এই পৃথিবীতে প্রানীদের অভাব নেই। হিংস্র প্রানী, নিরীহ প্রানী, বৃহৎ, ক্ষুদ্র প্রানী সহ আরও বিভিন্ন ধরনের বন্য প্রানী গুলোর দেখা মিলে। প্রানীদের আকার আকৃতি এবং সাইজের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন মানুষের কাছে বিভন্ন রকম মতামত থাকে প্রানীদের নিয়ে। অনেকেই বড় আকারের প্রানী পছন্দ করে আবার ক্ষুদ্র প্রানীও কারও পছন্দের তালিকায় স্থান পায়। এখন জীবজগতের চলার নিজস্ব নিয়ম রয়েছে যার কোনটা ব্যত্যায় ঘটলে সম্পূর্ন জীবজগতের শৃংখলা নষ্ট হবে। অর্থাৎ সব প্রানীরই প্রয়োজন আছে। আজকে আমরা কমন কিছু প্রানীদের সম্পর্কে জানব যাদের নাম আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। সেসব প্রানী কি ধরনের কাজ বেশী করে থাকে তা আজকে আমরা জানব।
বন্য প্রানী গন্ডারঃ
গন্ডার দিনে এবং রাতে বেশীভাগ সময়ই চরে বেড়ায় এবং ঘাস খেয়ে থাকে। সূর্য যখন উত্তপ্ত থাকে অর্থাৎ দিনের যে অংশে উত্তাপ বা গরম বেশী হয় সে সময় এরা ঘুমিয়ে থাকে। খাওয়া ছাড়াও অন্য সময় যখন এরা অবসর থাকে তখন এরা নিজেদের কাদায় লেপ্টে রাখে। এতে করে এদের শরীরের উত্তাপ কমতে থাকে এবং শরীর শীতল থাকে। গন্ডার কিভাবে নিজেদের মধ্যে কমিউনিকেশন করে থাকে তা জানতে ভিজিট করুন
রয়েল বেঙ্গল টাইগারঃ
বাঘ পানিতে সাঁতার কাটা এবং খেলতে পছন্দ করে। ইউটিউবে অনেক ভিডিওতে বাঘ পোষা প্রানী হিসেবে দেখতে পাওয়া যায়। সুইমিং করার সময়েও এদের পানির মধ্যে খেলতেও দেখা যায়। পোষা প্রানী ছাড়াও সুন্দরবনে এদের দেখতে পাওয়া যায়। সুন্দরবনের উপকূল ঘেসে যে নদী বয়ে চলেছে সেই নদীতে বাঘ অনায়সে এক পাশ থেকে অন্য পাশে পার হতে পারে এবং সাঁতার কাটতে পারে। সুন্দরবন এবং বাঘ এর মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক কোথায় তা কি জানা আছে। সুন্দরবনকে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট বলা হয়।
সিংহঃ
এরা দিনের বেশি ভাগ সময় রিলাক্স করে থাকে এবং অলস ভাবে সর্বদাই ঘুরে বেড়ায়। ২৪ ঘন্টায় দিন-রাত হলেও এরা এই সময়ের মধ্যে ১৬-২০ ঘন্টা ঘুমিয়ে এবং বিশ্রামে কাটায় দেয়। এদের শরীরে এক ধরনের গ্রন্থি আছে যেখানে ঘাম নিঃসরন হয়। এই গ্রন্থি গুলোর মাধ্যমে এরা এদের শরীরে শক্তি সঞ্চয় করে থাকে। দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় এই শক্তি শরীরে সঞ্চিত হয়। এরা দিনের চেয়ে রাতে বেশী একটিভ থাকে যখন পরিবেশ অনেক শীতল হয়। এদের রাতের বেলায় ভালভাবে দেখতে পারে। এই কারনে এদের রাতে নাইট ভিশন থাকে। সিংহের গর্জন কেন জোরে শোনা যায় তা কি জানেন?
পরিশেষে, এমন অনেক বন্য প্রানী আছে যাদের নিজে নিজে অনেক ধরনের কাজ করতে পছন্দ করে থাকে। এটা প্রানীভেদে পার্থক্য হয়ে হয়ে থাকে। আলাদা প্রজাতির প্রানীর আলাদা বৈশিষ্ট্য হওয়াতে এদের কার্জকলাপও আলাদা হয়ে থাকে। এদের মধ্যে কিছু হাস্যকর এবং কিছু রহস্যজনক। প্রানীদেরর উদ্ভট আচরনের কারন কেউ খুঁজে পায় না বরং কেন প্রানীরা এমন কাজ করে থাকে তার কার ন খুজতে ব্যাস্ত থাকে। লেখাটি কেমন লাগল তা অবশ্যই জানাবেন এবং কমেন্ট বক্সে আপনি আপনার মন্তব্য শেয়ার করতে পারেন। লেখাটি আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করবেন।