পৃথিবীতে স্থলের চেয়ে জলরাশির পরিমান বেশি। জলরাশির ভিতরে জীবের নতুন এক জগতের দেখা মিলে। সমুদ্রের তলদেশে যে সব প্রজাতির মাছ রয়েছে তাদের মধ্যে সব প্রজাতির সম্পর্কে এখন মানুষ অবগত নয়। এখনও এমন জায়গা আছে সমুদ্রের তলদেশে যেখানে মানুষ পৌছাইতে পারে নি। লোনা পানির মাছ এবং মিঠা পানির মাছ এর মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে।
লোনা পানির মাছ এবং মিঠা পানির মাছের মধ্যে বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য আছে। এই কারনে এদের স্বাদ এই পানির উপরও নির্ভর করে। লোনা পানির মাছ তেমন সুস্বাদু হয় না। মিঠা পানির মাছের জনসাধারনের মাঝে চাহিদা বেশি। কেননা মাছ মানুষের আমিষের চাহিদা পুরন করে। অন্য সামুদ্রিক মাছ যথেষ্ট পপুলার হলেও সব ধরনের সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার উপযুক্ত নয়।
মিঠা পানির মাছঃ
কার্প জাতীয় মাছ দক্ষিন পূর্ব এশীয় উপকূলে দেখতে পাওয়া যায়। এমনই এক কার্প জাতীয় মাছ হল বার্ব ফিশ। এদের বৃহৎ আকৃতির জন্য এদের জায়ান্ট বার্ব ফিশ বলে থাকে। অন্য কার্প জাতীয় মাছের চেয়ে এরা লম্বায় ১০ ফিট পর্যন্ত হয়। এমন খুব কমই হয়েছে যে প্রাপ্ত বয়স্ক অবস্থায় এরা ৫ ফিট পর্যন্ত লম্বা হয়। তবে এরা আকারে অনেক বড় হলেও বাস্তবে এরা ক্ষতিকর নয়। এরা শৈবাল এবং ফাইটোপ্লাংকটন জাতীয় খাবার খেয়ে থাকে।
নাইল পার্চঃ
আফ্রিকার লেক এবং এর আশেপাশের উষ্ণ গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের জলাশয়ে এই প্রজাতির মাছের দেখা পাওয়া যায়। এরা ৬ ফিট পর্যন্ত ম্যাক্সিমাম লম্বা হয়ে থাকে। ঐ অঞ্চলের মাছ গুলোর মধ্যে এরা যথেষ্ট হিংস্র প্রজাতির। ভিক্টোরিয়া লেকে এদের ২০০ এর বেশি প্রজাতি দেখতে পাওয়া যায়। হিংস্র প্রজাতির প্রানী সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন
সাদা স্টারজিওনঃ
উত্তর আমেরিকার মিঠা পানির মাছগুলোর মধ্যে এদের সহজেই দেখা মিলে। লম্বায় এরা ১২-২০ ফিট পর্যন্ত হয় এবং ওজনে প্রায় এরা ১ টন পর্যন্ত হয়। এরা ৮০-১০০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। শতবর্ষী বেঁচে থাকা মাছ গুলোর মধ্যে এরা একটি। যেখানে সেখানে পাওয়া যায় বিধায় এই প্রজাতির মাছ জেলেদের নিকট যথেষ্ট পরিচিত।
পরিশেষে, এমন বড় আকারের মিঠা পানির মাছ গুলো নিয়ে একই আর্টিকেলে লেখা সম্ভব নয়। কেননা সারা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন জায়গায় ছোট-বড় অনেক জলাশয়ে বহু প্রজাতির মাছের দেখা মিলে। লেখাটি পড়ে কেমন লাগল তা জানাবেন এবং আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন।