You are currently viewing বুলেট ট্রেনের মত পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগামী মাছ

বুলেট ট্রেনের মত পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগামী মাছ

দ্রুতগামী মাছ সমুদ্রকে অনেক কম সময়ে অতিক্রম করে।সমুদ্রের অতল গহ্বরে মাছ এবং প্রাণীর রহস্যের শেষ নাই।  সমুদ্রকে  সারা বিশ্বের   প্রাণীদের  খাদ্যের উৎস বলা হয়।  প্রকৃতপক্ষে সমুদ্র  হল  প্রাণিজগতের  ভান্ডার খানা। সমুদ্রের   উপরিতল  হতে  তলদেশ পর্যন্ত  অসংখ্য প্রাণী এবং মাছ রয়েছে।  আকৃতিতে  ছোট বড়  লম্বা খাটো  ইত্যাদির  সমন্বয় ঘটেছে। এর মধ্যে এমন অনেক  মাছ আছে যারা অনেক দ্রুত  পানির নিচে চলতে পারে।  বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে বিভিন্ন রকম মাছ  বিশেষ বিশেষ ক্যাটাগরিতে  রাখা সম্ভব। তেমনি  আজকে আমরা বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগামী মাছের সম্পর্কে জানব। 

ব্লাক মার্লিন(দ্রুতগামী মাছ):

মার্লিন প্রজাতির মধ্যে এদেরই শুধুমাত্র ট্রপিক্যাল অঞ্চলে খুঁজে পাওয়া যায়। ভারত মহাসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পানিতে থাকে। দৈর্ঘ্যে এরা ৪.৬৫ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। ওজনের দিক থেকে প্রতিটি মাছ ৭৫০ কেজি পর্যন্ত হয়। মার্লিন প্রজাতির মধ্যে এরাই সবচেয়ে বড় এবং কাঁটাযুক্ত মাছ।  এদের কাটা  হাড়ের মত শক্ত। এরা ঘন্টায় ১২৯ কি. মি পর্যন্ত সাঁতার কাটাতে পারে। 

Black Marlin দ্রুতগামী মাছ
ছবিঃ ব্ল্যাক মার্লিন



সেইলফিশঃ

পৃথিবীর ঠান্ডা পানির মাছদের এলাকায় এদের দেখতে পাওয়া যায়। এদের শরীরের রং ধূসর বর্ণের তবে এদের সাঁতার কাটার জন্য বিশেষ পাখনা রয়েছে। এ পাখনা অবশ্য নীল রংয়ের। তলোয়ার মাছের মত  এদের মুখের সামনে লম্বা অংশবিশেষ রয়েছে। এদেরকেও ভারত মহাসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরে অঞ্চলে পাওয়া যায়। এরা ১১০ কিলোমিটার/ঘন্টায় এরা সাঁতার কাটতে পারে। দ্রুতগামী মাছ হিসাবে এদের জুড়ি মেলা ভাঁড়।

দ্রুতগামী মাছ sea fish
ছবিঃ সেইল ফিস



ম্যাকো হাঙরঃ

হাঙ্গরের প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে ছোট পাখা বিশিষ্ট প্রজাতি। এরা ব্লু পয়েন্টার নামে পরিচিত। এরা লম্বায় ১৩ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। এদের ট্রপিক্যাল অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায়। এরা ঘন্টায় ৭৪ কিলোমিটার গতিতে ছুটে।দ্রুতগামী মাছের তালিকায় এ হাঙর উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন প্রজাতির দ্রুতগামী মাছ এর মধ্যে উল্লেযোগ্য। 

সামুদ্রিক প্রাণী হাঙর
ছবিঃ ম্যাকো হাঙর

টুনা মাছঃ 

আটলান্টিক মহাসাগরে নিল পাখনা বিশিষ্ট টুনা মাছ পাওয়া যায়। এই বৃহৎ আকৃতির মাছ ওজন ১৫০ কেজি বা ৩৩০ পাউন্ড পর্যন্ত হয়।প্রশান্ত মহাসাগরের উন্মুক্ত জলরাশিতে এদের গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়।  এরা ঘন্টায় ৭০ কিলোমিটার  বেগে ছুটে থাকে।


সামুদ্রিক মাছ সম্পর্কে আরও জানতে ক্লিক করুন

দ্রুতগামী মাছ
ছবিঃ টুনা মাছ



তলোয়ার মাছঃ

এ প্রজাতির মাছ লম্বা ঠোঁট যুক্ত মাছের তালিকার শীর্ষে পরে। এরা সহজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়  গিয়ে থাকে এবং পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়। এদের আটলান্টিক  প্রশান্ত  এবং ভারত মহাসাগরের  উষ্ণ পানি যুক্ত এলাকায় সহজে দেখতে পাওয়া যায়। তবে এরা পানির উপরিতলের ৫৫০ ফিট নিচ হতে ২২৩৪ ফিট গভীরতায় এদের খুঁজে পাওয়া যায়। এরা লম্বায় ১০ থেকে ১৪ ফিট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। ওজনে এরা ৬৫০ কেজি পর্যন্তও হয়। সামুদ্রিক মাছ এর  বৈশিষ্ট্যের অন্ত নেই। 

সামুদ্রিক মাছ
ছবিঃ তলোয়ার মাছ

পরিশেষে,  সমুদ্রে  এমন অনেক প্রজাতির মাছ রয়েছে  যারা বিভিন্ন গভীরতা বিভিন্ন পরিবেশে বিভিন্ন আবহাওয়ায় বসবাস করে থাকে। বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করা মাছ এবং প্রাণীর বৈশিষ্ট্য জীবন যাত্রার মান এবং খাদ্য ব্যবস্থা বিচিত্র রকমের।  সমুদ্রের তলদেশের  খাদ্যজাল  এবং প্রাণীবৈচিত্র্য  নিয়ে জানার



শেষ নেই।  তেমনি ভাবে  আমরাও চেষ্টা করব  বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী নিয়ে  আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাদেরকে সঠিক তথ্য জানানোর।  আপনারা আপনাদের মন্তব্য  সোশ্যাল মিডিয়ার  মাধ্যমে কমেন্ট করতে এবং আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে ভুলবেন না।

Facebook Comments

YappoBD

YappoBD-হলো poshupakhi.com এর একমাত্র স্বত্তাধীকারি। এই ওয়েবসাইটের সকল প্রকার কন্টেন্ট ইয়াপ্পোবিডি কর্তৃপক্ষ দ্বারা লিখিত, পরিমার্জিত এবং এটি ইয়াপ্পোবিডি এর অঙ্গসংস্থান।