সেরা শ্রবনশক্তি সম্পন্ন প্রানী গুলোর সম্পর্কে জানতে চান?মানুষের অনুভুতি সমূহের মধ্যে শ্রবন শক্তি একটি বিশেষ অনুভূতি যা আমরা সকলেই ব্যবহার করি।এমনও মানুষ দেখা যায় যাদের এই শ্রবনশক্তি থেকে বঞ্চিত হয় বিভিন্ন কারনে।বিশেষ করে কানের পর্দা বা কান অভ্যান্তরীন ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলে।বিপদে পড়ে হোক কিংবা ভালোবাসার মানুষের কথা শুনার জন্য অথবা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করার জন্য হলেও আমাদের শ্রবন শক্তির দরকার হয়।
তবে শ্রবন শক্তির একটি মাত্রা রয়েছে যা প্রানীভেদে নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যেই শুধুমাত্র সীমাবদ্ধ।সেরা শ্রবনশক্তি সম্পন্ন প্রানীর সংখ্যা এবং প্রজাতি যথেষ্ট রয়েছে কিন্তু আমরা জানি না তাদের সম্পর্কে।প্রানীদের নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে শুনতে পারার ক্ষমতাকে স্বাভাবিক শ্রাব্যতার সীমা বলা হয়।এই শ্রাব্যতার সীমার উপরে কিংবা শ্রাব্যতার সীমার নিচের শব্দ
উক্ত প্রানী সাধারনত শুনতে পায় না। মানুষের ক্ষেত্রে এই শ্রাব্যতার সীমা হল ২০ থেকে ২০০০০ হার্জ।২০ হার্জের নিচের শব্দকে শব্দেতর এবং ২০০০০ হার্জের উপরের শব্দকে শ্রবনোত্তর শব্দ বলা হয়।প্রানীদের ক্ষেত্রে শ্রবনশক্তির তারতম্য দেখতে পাওয়া যায়।আজকে আমরা সবচেয়ে সেরা শ্রবনশক্তি সম্পন্ন প্রানীদের সম্পর্কে জানব।
হাতিঃ
সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কয়েক প্রজাতির হাতি দেখতে পাওয়া যায়।পরিবেশ অঞ্চলভেদে এদের মধ্যে সামান্য পার্থক্য দেখতে পাওয়া যায়।তবে সারা বিশ্বে আফ্রিকান প্রজাতির হাতির জনপ্রিয়তা বেশি।হাতি কিন্তু মানুষের মত শুনতে পায়।কিন্তু এদের শ্রাব্যতার সীমা ১৬ থেকে ১৬০০০হার্জ পর্যন্ত।এই সীমার বাহিরের শব্দ হাতি শুনতে পায় না।
সেরা শ্রবন শক্তিসম্পন্ন প্রানী বাদুড়ঃ
অন্যান্য প্রানীদের চেয়ে বাদুড়ের শব্দ শ্রবন ক্ষমতা বেশি।এজন্য এরা এই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে চলাফেরা করে।বাদুড়ের দৃষ্টিশক্তি খারাপ হওয়ায় এরা শব্দকে অনুসরন করে চলে।বাদুড়ের আওয়াজ আমাদের নিকট অনেক বিরক্তিকর লাগে।কেননা এদের শব্দের হার্জ মানুষের শ্রাব্যতার সীমার উচ্চমাত্রায়।এদের শ্রাব্যতার সীমা ১০ থেকে ২০০ হার্জ পর্যন্ত।
কুকুরঃ
সকল ধরনের প্রানীদের মধ্যে বিশ্বস্ত প্রানীদের তালিকার শীর্ষে কুকুর এর অবস্থান।কুকুরের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্যের রয়েছে যা অন্যান্য প্রানীদের মধ্যে নেই।এদের ঘ্রান শক্তি এবং শ্রবন শক্তি অন্যান্য যে কোন প্রানীর চেয়ে শক্তিশালী।এদের শ্রাব্যতার সীমা ৬৭ থেকে ৪৫০০০ হার্জ পর্যন্ত।যা মানুষের শ্রাব্যতার উচ্চ সীমার চেয়ে কয়েক গুন বেশি। এজন্য আমরা সহজে কোন কিছু বুঝতে না পারলেও এরা ঠিকই বুঝতে পারে।
ঘোড়াঃ
দ্রুতগামী প্রানীদের মধ্যে এরা সবচেয়ে এগিয়ে।যে কোন প্রানীর চেয়ে এরা দ্রুত দৌড়াতে পারে বিধায় রাজা বাদশাহদের আমলে এদের যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে ব্যাবহার করা হয়েছিল।বর্তমানে বিভিন্ন কাজে ঘোড়া ব্যবহার করা হচ্ছে।উন্নত জাতের ঘোড়া গুলো অনেক বেশি দ্রুত দোড়াতে সক্ষম।এরা এদের কান ব্যবহার করে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে থাকে এবং মুখের এক্সপ্রেশনের মাধ্যমে অনুভূতি প্রকাশ করে থাকে। এদের শ্রাব্যতার সীমা ৫৫ থেকে ৩৩৫০০ হার্জ পর্যন্ত।সেরা শ্রবন শক্তিসম্পন্ন প্রানী এর তালিকায় ঘোড়াও রয়েছে তা অনেকের অজানা।
ডলফিনঃ
সমুদ্রের নিরীহ প্রানীদের মধ্যে মানুষের সবচেয়ে বেশী পছন্দের প্রানী হল ডলফিন।অন্যান্য সামুদ্রিক প্রানীদের মধ্যে এদের দৃষ্টিশক্তি এবং শ্রবনশক্তি বেশ ভাল।এরা শব্দ উৎপন্ন করে এবং তা নির্দিষ্ট জায়গায় থেকে ফিরে এসে ডলফিনের নিচের চোয়ালে পৌছে।এভাবে প্রতধ্বনির মাধ্যমে এরা এদের শ্রবন শক্তি কাজে লাগায়। এদের শ্রাব্যতার সীমা ৭৫ থেকে ১৫০০০০হার্জ পর্যন্ত।
এদের সম্পর্কে আরও জানতে ভিজিট করুন
পরিশেষে, সবচেয়ে সেরা শ্রবনশক্তি সম্পন্ন প্রানীদের তালিকা অনেক দীর্ঘ। কিন্তু সকল প্রানীদের সম্পর্কে একসাথে জানা সম্ভব নয়।আপনাদের অজানা এই প্রানীদের সম্পর্কে জানার জন্য আপনারা কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আপনাদের মন্তব্য অথবা প্রশ্ন আমাদের সাথে শেয়ার করুন এবং পশুপাখির সাথেই থাকুন।সেরা শ্রবনশক্তি সম্পন্ন প্রানীর আমাদের অনেক উপকারে আসে।