সবচেয়ে বড় প্রানী হাতি বৃহত্তম প্রানীর মধ্যে অন্যতম।এরা আকারের এবং ওজনের দিক থেকে সবচেয়ে বড় প্রানী।হাতি মানুষের মতই পরিবারের সাথে থাকা পছন্দ করে।এজন্য এরা বন জঙ্গলে এক সাথে দল হয়ে থাকে।জঙ্গলের একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এখানে বিভিন্ন প্রানী তো থাকে বটে কিন্তু সকল প্রানীর নির্দিষ্ট এলাকা রয়েছে।
এরা কখনই একসাথে একই এলাকায় থাকে না। এক প্রানি অন্য প্রানীর অঞ্চলে ঢুকে পড়লে এরা দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়। হিংস্র প্রজাতির হওয়াই এরা সর্বদাই একে অপরের সাথে লড়াই করে। এছাড়া জীবন ধারনের জন্য শিকার করতে হয়। এভাবে ছোত থেকে বড় সকল হিংস্র প্রানী এবং নিরীহ প্রানীদের মধ্যে লড়াই চলতেই থাকে। আমরা টেলিভিশনে ডিসকভারি,ন্যাশনাল জিওগ্রাফি,অ্যানিমেল প্লানেট সহ আরও অন্যান্য চ্যানেলে প্রানীদের সম্পর্কে জেনে থাকি তবে এই তিনটি চ্যানেলে বেশী।
আফ্রিকার অঞ্চলের বিশাল বিস্তৃত বনে প্রানীরা কীভাবে চলাচল করে তা অনেক সময় লাইভ উপরোক্ত চ্যানেল গুলোতে দেখানো হয়। আফ্রিকান বনভুমিকে সকল প্রানীর উৎপত্তিস্থল বলা হয়।এখানে অন্যান্য প্রানীর সাথে হাতিও উল্লেখযোগ্য। সারা বিশ্বে আফ্রিকান হাতির অনেক চর্চা রয়েছে। মুলত আফ্রিকাই হাতির জন্ম এবং উৎপত্তিস্থল।আজকে আমরা হাতিদের সম্পর্কে কিছু বিচিত্ররকমের তথ্য জানব।এগুলি সহজেই অনেকে জানে না।
সবচেয়ে বড় প্রানীঃ
স্থল পথের অন্যান্য প্রানীর মধ্যে হাতিই সবচেয়ে বড়। পুরুষ প্রজাতির হাতিগুলো ৩ মিটার পর্যন্ত উচ্চতা হয় এবং ওজনে এরা ৬টন পর্যন্ত হয়ে থাকে।এরা ৩৫-৪০ বছর বয়সে প্রাপ্ত বয়স্ক হয় এবং ৬০-৭০ বছর পর্যন্ত এরা বেঁচে থাকতে পারে।সদ্য জন্মানো হাতির বাচ্চার ওজন ১২০ কেজি হয়ে থাকে।আফ্রিকান এবং এশিয়ান এই দুই প্রজাতির হাতি রয়েছে। এদের মধ্যে পার্থক্য শুধুমাত্র এদের কান দেখেই বুঝা যায়।
অসাধারন দক্ষতাঃ
এদের ট্রাংক বা উদরে প্রায় ১,৫০,০০০ সংখ্যক পেশী রয়েছে।সকল স্তন্যপায়ী প্রানীদের মধ্যে এদের এই উদর বা ট্রাংকই সবচেয়ে বড় প্রানী সংবেদী অঙ্গ।এশিয়ান হাতি গুলো ক্ষেত্রে মজার বিষয় হল এরা যদি বাদাম খেতে চায় তবে এরাও প্রথমে বাদামের খোসা ছড়ায় এবং এরপর খোসা ফেলে দিয়ে বাদাম খায়।বিষয় টি বড়ই অদ্ভুত না?! এদের ২ বছর বয়স হতে দাঁত বের হওয়া শুরু হয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই দাঁত বড় হতে থাকে।
মোটা চামড়াঃ
এদের চামড়া প্রায় ২.৫ সে.মি পুরু।এদের চামড়ায় অনেক বেশি ভাঁজ থাকে।এরা নিজেদের সর্বদাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে।নিজেদের সানবার্ন সহ অন্যান্য বিষয়ে বেশ সচেতন।এরা প্রায় ১৫০ কেজি পর্যন্ত খাবার খেয়ে থাকে।এত বেশী খাইলেও সম্পুর্ন খাদ্য ডাইজেস্ট করে না।
ঘোড়া সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন
কমিউনিকেশনঃ
এরা নিজেদের সাথে বিভিন্ন উপায়ে যোগাযোগ করে। মাঝে মধ্যে এরা অনেক কম শব্দ করে ভাইব্রেশন এর মাধ্যমে যোগাযোগ করে। এছাড়াও এদের বডি ল্যাংগুয়েজ, স্পর্শ এবং ঘ্রানের মধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে থাকে। বাচ্চা হাতি জন্মের ২০ মিনিট এর মধ্যে দাঁড়াতে পারে এবং ১ ঘন্টার মধ্যে হাঁটা আরম্ভ করে।
পরিশেষে, সবচেয়ে বড় প্রানী হাতির স্মরনশক্তি বেশ ভাল। এজন্য এরা সহজে কাউকে ভুলে যায় না।এদের মধ্যেও অনুভুতি কাজ করে।এজন্য পুরানো স্মৃতি মনে করে কান্নাও করে থাকে। হাতির সম্পর্কে আরও অনেক তথ্য রয়েছে। আপনাদের হাতি কিংবা অন্য কোন প্রানী সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং আপনাদের মন্তব্য কমেন্ট বক্সের মধ্যে আমাদের সাথে শেয়ার করুন।