্থানকে মোহনা বলা হয়। এছাড়াও মোহনাতে নদীর স্রোত সর্বদাই আশান্ত থাকে। কেননা দুই নদীর পানির স্রোত এখানে এসে মিলিত হয়। এসব নদীর মোহনায় মাছের প্রজননও হয় এবং এখানে পর্যাপ্ত পরিমান মাছের সন্ধান মিলে।

জাতীয় মাছ ইলিশ
ছবিঃ পদ্মার ইলিশ

ফিশ ফ্রাইঃ

পদ্মার ইলিশ রূপালি বর্নের হয়ে থাকে  এবং সুস্বাদু। বর্তমানে পদ্মা নদীর উপর দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মিত হচ্ছ। ফলে পদ্মার আশেপাশে থাকার উপযুক্ত জায়গা গড়ে উঠেছে। সেখনে “প্রজেক্ট  হিলসা” বা “হিলসা” নামের নতুন রেষ্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। মাওয়া পদ্মায় ইলিশ পাওয়া যাওয়াই মাওয়া ঘাটে ইলিশ মাছের ফ্রাই বা ফিশ ফ্রাই অতি সহজে পাওয়া যায়। সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে দর্শনার্থীরা এখানে ঘুরতে এসে ইলিশ মাছের ফ্রাই খাওয়া পছন্দ করে। জাতীয় মাছ ইলিশ এর ফ্রাই পাওয়ার জন্যও মাওয়া ঘাট বিখ্যাত। মিঠা পানির মাছ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন


মাওয়া ঘাট ইলিশ
ফিশ ফ্রাই

ইলিশ চত্বরঃ

এছাড়াও পদ্মার পাশাপাশি চাঁদপুরে মেঘনা নদীতেও ইলিশের দেখা পাওয়া যায়। এই দুই অঞ্চলের ইলিশ মাছ সারা বাংলাদেশে জনপ্রিয়। সাধারন মানুষ জাতীয় মাছ ইলিশ বলতে পদ্মা কিংবা চাঁদপুরের ইলিশকেই বুঝায়। চাঁদপুরকে এজন্য ইলিশের শহর বলা হয়। এই অঞ্চলের ইলিশ মাছ দেশের অন্যান্য



অঞ্চলে পাঠানো হয়। চাঁদপুরের উপকুলে মেঘনা নদী ঐ অঞ্চলের মানুষের জীবন যাপন ও জীবিকার উপর প্রভাব ফেলে। মেঘনা নদী থেকে অনেক শাখা নদী ও উপনদী উৎপত্তি লাভ করেছে। এতে মেঘনা নদী থেকে ইলিশ মাছ শাখা নদী এবং উপনদী গুলোতেও চলে যায়।

ইলিশ চত্বর
চাঁদপুরে ইলিশ চত্বর

শুটকি মাছঃ

তবে নদীর মাছ এবং সমুদ্রের মাছের মধ্যে স্বাদ সহ বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের পার্থক্য রয়েছে। যে কারনে নদীর মাছ সবাই খেতে পারলেও সমুদ্রের সব মাছ সবাই খেতে পারে না। সমুদ্রের লোনা পানিতে মাছের স্বাদ এবং নদীর মিঠা পানির মাছ কখনই এক নয়। সামুদ্রিক অঞ্চলে বা সমুদ্রের পাশে অবস্থিত জেলা



গুলোতে মাছ আহরন করা হয়। মাছের অন্যতম ব্যবহার হচ্ছে শুটকি। মাছ ধরে তা কয়েকদিন যাবত রোদে শুকালে তা শুকিয়ে গিয়ে শুটকি মাছে পরিনত হয়। মজার বিষয় হল সাধারন  সাধার ন মাছের চেয়ে শুটকির দাম বেশি।

শুটকি মাছ
ছবিঃ শুটকি মাছ

মোহনায় পানি অনেক অশান্ত প্রকৃতির হয়ে থাকে। কিন্তু তার পরেও এই সবচেয়ে বেশী মোহনাতে ইলিশ মাছের সন্ধান মিলে থাকে। নদী ছাড়াও বিলেও বিভিন্ন মাছ চাষ করা হয়। নাটোরে চলনবিল এবং ছাড়াও ছোট আরও অনেক বিল রয়েছে যেখানে পর্যাপ্ত পরিমান মাছ চাষ করা হয়ে থাকে। পুকুর, বিল, নদী, নদ, মোহনা ইত্যাদি জায়গায় বিভিন্ন রকম দেশি মাছের চাষ করা যায় এবং কিন্তু মাছ গুলোর স্বাদ ভিন্ন হয়ে থাকে।



পরিশেষে, ইলিশ মাছ শুধু আমাদের জাতীয় মাছই নয় অন্যন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্ববহন করে। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবেশী দেশ সহ অন্যান্য দেশে এদের রপ্তানি করা হয়। তবে জাতীয় মাছ ইলিশ বাঙালির গুরুতবপূর্ন ঐতিহ্য “মাছে ভাতে বাঙ্গালি” এই কথার গুরুত্ব বহন করছে। দেশি প্রজাতির মাছের সাথে ইলিশ মাছ স্বাদের দিক থেকে শীর্ষে অবস্থান করে। বাংলাদেশে নদীর সংখ্যা অনেক হলেও নদের সংখ্যা শুধুমাত্র একটি। এই নদের নাম ব্রহ্মপুত্র। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা এর পরেই এই নদের অবস্থান। বড় নদ কিংবা নদীর তালিকায় ব্রহ্মপুত্রের নাম উল্লেখ থাকে।

Facebook Comments

YappoBD

YappoBD-হলো poshupakhi.com এর একমাত্র স্বত্তাধীকারি। এই ওয়েবসাইটের সকল প্রকার কন্টেন্ট ইয়াপ্পোবিডি কর্তৃপক্ষ দ্বারা লিখিত, পরিমার্জিত এবং এটি ইয়াপ্পোবিডি এর অঙ্গসংস্থান।