এই পৃথিবীতে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রানী আছে। এদের মধ্যে কিছু প্রানী আছে নিরীহ প্রানী এবং কিছু হিংস্র প্রজাতির প্রানী। নিরীহ প্রানী মানুষের ক্ষতি করে না তেমন। কিন্তু হিংস্র প্রানী মানুষের ক্ষতি করে থাকে। হিংস্র প্রানীদের মধ্যে জলে, স্থলে এবং আকাশে অনেক প্রানী পাওয়া যায় যারা বিভিন্ন উপায়ে মানুষের ক্ষতি করতে পারে।
হিংস্র প্রানী শুধু মানুষেরই ক্ষতি করে না বরং অন্য যে কোন প্রানীকে শিকা করে থাকে। এই শিকার করতে গিয়ে তাদেরও অনেক পরিশ্রম করতে হয়। সহজ কথায় খাদ্য শৃংখলের নিয়মে প্রত্যেক প্রানী একে অপরের উপর খাবারের জন্য নির্ভরশীল। ফল শ্রুতিতে টিকে থাকার লড়াইয়ে প্রত্যেক প্রানীকে সব কিছু হতে সাবধান থাকতে হয় এবং নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে চলাফেরা করতে হয়।
ঘরের বিড়ালঃ
বিড়াল এর সাথে পরিচিত নেই এমন লোক কেউ নেই। আমাদের বাসা বাড়িতে অথবা এর আশেপাশে কমন দুইটি প্রানী আছে যেগুলো আমরা সবসময় দেখে থাকি। একটি হল কুকুর অপরটি হল বিড়াল। এরা উভয়ই আমাদের রাস্তায় চলার সময় দেখা যায়। এর মধ্যে কুকুর বিশ্বস্ত প্রানী গুলোর মধ্যে একটি।
তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল কুকুর এবং বিড়াল উভয়ই মানুষকে কামড় দেয় এবং এতে করে মানুষের বিভিন্ন রোগ হওয়ার সম্ভবনা থাকে। কুকুর কিংবা বিড়াল কামড় দিলে অথবা আচড় দিলে এমন হয় যে মানুষের সেফটির জন্য ইঞ্জেকশন নেওয়া গুরুত্বপূর্ন হয়ে পরে। এমন ঘটনা ঘটলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিলে ঝুঁকি দূর হয়। প্রানী কামড় দিলে প্রাথমিক চিকিৎসা কীভাবে নিব
মানুষ কীভাবে বিপদজনক প্রানী হতে পারে?
আপনি কি জানেন সবচেয়ে ভয়ংকর কিংবা হিংস্র প্রজাতির মধ্যে মানুষও পড়ে। কিন্তু মানুষ একই সাথে আবার শান্তিপ্রিয় প্রানী এবং নিরীহ বিবেকবান প্রানীদের তালিকাতেও পরে। কিন্তু এমন কেন আর কিভাবে? মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব এই নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে উপরের দুই ক্ষেত্রই সম্ভব। কারন সব মানুষ এক না। সবাই বিবেকবান সম্পন্ন হয় না। মাঝে মাঝে কিছু মানুষ তাদের কু মতলব এবং অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে থাকে সেই কারনে তারা সর্বদাই চেষ্টা করে অন্যের ক্ষতি করার। আবার মানুষই এক সময় মানুষের উপকার করে থাকে। এভাবে মানুষ মানুষের উপকার করে থাকে। এভাবে মানুষ উপকারি প্রানী।
বানরঃ
অন্যান্য প্রানীর মত বানরও কিছুটা কামড় দিয়ে থাকে। তবে এক জরিপে দেখা যায় সারা বিশ্বে ২৬০ প্রজাতির বানর দেখা যায়। তবে বানর কামড় দিলে র্যাবিস রোগ হওয়ার সম্ভবনা থাকে। এমনকি এই রোগ হয়। চিড়িয়াখানায় গেলে এদের দেখা মিলবেই এবং এদের আওয়াজ এক পাশ থেকে অন্য পাশে দেখা মিলবে। বানর এর ক্ষেত্রে একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল এরা অন্যের কপি করে। এরা অনুকরন করে থাকে। বানর মানুষের দেওয়া অন্যান্য খাবার বিশেষ করে বাদাম ও ছোলা খেয়ে থাকে।
হায়েনাঃ
হায়েনা অত্যান্ত হিংস্র প্রজাতির প্রানী। এরা রাতের বেলা শিকার করে থাকে। রাতের আধারে গর্জন করে থাকে। হায়েনা তেমন পপুলার না হলেও এরা বাঘ, সিংহের মত অনেক হিংস্র প্রকৃতির। এদের কামড়ের কারনে মানুষের অঙ্গহানি ও হতে পারে। এদের কামড়ে এত শক্তি শালি হওয়ার কারন এদের চোয়াল
কামড়ানোর জায়গায় প্রতি স্কয়ারে ইঞ্চিতে ১০০০ পাউন্ড চাপ দিয়ে থাকে। এরা মানুষের হাড় অতি অল্পতেই ভাঙতে পারে। কিন্তু এদের দাঁত সহজে ভাঙ্গে না। তবে কোন এক সময় এক লোকের মাথার স্ট্রাকচার হায়েনা সম্পূর্নরূপে ভেঙ্গে গুড়ো করে দিয়েছিল।
ব্রাজিলিয়ান মাকড়াসাঃ
গায়ে শক্তি থাকলেও যে শুধু মানুষের ক্ষতি করতে পারবে বিষয়টি এমন নয়। এমন অনেক ছোট বিপদজনক প্রানী আছে যারা খুব ক্ষুদ্র প্রকৃতির এবং তাদের কাছে মরনাস্ত্র আছে যা নিমিষেই মানুষের ক্ষতি করে থাকে। এই মরনাস্ত্রের নাম হল বিষ। এই বিষের প্রভাব এত কম সময়ে শরিরের উপর প্রভাব ফেলে যে ডাক্তার কিংবা যে কোন প্রাকৃতিক চিকিৎসা সহজে কাজে আসে না।
একটি সাধারন বিষয় চিন্তা করুন সাপ কিভবে মানুষের ক্ষতি করতে পারে তাদের তো হাত পা কিছুই নেই। সরীসৃপ প্রজাতির প্রানীদের মধ্যে সাপ মানুষের অনেক আকর্ষনীয় এবং মানুষ পছন্দ করে। কিন্তু সাপ যে কোন কিছু হলেই ইন্সট্যান্ট আক্রমন করে থাকে এই সিস্টেমকে রিফ্লেক্স বলে। এই রিফ্লেক্স সকল প্রানীরই আছে। এমন কি আমাদেরও। আমরা যে কোন কিছুর ইন্সট্যান্ট যে রিয়েকশন দেখিয়ে থাকি তাই মূলত আমাদের রিফ্লেক্স। সাপদের হাত পা না থাকা এবং দ্রুত চলার ক্ষমতা ছাড়াও তাদের বিষদাঁত আছে যা বিষ নির্গমন করে থাকে।
পরিশেষে, চেনা জানা বিপদজনক প্রানী গুলো সম্পর্কে নতুন কিছু ভিন্ন উপস্থাপনায় জানতে পারলাম। লেখাটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আমাদের সাথে আপনার অনুভূতি জানাতে পারেন। লেখাটি ভাল লাগলে আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে পারেন যাতে করে আপনার পরিচতি বন্ধু-বান্ধব এই সম্পর্কে জানতে পারেন। ততক্ষন পর্যন্ত ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।