এই জীবজগতে প্রানীদের সংখ্যার যেমন কমতি নেই। একই ভাবে এই সব প্রানীদের মধ্যে সুন্দর পাখি গুলোর সংখ্যা কোন অংশে কম নয়। আকর্ষনীয় পাখি গুলোর সংখ্যাও অনেক বেশি। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বনাঞ্চলেও পাখিদের দেখতে পাওয়া যায়। পাখিদের শরীর যথেষ্ট হালকা এবং এদের শরীরের কাঠামো খুবই সাধারন। এই পাখিদের পালক, পাখা এবং ডিম সহ বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যে পাখি রয়েছে। সারা বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০ হাজার প্রজাতির পাখি রয়েছে। কিন্তু এদের মধ্যে উটপাখি পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগামী পাখিদের মধ্যে অন্যতম। পাখির নাম সহ ছবি এর সাহায্যে আমরা আমাদের চারপাশের যেসব পাখি নেই তাদের সম্পর্কে যেমন জানা যায় তেমনি ভাবে নতুন নতুন আইডিয়া জেনারেট হয়।
আমাদের মনে সাধারন প্রশ্ন আসতেই পারে যে, ১০ হাজার প্রজাতির পাখি কিছুটা কম মনে হলেও পাখির সংখ্যা এত বেশী হওয়ার একমাত্র কারন হল একই প্রজাতির অসংখ্য পাখির বিচরন। আমাদের দেশে যেমন টুনটুনি পাখি রয়েছে তেমনি ভাবে হক পাখি ও রয়েছে। তবে গ্রামের দিকে শকুন পাখির দেখা মিলে বেশি। এই পাখিটির গলায় পালক থাকে না বরং সেখানে চামড়া বের হয়ে থাকে যা শুকিয়ে গিয়ে চামড়ার মত হয়ে যায়।
হুপ্পো পাখিঃ
এশিয়া, আফ্রিকা এবং ইউরোপে হুপ্পো প্রজাতির পাখিকে দেখতে পাওয়া যায়। এরা দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি মনোমুগ্ধকর। এদের আকার দেখে মাছরাঙ্গা বা টুনটুনি পাখির মত মনে হলেও এরা সেসব পাখি থেকে বেশ বড়। পিপড়া, পোকামাকড় এবং কীট-পতঙ্গ ইত্যাদি খেয়ে বেঁচে থাকে। এদের ঠোঁট অন্যান্য
পাখির চেয়ে লম্বা প্রকৃতির এবং শরীরের পালক গুলো ভিন্ন ধরনের। শরীরের সামনের দিকে অংশ বাদামী রঙের পালক দিয়ে আবৃত এবং লেজের দিকের অংশ কালো সাদা স্ট্রইপ করা। সব কিছু মিলিয়ে এই পাখিটি চোখে লাগার মত। সবচেয়ে মজার বিষয় হল এই পাখিটি ইসরাইলের জাতীয় পাখি। যেমনটি দোয়েল আমাদের জাতীয় পাখি।
পেখম খোলা ময়ূরঃ
এটি ঢাকা মিরপুর চিড়িয়াখানা তে গেলেই দেখতে পাওয়া যায়। এদের চিনে না এমন মানুষের সংখ্যা অনেক কম। কারন এরা সেখানে নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যে চলাফেরা করছে। একই সাথে ময়ুরের একটি কমন বৈশিষ্ট্য হল এরা বৃষ্টি এলে পেখম মিলে নাচতে শুরু করে। ময়ুরের এই পেখম মিলে নাচার জন্য এই
পাখিটিকে সবচেয়ে বেশি সুন্দর লাগে। ময়ুরের পেখম অনেক রঙিন হয়ে থাকে এবং সুন্দর ডিজাইনের। যে কোন ময়ুরের পেখম গুলো বড় হতে তাও ৩ বছর সময় লাগে। ময়ুরে পেখম মিলে নৃত্য করলেও প্রকৃত অর্থে পুরুষ প্রজাতির ময়ুরের পেখম এত বড় এবং রঙিন হয়।
ময়ূর কিভাবে পেখম মিলে তা জানতে ভিজিট করুন
সুন্দর পাখিঃ
এরা পেনিসুলার অঞ্চলগুলোতে দেখতে পাওয়া যায়। লম্বায় সাত ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে ওজনে এক পাউণ্ডের চার ভাগের এক ভাগ পর্যন্ত হয়। এদের সম্পুর্ন শরীরের পালক গুলো দেখতে অনেকটা কাঁচা হলুদের মত। শীতের সময় এমন সব পাখির মাঝে মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়। শীতের আগামনি বার্তা আসে
আগ্রাহায়ন এবং পৌষ মাসে। অগ্রাহায়ন মাসের শুরুর দিকে বাঙালিদের উৎসব নবান্ন হয়। এই সময় অনেক অতিথি পাখির আগমন ঘটে থাকে আমাদের দেশে। অতি সহজে শীতের অতিথি পাখি দেখতে চাইলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকে দেখতে পাওয়া যায়।
লিলাক ব্রেষ্টেড রোলারঃ
এদের আফ্রিকা এবং এরা আশেপাশে অঞ্চল গুলোতে দেখতে পাওয়া যায়। এরা আকারে অনেক ছোট কিছুটা বাবুই পাখিদের মত। চার ইঞ্চির চেয়ে আকারে ছোট পাখিটির ওজনও চার আউন্সের চেয়ে কম। এরা অন্যান্য পাখির মত পোকা-মাকড় খেলেও টিকটিকিও খেয়ে থাকে। এদের সম্পুর্ন শরীর দেখে মনে হয় কোন শিল্পী রঙ তুলি দিয়ে সুন্দর ভাবে রঙ করেছে। এদের চোখ বাদামী রঙের এবং ঠোঁট কালো বর্নের হয়।
ছোট বাচ্চারা যেমন পশুপাখি পছন্দ করে তেমনি ভাবে পাখির ছবি দেখে আনন্দ পায়। বিশেষ করে সুন্দর পাখি পছন্দ করে। এজন্য হয়ত মায়েরা পশুপাখিদের ছবি এবং ইউটিউব ভিডিও চালু করে দেয়। ইউটিউব চ্যানেল দেখে তারা যেমন আনন্দ পায় একই ভাবে তারা অনেক কিছু শিখে থাকে। সেজন্য এরা অতি অল্প বয়সেই টেকনোলজি বা দোকান কিংবা মোবাইল বাজার থেকে কেনা অ্যান্ড্রয়েড ফোন অতি সহজেই চালাতে পারে।
বাচ্চারা যেন সঠিক শিক্ষা পায় সেজন্য ইউটিউব কিডস রয়েছে। ইউটিউব চ্যানেল এর শিক্ষামুলক ভিডিও যেমন বাচ্চাদের উৎকর্ষতা বাড়ায় তেমনিভাবে পশুপাখি দের নিয়ে ইউটিউব ভিডিও গুলো তাদের প্রানীদের সম্পর্কে জ্ঞান বাড়ায়।
পরিশেষে, বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর পাখি যেমন আছে তা বিশ্বের অন্যান্য পাখিদের মধ্যেও চিত্তাকর্ষক। বাচ্চাদের যেমন সুন্দর নামের লিস্ট থাকে তেমনিভাবে সুন্দর পাখির নামের লিস্টও রয়েছে। উক্ত লিস্টটিতে পাখিদের নাম যেমন উল্লেখ থাকবে তেমনিভাবে পাখির নাম সহ ছবি থাকবে। বাংলাদেশ সবুজ শ্যামল হওয়াই এখানে যেমন পাখ-পাখালি রয়েছে তেমনিভাবে বাগান এবং বন আছে।