সিংহ হল পশুর রাজা। বন্য হিংস্র প্রানী গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রাণী এই সিংহ। অনেকের ধারণা হয়ে থাকে বাঘ এবং সিংহের লড়াই কে জিততে পারে। কিন্তু বাস্তবতা অনেকটা এরকম বাঘ সিংহ কখনোই অঞ্চলে একসাথে কিংবা পাশাপাশি বসবাস করে না। যদি কোন এলাকায় এরা পাশাপাশি থেকেও থাকে তবে সে অঞ্চলের শুধুমাত্র যেকোনো একজনের টিকতে পারে। আমরা বাঘ এবং সিংহের লড়াই কম দেখতে পাই বন্য পরিবেশে।
রয়েল বেঙ্গল টাইগার সুন্দরবনের দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য দেশে এদের সামান্য কিছু প্রজাতির দেখা মিললেও প্রকৃতপক্ষে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট এদের আবাসস্থল। ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন বাংলাদেশ এবং ভারত এই দুটি দেশ মিলেই অবস্থিত। বাঘ এবং সিংহ উপায় হিংস্র হওয়ায় যেকারো শখ জাগে না যে এদের এমন কোন পরিবেশে রাখতে যেন তারা একে অপরের সাথে মারামারি করে। তবে হ্যাঁ একটা তথ্য ও প্রাণীর ক্ষেত্রেই কমন যে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক ধনী দেশ গুলোতে ধনকুবের দের নিকট বাঘ-সিংহ অন্যান্য হিংস্র প্রাণী পোষা প্রাণী হিসেবে তাদের বাড়িতে তারা রাখে।আজকে আমরা সিংহ সম্পর্কে আরো বেশ কিছু বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব।
খাদক প্রানীঃ
যেকোনো হিংস্র প্রাণীকেই খাদক হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। তবে প্রজাতি এবং বৈশিষ্ট্য ভেদে কিংবা প্রাণীদেহে খাওয়ার কিছুটা তারতম্য লক্ষ্য করা যায় যা তাদের মৌলিক বৈশিষ্ট্য এর উপর প্রভাব ফেলে।এরা যে কোন সময় খাবার খাওয়া শুরু করলে একবারে ৪০ কেজি পর্যন্ত খাবার খেয়ে থাকে, যা তাদের সম্পূর্ণ শরীরের ওজন এর চার ভাগের এক ভাগ। এদের যিহোবা অনেক কিছুটা টেকনো এবং খসখসে প্রকৃতির যে কারণে মাংস এবং হাড্ডি সম্পূর্ণ অনায়াসে চিবিয়ে খেতে পারে, কোনো সমস্যা হয় না। চিতা বাঘ কেন দ্রুত দৌড়ায় তা কি জানেন
প্রতিকূল পরিবেশে শিকারঃ
পরিবেশ খারাপ হলে স্বাভাবিক যে কোন প্রাণী নিজ নিজ ঘরে ফেরার সিদ্ধান্ত নেয় এবং ফেরেও। কিন্তু এরা একমাত্র প্রাণী যারা ঝড়ের মধ্যে শিকারের জন্য বের হয়। এবং খারাপ আবহাওয়ার ফায়দা নিয়ে শিকারকে কাবু করে এবং ধরে ফেলে। স্বাভাবিক সময় এরা রাতের বেলা শিকারে বের হয়। এদের নিশাচর প্রাণীও বলা চলে।
হিংস্র প্রানী এর একতাঃ
হুংকার দেওয়া অন্যান্য প্রাণী যেমন বাঘ কিংবা শিয়াল যেই হোক একা একা গর্জন করে থাকে। কিন্তু সিংহদের বেলায় খেয়াল করলে দেখা যায় এরা যখনই গর্জন করুক তা একসাথে করে। কখনোই একা একা গর্জন করে না। এরা দলবদ্ধ হয়ে চলাচল করতে পছন্দ করে এবং গ্রুপ আকারেও শিকার করে থাকে।
বাচ্চা পালনঃ
প্রাণীদের ক্ষেত্রে এই বিষয়ে সামাজিকতা দেখা যায়। সিংহের বাচ্চা গুলো একই জায়গায় একসাথে লালন পালন করে বড় করা হয়। এভাবে এদেরকে পারিবারিক এবং সামাজিক ভাবে গড়ে তোলা হয়। ধীরে ধীরে বাচ্চাগুলো সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে অন্যান্য দক্ষতা আয়ত্ব করতে থাকে।
সুন্দরবনের বাঘ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন
পরিশেষে হিংস্র প্রানী সিংহ সম্পর্কে আরো অনেক তথ্য আছে। সবকিছু তো আর একবারে জানা সম্ভব নয় এই কারণে এতে সম্পর্কের নতুন কোন তথ্য অন্য আরেকটা আর্টিকেলে জানব। লেখাটি ভালো লাগলে আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন। আপনাদের মন্তব্য কমেন্ট বক্সে মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন।ততক্ষণ পর্যন্ত ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।